রাজনীতি
গণসংযোগের সময় বিএনপির প্রার্থীসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ
জনসংযোগ চলাকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে এরাশাদ উল্লাহকে উদ্ধার করে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক পোস্টে এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লড়াই-সংগ্রামকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে আগামী ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত ‘শহীদি শপথ পাঠ’ অনুষ্ঠান শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
তিনি জানান, কর্মসূচির ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঘোষিত তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, শহীদ ওসমান হাদিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। যারা তাকে হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপোষ করা হবে না। ইনসাফ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে এসে এই আন্দোলনে যুক্ত হবেন এবং সংহতি প্রকাশ করবেন।
অনুষ্ঠানে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মেঝ ভাই সরকারকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, হত্যার বিচার না হলে একদিন সরকারকেও দেশ ছাড়তে বাধ্য হতে হবে। তার ভাষায়, জীবিত অবস্থার চেয়েও আজ শহীদ ওসমান হাদি অনেক বেশি শক্তিশালী। এই হত্যার দায় কোনোভাবেই সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমানের জন্য এসএসএফ নিরাপত্তা চায় বিএনপি
নিরাপত্তাজনিত হুমকির কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছে দলটি। তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা গত শনিবার এই আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আবেদন পাওয়ার পর গত সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে অন্তত তিনটি বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈঠকগুলোতে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, এ নিয়ে কর্মকর্তারা মিশ্র মত দিয়েছেন। কোনো কোনো কর্মকর্তা অনুরোধের পক্ষে মত দিলেও কেউ কেউ এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের যুক্তি, তারেক রহমান কোনো রাষ্ট্রীয় পদে নেই এবং তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী বা দলীয় চেয়ারপারসনও নন।
অবগত কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ (ভিভিআইপি) ও সফররত বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এসএসএফ। তবে এই তালিকার বাইরে কাউকে এসএসএফ নিরাপত্তা দিতে হলে সাধারণত সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের শুরুতে এসএসএফ নিরাপত্তার জন্য আবেদন করে বিএনপি। দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশি সময় নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে তারেক রহমানের সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে গত জুনে তার জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি ও বাড়তি নিরাপত্তার আবেদন করেছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, তারেক রহমান যদি গুলশানে তার মায়ের বাসভবনে অবস্থান করেন, তবেই কেবল এসএসএফ নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ খালেদা জিয়া ভিভিআইপি হওয়ায় তার বাসভবনটি ইতোমধ্যেই এসএসএফ নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে।
‘অন্যথায় তাকে আলাদাভাবে এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া হলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকেও একই ধরনের দাবি ওঠার পথ প্রশস্ত হবে,’ বলেন ওই কর্মকর্তা।
দলীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিয়ে গঠিত চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) ভিড় সামলাতে সক্ষম হলেও বড় ধরনের বা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতা তাদের নেই।
তিনি আরও জানান, সিএসএফ একটি বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেও তারেক রহমান যখন প্রকাশ্যে চলাচল করবেন বা বড় জনসভায় অংশ নেবেন, তখন তাকে পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেওয়ার মতো সরঞ্জাম তাদের নেই। তিনি বলেন, ‘এসএসএফ সবচেয়ে দক্ষ। তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গলে। কোন কোন জায়গা থেকে হুমকি আসতে পারে, তারা সেদিকেই নজর রাখে, ডিফেন্স ম্যানেজমেন্টর জন্য সেরা এসএসএফ।’
অতীতের উদাহরণ টেনে আকবর উল্লেখ করেন যে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচনি প্রচারণার সময় খালেদা জিয়াও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখনো সরকার ইচ্ছা করলে এসএসএফ দিতে পারে। কারণ তারেক রহমানের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সদিচ্ছাই সবচেয়ে বড়।’
বিমানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি
এদিকে এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের দুইজন কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ফ্লাইটেই তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
