ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের সম্পূরক ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। বৃহ্স্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের এস.আর.ও. নং-৪২৯-আইন/২০২৫ মারফত জারিকৃত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ এর সংশোধিত বিধি ১৭ মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২১ এর বিগত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে ঘোষিত ফলাফলে ক্যাডার পদে সাময়িকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত এবং ৪৪ বিসিএস এর পূর্ববর্তী কোনো বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়ে কোনো ক্যাডার পদে কর্মরত ৩০৩ জন প্রার্থী লিখিত Declaration প্রদান করত: অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন যে, তাঁরা কর্তব্যরত একই ক্যাডার পদে কিংবা তাদের পছন্দক্রমের নিরিখে তদপেক্ষা নিম্নের কোনো ক্যাডার পদে যোগদান করবেন না।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ এর সংশোধিত বিধি ১৭(২)(গ)-তে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী দফা ১-এ বর্ণিত কারণে উক্ত ৩০৩ জন প্রার্থির মধ্যস্থিত ২৬০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকা, ৪৩ জন প্রার্থীকে তাঁদের কর্মরত ক্যাডার পদের চেয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী উপরের পদে সাময়িক মনোনয়ন প্রদান ও উদ্ভূত শূন্যপদ পূরণ করার নিমিত্তে মেধাক্রম অনুসারে ২৫৭ জনকে মেধাতালিকা থেকে নির্বাচন ও মনোনয়ন প্রদান এবং এই প্রক্রিয়ায় ১১৩ জন প্রার্থীর ক্যাডার পদের পূর্বের সুপারিশ পরিবর্তিত হয়ে তাদের পছন্দক্রমের উপরের পদে মনোনয়ন প্রদানের সপক্ষে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট পদের মেধা তালিকায় পদসংশ্লিষ্ট যোগ্যতার নিরিখে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ২৬০টি পদ শূণ্য হলেও নতুন ২৫৭ জনকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।
বিএড/এমএড সনদ না থাকায় নিম্নবর্ণিত ৫জন রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী ধারী প্রার্থীর অনুকুলে বিগত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে প্রদত্ত ক্যাডার পদের (প্রভাষক, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) মনোনয়ন এতদ্বারা বাতিল করা হলো- ১১১৪৫০৯৫, ১১০৬৪৮০৬, ১১০৮৮০৯৮, ১১০৭৫৭৩৮, ১৩০০৫৮৬৯।
উপর্যুক্ত দফা-২-তে বর্ণিত সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে উদ্ভূত শূন্যপদে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সংশোধিত বিধি ১৭-এর উপবিধি (৩)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষা-২০২১ এর প্রস্তুত্বকত মেধাক্রম তৎসহ প্রচলিত কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুসরণপূর্বক সম্পূরক ফলাফল প্রস্তুত করত: বিগত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখের ফলাফলের সাথে সমন্বয়পূর্বক ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষা-২০২১ এর বিভিন্ন ক্যাডারের মোট ১,৭১০ (এক হাজার সাত শত দশ) টি বিজ্ঞাপিত শূন্য পদের বিপরীতে ১৬৮১ টি পদে নিয়োগের জন্য নিম্নবর্ণিত রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী যোগ্য প্রার্থীদেরকে সাময়িকভাবে (Provisionally) মনোনয়ন পদায়ন করা হয়েছে।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের পাশাপাশি একই দিন একটি ছাত্রী হল সংসদের নির্বাচনও হবে।
আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণা করেন জকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর। নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর। ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর, নিষ্পত্তি ১১ নভেম্বর। ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩,১৬ ও ১৭ নভেম্বর। এই তিন দিন সকাল নয়টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত)। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।
প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি ও নিষ্পত্তি গ্রহণ ২৪,২৫ ও ২৬ নভেম্বর। প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট ২৭ ও ৩০ নভেম্বর। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪,৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ ৯ ডিসেম্বর।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহণ ২২ ডিসেম্বর (সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত)। ভোট গ্রহণ শেষে হবে ভোট গণনা। ফলাফল ঘোষণা ২২-২৩ ডিসেম্বর।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইবিতে ভিন্নধর্মী প্রতিযোগীতা
পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা–২০২৫’ এর আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে পোস্টার উপস্থাপন করেন।
গ্রীন ভয়েস ইবি শাখার সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমন সভাপতিত্বে এবং মো. নাসিম আলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. আব্দুল আল মুহিত ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমীন খাতুন ।
বিচারক হিসেবে ছিলেন ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল জায়িম, ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি ফারহানা নওসিন তিতলী, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবির হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি সাইফুন্নাহার লাকী, জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি জান্নাতুল তামান্না এবং ইবি শাখা সমন্বয়ক ও গ্রীন ভয়েস-এর সাবেক সভাপতি এস.এম.সুইট।
পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা “শিল্পায়ন বনাম পরিবেশ: টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ”, “বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ: নিষ্কাশনে আলো সচেতনতা”, “প্লাস্টিক দূষণ: একবার ব্যবহারে শত বছরের ক্ষতি”, “মরুকরণ: মৎস্য ও ভূমি বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক ভূমিকা”, “কার্বন বাণিজ্য ব্যবস্থা: পরিবেশ রক্ষায় বাজার নীতি”, “অভ্যন্তরীণ নদী অববাহিকা ধ্বংস: বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠাপট”, “জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা সংকট” এবং “পারমাণবিক শক্তি: পরিষ্কার জ্বালানি নাকি নতুন হুমকি” ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি তাঁদের চিন্তাকে আরও পরিবেশবান্ধব ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন রানা মুরাদ বলেন, আজকের পোস্টার প্রেজেন্টেশনে অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশ-সংকট ও তার সমাধান বিষয়ে যে সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে, তা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আশার আলো। গ্রীন ভয়েস ইবি শাখা সবসময়ই পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবিক উন্নয়নের যেকোনো প্রয়াসে পাশে থাকবে।
শাখা গ্রীন ভয়েস-এর সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমন বলেন, পরিবেশ সচেতনতা মূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপরে গ্রুপ ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতাটি মূলত পরিবেশ সচেতন তরুণ সমাজ গড়তে টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ বান্ধব দেশ বিনির্মানে তরুণদের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। সেইসাথে পরিবেশ নিয়ে আগামীর প্রজন্মকে সবুজ বার্তা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডিগ্রি ১ম বর্ষ ফরম পূরণে সময় বাড়লো
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বিলম্ব ফি-সহ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ২২ অক্টোবরের মধ্যে ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং উত্তরপত্র সংশ্লিষ্ট শাখা বা আঞ্চলিক কেন্দ্রে জমা দিয়েছে, শুধু তারাই ফরম পূরণের সময় অন্যান্য ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে পারবে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফরম পূরণের আবেদন করতে পারবে ২ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীর তথ্য নিশ্চয়ন করতে হবে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এবং সোনালী সেবার মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর ফরম পূরণের কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যেসব কলেজ এখনো ফরম পূরণের কাজ শেষ করতে পারেনি, তারাও এই সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে পারবে। এ ছাড়া গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী অনিয়মিত শিক্ষার্থীরাও ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেবে ওয়েভ ফাউন্ডেশন
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনে ‘প্রোগ্রাম অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। মাসিক বেতন ৪৫ হাজার টাকা। আগ্রহী প্রার্থীরা ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়েভ ফাউন্ডেশন
বিভাগের নাম: কমিউনিকেশনস অ্যান্ড নলেজ ম্যানেজমেন্ট
পদের নাম: প্রোগ্রাম অফিসার
পদসংখ্যা: ১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর অথবা সমমান
অভিজ্ঞতা: ২-৩ বছর
বেতন: ৪৫,০০০ টাকা
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ৩০-৪০ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক ওয়েভ ফাউন্ডেশন করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজবস ডটকম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া
উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের একটি গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে দেশটিতে। সেখানকার বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশই বিদেশি।
তবে, এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি সীমিত করার পরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে দেশীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
টাইমস হাইয়ার এডুকেশনের একটি প্রতিবেদনের অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা মন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীদের মোট ভর্তি সংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত।
স্কাই নিউজকে ক্লেয়ার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া।
এমন সময় ক্লেয়ার এ কথা বললেন যখন সিডনি ইউনিভার্সিটি, মারডক ইউনিভার্সিটি আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা মোট আসনের অর্ধেকের বেশি আসন দখল করছে।
ইকোনমিক টাইমস জানায়, সিডনি ইউনিভার্সিটিতে ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪৯ শতাংশ এবং মহামারির আগে ছিল ৪৩ শতাংশ।
অন্যদিকে মারডক ইউনিভার্সিটিতে এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ শতাংশ আর আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির গত বছরই ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এই সংখ্যা।
অস্ট্রেলিয়ার অন্য শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতিও প্রায় একই রকম। ২০২৪ সালে নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৭ শতাংশ, ওলংগং ইউনিভার্সিটিতে ৪৬ শতাংশ, মনাশ ইউনিভার্সিটিতে ৪৫ শতাংশ আর মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিতে ৪৪ শতাংশ।
বিদেশি শিক্ষার্থীর ওপর অস্ট্রেলিয়ার এই বাড়তি নির্ভরতা মূলত আর্থিক চাপের কারণে, যা প্রায় দশ বছর আগে শুরু হয়। তখন সরকারের অর্থায়নের অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অতিরিক্ত রাজস্ব উৎস খুঁজতে শুরু করে।
২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সিডনি ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ১২ হাজার ৩০০ থেকে হয়েছে ২৬ হাজার।
এখন অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বার্তা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীদেরকে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা জরুরি। তবে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রাজস্ব ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।



