পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর আগেই বিনিয়োগকারীদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় বলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে। বিএসইসি-র এই সিদ্ধান্তের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক—এই পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন আজ থেকে বন্ধ থাকবে।
বুধবার এই পাঁচটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে তাদের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকগুলোতে প্রশাসকও নিয়োগ দেয়। গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্যাংকগুলোর শেয়ারের মূল্য ‘শূন্য’ ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলোর বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে শেয়ারধারীরা কোনো অর্থ পাবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের এই ঘোষণার পর গতকাল বিকেল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। আজ লেনদেন শুরুর আগেই বিএসইসি ব্যাংক পাঁচটির লেনদেন স্থগিতের কথা জানালো।
তবে শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসি বেশ বিলম্ব করেছে, ফলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের মত, সরকারের পক্ষ থেকে যখন এসব ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন বিএসইসি ব্যাংকগুলোর লেনদেন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলে নতুন করে কোনো বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হতেন না।
পুঁজিবাজার
অর্থ উপদেষ্টা-গভর্নর পদত্যাগ না করলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও
অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ১২টার মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এই ঘোষণা আসে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেয়ার শূন্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতি ‘চরম অবিচার’। তারা অভিযোগ করেন, সরকারের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উদাসীনতায় পুঁজিবাজারে আস্থা সংকট গভীর হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, “অর্থ উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাদের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।”
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী, সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. আজাদ, এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইশতেয়াকসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে তিন কোম্পানির সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৫১টির শেয়ারদর কমেছে। এরমধ্যে তিন কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ডিএসইর এফএএস ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এই তিন কোম্পানির সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর এদিন ১০ শতাংশ করে কমেছে।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- প্যাসিফিক ডেনিমস, রতনপুর স্টিল, ফারইন্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং, হামিদ ফেব্রিক্স এবং এক্টিভ ফাইনকেমিক্যালস লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
ডিএসই সূত্র মতে, কোম্পানিটির এদিন শেয়ার দর ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের শেয়ার দর ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে— সোনালী আঁশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, রানার অটোমোবাইলস, দেশ গার্মেন্টস, মনোস্পুল বাংলাদেশ, ফার্মা এইডস এবং জেমিনি সি ফুড পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়ায় তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
লেনদেনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল মনোস্পুল বাংলাদেশ। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ০৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
এছাড়াও, ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, খান ব্রাদার্স, ব্র্যাক ব্যাংক, বিএসসি এবং সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
আড়াই শতাধিক শেয়ারের দরপতন, কমেছে লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আড়াই শতাধিক শেয়ারের দরপতন হয়েছে। একই সঙ্গে টাকার অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৮ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৫ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে ১০৩৯ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ০ দশমিক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১৯৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৪১৯ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি ৪৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৫১ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এসএম