গত শনিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রমতে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ওই দুই ক্রুর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইট। তারেক রহমান এই ফ্লাইটে চড়ে ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ জানায়, এই ফ্লাইটে প্রথমে জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম জিনিয়ার দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। তবে পরে তাদের সরিয়ে ফ্লাইট পার্সার মোস্তফা ও স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় নিরাপত্তা প্রস্তুতি
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, তার আগমনের দিন পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার প্রায় ২ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা ও তার বাসভবনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তবে চূড়ান্ত নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ও তারেক রহমানের বাসভবন দেয়ালঘেঁষা হওয়ায় দুটি বাসা ও তারেক রহমানের অফিসকে একই নিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে। বিশেষ করে বাসা ও অফিসের মধ্যকার দূরত্ব ও চলাচলের পথকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রমতে, ২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে পুলিশের বিশেষ নজরদারি শুরু হতে পারে। ২৫ ডিসেম্বর রুটজুড়ে প্রতিটি থানা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং বিশেষ এসকর্টসহ একাধিক চেকপোস্ট থাকবে।
বর্তমানে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অন্তত ৯টি চেকপোস্ট চালু রয়েছে, যেখানে সার্বক্ষণিকভাবে ১৫০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। তারেক রহমানের আগমনের আগে চেকপোস্টের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে; প্রয়োজন অনুযায়ী তার বাসভবনের আশপাশেও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
প্রস্তুতির বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রওনক আলম বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে। তবে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা ঠিক হয়নি। ‘আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সান হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামসুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল নিশ্চিত করেছেন, তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরপরই আগামী ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করবেন।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। যেহেতু পরদিন শুক্রবার, তাই ২৭ ডিসেম্বর শনিবার তিনি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।’
এমকে
রাজনীতি
নির্বাচনি তহবিলে ১৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকা পেলেন তাসনিম জারা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত ঢাকা-৯ আসনের এমপি প্রার্থী এবং দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা নির্বাচনি ব্যয় মেটাতে জনগণের কাছে অর্থ সহায়তা চেয়েছেন৷ এজন্য নিজের বিকাশ পার্সোনাল নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করেছেন৷ একই সঙ্গে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বার্তা পাঠানোর পরামর্শও দিয়েছেন৷
ডা. তাসনিম জারা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার অর্থসহায়তা চাওয়ার ঘোষণার পর নির্বাচনি ব্যয় তহবিলে ১৪ ঘণ্টায় ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি৷
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফেসবুক পোস্টে ডা. জারা লেখেন, মাত্র ১৪ ঘণ্টায় আপনারা ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ডোনেট করেছেন, যা আমাদের ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও বেশি। আপনাদের অকল্পনীয় সাড়া ও ভালোবাসায় আমরা অভিভূত।
তিনি লেখেন, আমাদের টার্গেট ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা। এটা পূর্ণ হলেই আমরা ফান্ডরেইজিং বন্ধ করে দেবো।
এনসিপির এ প্রার্থী লেখেন, একটি জরুরি আপডেট—আমাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের লিমিট আজ রাত ২টার সময় শেষ হয়ে গেছে। যারা এখনো অনুদান পাঠাতে চাচ্ছেন কিন্তু বিকাশ সমস্যার কারণে পারছেন না, তারা দয়া করে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডোনেট করবেন।
তিনি লেখেন, আমি শুরু থেকেই একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, এই ফান্ডরেইজিং হবে পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে। এটা নিশ্চিত করতে আমরা কী কী করছি?
১. আমরা ক্যাশ ডোনেশন না নিয়ে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ডোনেশন নিচ্ছি। তাই আমাদের প্রাপ্ত প্রতিটি টাকার একটি রেকর্ড থাকছে, যা আমার টিমের দ্বারা তৈরি না, বরং বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই রেকর্ড ভবিষ্যতে যাচাইযোগ্য থাকবে।
২. আমরা আপনাদের নিয়মিত জানাচ্ছি যে, এখন পর্যন্ত মোট কত টাকা সংগ্রহ হয়েছে। কোন মাধ্যমে কত টাকা এসেছে। এসব ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জমা দেবো। নির্বাচন কমিশন এটা যাচাই করতে পারবে।
৩. কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে, তা আপনাদের স্পষ্ট করে জানানো হবে।
তাসনিম জারা আরও লেখেন, এছাড়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আপনাদের আরও পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
এমকে
রাজনীতি
সরকার ও ইসিকে কড়া হুঁশিয়ারি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড দেখে ‘নতুন করে অনেক কিছু শিখেছেন’ বলে কটাক্ষ করেছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেছেন, ‘হালার পো হালারা কী মনে করছে বাংলাদেশটাকে। ইলেকশন কমিশনের প্রধান সবাইকে ডাকছে, আমাদের ডাকে নাই কেন? রাস্তাঘাটে চলবেন না? আমরা দেখছি তো। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তারা সবচেয়ে বেশি শক্তিধর হয়।
মঞ্জুর জেপি এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির একাংশের নেতৃত্ব ২০টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে।
বনানীর হোটেল শেরাটনে সেই সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেখানে এমন কোনো অবস্থা যেন সৃষ্টি করতে না হয়, যে জান বাঁচাবার জন্য প্রতিহত প্রতিরোধ করে ফেলতে হয়।
আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি নির্বাচন অংশগ্রহণ করার জন্য। যদি নির্বাচন করার মতো পরিবেশ থাকে, পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় এবং যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে… মামলা সব মিথ্যা, সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ তিনি বলেন, ‘মামলা যারা খায়, তারা পরবর্তীকালে দেশ এবং জাতির নেতা হয়। তারা পুনরায় আসে। তারা পুনরায় দেশবাসীকে উপদেশ দেন। আমাদের জীবন কেটে গেছে।’
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পিরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগামীতে পরিবর্তন হবে, তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখছি না। বরং অবনতি হওয়ার সুনির্দিষ্ট সংকেত আমরা পাচ্ছি। আমরা নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।
গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। সে জন্য নির্বাচন বয়কটের কথা আমরা চিন্তা করি না। কিন্তু নির্বাচন বয়কটের অবস্থা যদি আমাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের কোনো উপায় নাই।’
তিনি বলেন, ‘আসেন আমরা এটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করি, একটা পরিবেশ সৃষ্টি করি, যাতে দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে ও নির্ভয়ে জীবন যাপন করতে পারে। সবাই কিন্তু আপনাদের পেছনে এই লাড্ডু খাওয়ার জন্য ঘোরে না। সাধারণ মানুষ, ১৮ কোটি মানুষ তারা কী চায়? তারা চায় নির্ভয়ে জীবনযাপন। কর্মীরা আছেন, তাদের একটাই চিন্তা যে অ্যারেস্ট করবে না। বাকিটা আমরা দেখব। সে জন্য বলি আসেন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করি।’
সরকারের সমালোচনা করে মঞ্জু বলেন, ‘কী বলে কী বিপদে পড়ব…। আমি তো বিপদে পড়ব না, আপনারা বিপদে পড়বেন। সে জন্য বলি, আসেন দেশটাকে গড়ি, আসেন একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করি।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কার কাছে নির্বাচন চাব, এরা কারা? আপনারা চেনেন? আমি তো চিনি না। আপনারা চেনেন? কারা আইসা কী কইতাছে! নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা, শান্তিপূর্ণ-উৎসবমুখর করার কথা! এটা আমেরিকায় দেখা যায়, পশ্চিম দেশে দেখা যায়। আমি আইছি ভাণ্ডারিয়া থেকে। দেখলাম, ভালোই লাগল। নতুন নতুন জিনিস, শিখলাম।’
সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট আয়োজনের সমালোচনা করে জেপি নেতা বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যারা যাবে, দুইটা ভোট দেবে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এমনিতে মাথা খারাপ থাকে অভাব-অনটন ও অশান্তির কারণে। এখন নির্বাচনকেন্দ্রে যাইয়া কী অবস্থা করবে আল্লাহ জানে। আমি জানি, কারণ তারা একটাই দিতে পারত না ঠিকমতো, এখন দেখবে ওটা (গণভোটের ব্যালট)।’
মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচন হবে, নির্বাচন হলে আমরা অংশগ্রহণ করব। যদি আমাদের নির্বাচন করতে দেয়। এই মুহূর্তে কিন্তু আমরা দাওয়াত পাইনি, দুই-তিনটা দলকে দাওয়াত করছে। তারপরে বলছে যার যার ইচ্ছা আসুক।’
এমকে
রাজনীতি
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন রুমিন ফারহানা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দফায় প্রার্থী ঘোষণা করলেও শুরুতে জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬) ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার আসন সমঝোতায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জোটপ্রার্থী জুনায়েদ আল হাবিবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। যদিও বহুল আলোচিত এই আসনে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার সম্ভাবনার কথা থাকলেও জোটের সঙ্গে সমঝোতার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মনোনয়ন পাননি।
মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রুমিন ফারহানা।
তিনি জানান, দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।
সমঝোতায় জোটকে ছেড়ে দেওয়া আসনে নির্বাচন করলে দলীয় কোনো কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে পড়তে হবে কিনা- এমনটা জানতে চাইলে প্রত্যুত্তরে রুমিন ফারহানা বলেন, আশা করা যায় সেটা আমার সঙ্গে হবে না। মনোনয়ন কেনার আগেই সম্মানের সঙ্গে দল থেকে পদত্যাগ করবো। দু’একদিনের মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবো। স্বতন্ত্র প্রতীক হিসেবে কোনটা পাবো বা দেওয়া হবে সেটা না হয় পরে দেখা যাবে। আরেকটা কথা না বললেই নয়, আশা করি অত্র এলাকার মানুষের ভালোবাসা এখনো আমার সঙ্গে আছে। তারা এর জবাব ভোটের মাধ্যমেই দেবে।
এমকে




