জাতীয়
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের নিন্দা
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে- এরশাদ উল্লাহ সরাসরি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না, তবে একটি গুলির আঘাতে তিনি আহত হয়েছেন। সরকার তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে এবং ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সরকার এই ফৌজদারি ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার অটুট।
প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা কিংবা ভয়ভীতির কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতোমধ্যে হামলাকারীদের শনাক্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দল, নেতা ও কর্মীদের প্রতি শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত পরিবেশে সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।
জাতীয়
আরও দুই দেশে যেতে ভিসা লাগবে না বাংলাদেশিদের
বাংলাদেশের কূটনৈতিক, অফিসিয়াল ও সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের জন্য তিমুর-লেস্তে ভিসা অব্যাহতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশিরা এখন থেকে এই দুই এশীয় দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতির চুক্তি করা হয়।
এখন পর্যন্ত এশিয়ার ২১টি, ইউরোপের ৪টি, আফ্রিকার ১টি এবং আমেরিকার ৩টি দেশের সঙ্গে মোট ২৯টি দেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি বাংলাদেশের আছে।
জাতীয়
সৌদিতে অননুমোদিত সভা-সমাবেশে কঠোর ব্যবস্থা: সতর্কতা দূতাবাসের
সৌদি আরবে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন বা তাতে অংশ না নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস। সম্প্রতি অননুমোদিত কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি গ্রেফতার হওয়ার পর এ সতর্কতা জারি করা হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় অনুমতি ছাড়া ইভেন্ট আয়োজন, হোটেল-রেস্তোরাঁ বা ব্যক্তিগত বাসায় সমাবেশ করা ও সংগঠনের নামে ব্যানার ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কার্যক্রম সৌদি আরবের আইন লঙ্ঘন হওয়ায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দূতাবাস আরও জানায়, সৌদি আরবে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন বা অংশগ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তাই কোনো অননুমোদিত কার্যক্রমে অংশ না নিতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এছাড়া সৌদি আরবের আইন-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
জাতীয়
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির
প্রস্তাবিত স্বাধীন পুলিশ কমিশনের বাস্তব স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রণীত ‘পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, অন্যথায় অধ্যাদেশটি পুলিশ কমিশনের ওপর সরকারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং কমিশনকে সাবেক আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কর্মক্ষেত্রে পরিণত করার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধ্যাদেশের প্রস্তাবিত গঠন অনুযায়ী সাত সদস্যের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজন আমলা ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তার অন্তর্ভুক্তি কমিশনকে সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রভাবাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ঝুঁকি তৈরি করবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তমচর্চার আলোকে সাবেক ও বর্তমান আমলা-পুলিশ কর্মকর্তাদের কমিশনে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। এর পরিবর্তে বিচার, আইন, মানবাধিকার, সুশাসন ও একাডেমিক খাতের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিশন গঠনের বিধান রাখতে হবে। খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাছাই কমিটি, জনবল নিয়োগ ও আর্থিক স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারা কমিশনের বাস্তব স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ড. জামান বলেন, কমিশনের জনবল নিয়োগে সরকারের অনুমোদনের বিধান বাতিল করে এ ক্ষমতা পুরোপুরি কমিশনের হাতে দিতে হবে। প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সুপারিশই চূড়ান্ত হবে- এমন ধারা যুক্ত করতে হবে। এছাড়া কমিশনের সচিব নিয়োগের ক্ষমতাও কমিশনের হাতে ন্যস্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করার প্রস্তাব বাতিল করে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সচিবসহ সব জনবল নিয়োগের বিধান রাখতে হবে। সচিবের পদমর্যাদা ও বেতন-ভাতা সরকারের সচিবের সমান হতে হবে।
বাছাই কমিটিতে মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন নাগরিকের অন্তর্ভুক্তি এবং কমিটির সুপারিশকৃত প্রার্থীদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
