রাজনীতি
বিএনপিতে যোগ দিলেন মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-তে যোগদান করেছেন। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে তিনি যোগ দিতে আসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্নিগ্ধের যোগদানের কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
এবার এনসিপি নেতার মাথায় গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। তার নাম মোতালেব শিকদার। তিনি এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং দলটির শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রকাশ্যে তার মাথায় গুলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মুস্তাফিজ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মোতালেবকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। উপস্থিত জনতা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। হামলার কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।
ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন তিনি।
রিকশায় থাকা অবস্থায় হাদির মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলে সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে দুঃখজনক এই খবর পৌঁছে দেশে, ক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। পরদিন আসে মরদেহ, এরপর ঠিক হয় বিদায় জানানোর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা।
শনিবার ময়নাতদন্তের পর জাতীয় সংসদ সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয় বিপ্লবী এই তরুণকে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে দাফন করার দুই দিন পর খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনা ঘটলো।
রাজনীতি
বিএনপি ধ্বংসের কিনারা থেকে দেশকে রক্ষা করবে: তারেক রহমান
অতীতের মতোই বিএনপি দেশকে ধ্বংসের কিনারা থেকে রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, অতীতেও ধ্বংসের কিনারা থেকে দেশকে রক্ষা করেছে বিএনপি, এবারও করবে। তবে, সামনে কঠিন সময় আসছে। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
বক্তব্যের শুরুতেই গুলিতে প্রাণ হারানো ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির স্মৃতিচারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকে এই যে ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন, এই মানুষটিও কিন্তু গণতন্ত্রের পথেই ছিলেন। এই মানুষটিও কিন্তু আগামী নির্বাচনের একজন প্রার্থী ছিলেন। এটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে শহীদ ওসমান হাদী নিজেও গণতন্ত্রের বা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। কাজেই আজকে শহীদ ওসমান হাদির প্রতি যদি সম্মান রাখতে হয় আমাদেরকে, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের প্রতি যদি সম্মান রাখতে হয়, একাত্তরের শহীদদের প্রতি যদি সম্মান রাখতে হয়, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যদি সম্মান রাখতে হয়, তাহলে আমাদের একটাই লক্ষ্য হতে হবে— দেশের মানুষের জন্য যেভাবে হোক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশের জন্য কাজ করা দেশকে সামনে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, দেশ এখন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে, বগুড়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, জুলাই শহীদদের স্মরণে স্থাপিত হয়েছে এই ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ। জুলাই আন্দোলনে আমরা যে সকল ভাইদেরকে হারিয়েছি, যারা শহীদ হয়েছেন, স্বাভাবিকভাবেই তারা এই প্রজন্মের তরুণ সদস্য ছিলেন। এই প্রজন্মের বা এই যুগের অন্যতম আবিষ্কার বা অন্যতম খুব পপুলার একটি মাধ্যম হচ্ছে আইটি মাধ্যম। ইন্টারনেট যেটিকে আমরা বলি। স্বাভাবিকভাবে এই ইন্টারনেটের সাথে আমাদের তরুণ প্রজন্ম যারা, এখন তাদের একটা খুব নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু, এই ইন্টারনেটের একটি সমস্যা হয়তো রয়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ব্যয়বহুল। সবার জন্য অনেক সময় এফোর্ড করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
ইন্টারনেট সুবিধা তরুণদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করে তারেক রহমান বলেন, আল্লাহর রহমতে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনে সরকার গঠনে সক্ষম হলে আমরা এই ইন্টারনেট সেবাটাকে আরও সহজ করে আনতে চাই মানুষের জন্য। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য। যেমন, আজ আজিজুল হক কলেজে যে কানেকশনটা দেওয়া হয়েছে, এটি ফ্রি কানেকশন। যে কোনো সদস্য এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফ্রি ইন্টারনেট পাবে। এক দেড় ঘণ্টা পরে সেটা ডিসকানেক্ট হয়ে যাবে। তখন আবার নতুন করে সে ওটাতে লগইন করতে পারবে। অর্থাৎ তার যতক্ষণ সময় সেটি করতে পারবে এবং এটির জন্য তাকে কোন পে করতে হবে না।
এ সময় দেশের আইটি পার্কগুলোর অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত স্বৈরাচারের আমলে জনগণের অর্থ তসরুপ করার মাধ্যমে তারা কতগুলো ডিজিটাল পার্ক তৈরি করেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এই ডিজিটাল পার্কগুলোতে কিন্তু কোনও কাজ হয় না। ম্যাক্সিমাম বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। আমরা এগুলোকে রিফারবিশ করবো।
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এক লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে চাই। এক লাখের মধ্যে অন্তত ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ নারী স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে চাই আমরা।
বিদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা তরুণদেরকে ভাষা শিক্ষা দেব। তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ট্রেনিং আমরা দেব, ওখানে সহজে যাতে সে চাকরি পেতে পারে। আমরা এভাবে পুরো পরিকল্পনা সাজাচ্ছি।