সংস্থাটি আরও বলেছে, কমিশনের হাতে পুলিশি কার্যক্রম, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার পেশাগত মানোন্নয়ন, মানবাধিকার সংবেদনশীলতা এবং আইন প্রণয়নে সুপারিশ করার ক্ষমতা দিতে হবে।
টিআইবি প্রস্তাব করেছে, কমিশন প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যে ঔপনিবেশিক আমলের পুরনো পুলিশ আইন বাতিল করে ২০০৭ সালের খসড়া পুলিশ আইনের ইতিবাচক দিক বিবেচনায় সময়োপযোগী নতুন পুলিশ আইন প্রণয়নের সুপারিশ কমিশনের মাধ্যমে করতে হবে।
সবশেষে কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে ‘সরকার কমিশন কর্তৃক চাওয়া বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করবে এবং এর বাৎসরিক নিরীক্ষিত ব্যয়বিবরণী প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে- এ ধারা সংযোজনের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
জাতীয়
প্রবাসীদের ভোটার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা আবেদনগুলো দ্রুত তদন্ত ও নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগ (এনআইডি)। গত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে জমা পড়া সব আবেদনের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীদের দাখিল করা ভোটার রেজিস্ট্রেশন আবেদনগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন আবশ্যিকভাবে আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, তাদের আবেদন CMS পোর্টালের NRB মেনুতে পাওয়া যাবে। উপজেলা, থানা বা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তারা আবেদন ফরম ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিনে তদন্ত করবেন। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সংযুক্ত ছক মোতাবেক এনআইডি মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, ১ সেপ্টেম্বর বা তার পরে দাখিল করা কোনো আবেদনের সঙ্গে যদি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা না থাকে, তবে সেসব আবেদন বাতিল না করে শুধু প্রতিবেদন ছকে ‘ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই’ মর্মে উল্লেখ করতে হবে। পরে ডকুমেন্ট সংযুক্ত হলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে CMS পোর্টালে Investigation Report আপলোড করতে হবে। এরপর Action থেকে Approved/Reject করে সব আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বাতিল করা আবেদনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ/কারণগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে।
জাতীয়
কোথাও মাদকের সমস্যা থাকলে তা উচ্ছেদের এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয়: জাহেদ
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, আমরা প্রথম থেকে একটা কথা বলেছি। কোথাও যদি মাদকের সমস্যা থেকে থাকে, মানে যারা ভাসমান দোকান করেন, এইটা উচ্ছেদ করার কোনো এখতিয়ার কারো থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসমান কিছু থাকবে না, ভাসমান কোনো বিক্রেতা থাকবেন না, বাদাম বিক্রি করা যাবে না—আমরা এই ন্যারেটিভ নিই না। এই সংকটের সময় কারো পেটে লাথি দেওয়া মেনে নেওয়া যাবে না।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহেদ বলেন, মাদকসহ অন্যান্য যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আছে, সেগুলো ঠেকানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, প্রয়োজনে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাকসুর এই এখতিয়ার নেই। এটা জেনেশুনে ডাকসু তাদের মাঠে ছেড়েছে, শিবির ছেড়েছে। সুতরাং এই মাস্তানিটা শিবিরের মাস্তানি হিসেবে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, শিবির মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা সো কলড ভ্রাহ্মমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় এটা-সেটা করে বেড়াচ্ছেন, একজন মানুষ ঘুমাচ্ছে, তার জিনিসপত্র চেক করছেন, এসব নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন। এসব ঘটনা তাকে (সর্বমিত্র) সামনে ঠেলে দিয়ে করানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাবি প্রশাসন একেবারে চুপ হয়ে আছে, এই কারণে প্রশ্ন আসে যে ভিসি আদতে জামায়াত কি না। এই অভিযোগ অনেক দিন থেকে ছিল। তিনি বিরাট একাডেমিক প্রোফাইলের মানুষ হতে পারেন, কিন্তু এই অভিযোগ ছিল। কারণ আমরা দেখছি ডাকসু এবং শিবিরকে থামানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ তিনি নিচ্ছেন না। সো, এই ঘটনাগুলো আমাদের সামনে এটাও খুব স্পষ্ট করে।
সবশেষ বলেন, সরকারের দিক থেকেও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। যদি তারা থামতে না চান, নিজে থেকে তাদের থামানো দরকার। এই মাস্তানি শিবিরকে করতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে একই সঙ্গে আমি মনে করি, জনগণের বা জাতিরও দেখা উচিত, যেখানে শিবির কিছুটা এম্পাওয়ারড হয়েছে সেখানে তার চরিত্র কী হিসেবে দাঁড়াচ্ছে এটা আমাদের রেজিস্টার করে রাখা দরকার।