বক্তব্যের শেষে বিএনপির ৩১ দফা ও নতুন স্লোগানের ওপর জোর দিয়ে তারেক রহমান বলেন, মূল কথা হচ্ছে আমাদের মূল কাজ এখন একটাই— করবো কাজ, গরবো দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ। এটাই হতে হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। এটাই হতে হবে মূল টার্গেট।
অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি জিয়াউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
কাল সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ইনকিলাব মঞ্চ
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দুই দফা দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার দুপুর ১২টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের কর্মসূচি ঘোষণা করবে প্লাটফর্মটি। আজ রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দশ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ও উচ্চকিত সম্মতিতে ঘোষিত ইনকিলাব মঞ্চের ২ দফা দাবির ১ দফাও মানা হয় নাই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সহ-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দেয় নাই। সিভিল-মিলিটারি গোয়েন্দা সংস্থার ওপর প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপনপূর্বক সেসব সংস্থা থেকে হাসিনার চরদের গ্রেপ্তার করা হয় নাই।
অ্যাডিশনাল আইজিপিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে শহীদ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনাকে তুচ্ছ ও অগুরুত্বপূর্ণ দেখানো হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীর কর্মসূচি ও দাবি নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করছি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) শাহবাগ থেকে দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা দেয় ইনকিলাব মঞ্চ।
তাদের দফাগুলো হলো-
১. ওসমান হাদিকে হত্যাকারী, হত্যার পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারীসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
২. সিভিল মিলিটারি ইন্ট্যালিজেন্স আওয়ামী দোসরদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
একইসঙ্গে রোববার বিকেলের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টাকে জনগণের সামনে এসে জবাবদিহিতা করতে বলে ইনকিলাব মঞ্চ। তা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানাবে বলে ঘোষণা দেয় প্লাটফর্মটি।
এমকে
রাজনীতি
ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অতীতেও ধ্বংসের কিনারা থেকে দেশকে রক্ষা করেছে বিএনপি, এবারও করবে। তবে সামনে কঠিন সময় আসছে, তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
রবিবার বিকেলে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতেই শহীদ ওসমান হাদির স্মৃতিচারণা করে তারেক রহমান বলেন, ‘ওসমান হাদি ছিলেন গণতন্ত্রের অকুতোভয় সৈনিক। তিনি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বলেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও যোদ্ধাদের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে সবাইকে একযোগে দেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশ এখন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে বগুড়ায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নির্মিত ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এমকে
রাজনীতি
হাদির জানাজাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন জামায়াতের ৬ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। জানাজায় আগত সর্বসাধারণকে সার্বিক সহযোগীতা করতে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের ৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছেন।
শনিবার বেলা ২টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে জানাজাস্থলে আসতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জরো হচ্ছেন। ছাত্র-জনতার খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জানাস্থলে প্রবেশ করছেন। রাস্তার পাশেই কয়েকজনের ছোট ছোট টিম হয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের। স্বেচ্ছাসেবকের পোশাক শরীরে জানাজায় আগত সর্বসাধারণকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা।
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ঢাকা মহানগর উত্তরের যুব ওয়ার্ডের জামায়াত নেতা সাকিব ইসলাম জানান, দলের নির্দেশে তারা এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। ঢাকার দুই মহানগরীর ৬ হাজারের বেশি নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা জানাজা থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও তাদের স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শহীদ ওসমান হাদির মতো একজন বীরের জানাজায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী যে আন্দোলন ওসমান হাদি ভাই শুরু করেছেন, আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও সে আন্দোলন জারি রাখব।
এদিকে জানাজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। পুলিশ, র্যাব, আনসার, সেনাবাহিনীসহ অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড় ৯ টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমাগারে রাখা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সংসদ ভবন এলাকায় হাদির মরদেহ আনা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা হাদিকে গুলিবর্ষনকারী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে শনাক্ত করে। ওই আসামি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। পরে সেখানে অপারেশন চলাকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমকে




