জাতীয়
নির্বাচন বানচালে বড় শক্তি কাজ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচন বানচালের জন্য দেশের ভেতর থেকে, বাহির থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ছোটখাটো না, বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালে চেষ্টা করবে। হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড়ঝাপ্টা আসুক আমাদের সেটা অতিক্রম করতে হবেই।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম তা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার আসবে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে বাইরে থেকে খুবই পরিকল্পিতভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হবে। এআই ছবি ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। এটাকে সামাল দিতেই হবে। একটা অপপ্রচারের রচনা হওয়া মাত্র সেটা ঠেকাতে হবে। যেন ছড়াতে না পারে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসব মুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। নির্বাচনী নীতিমালা, ভোট কেন্দ্রের নিয়ম, কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কি করতে হবে, এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব জানান, ইলেকশন কমিশন এবং কালচারাল মিনিস্ট্রিকে আরো যত টিভিসি, ডকুমেন্টারি বা আরো ভিডিও যত তৈরি করা যায় এবং এটা যেন খুব দ্রুত ইউটিউব এ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে আসে, সবাই যেন এটা দেখে নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে পারে, তার নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয়
মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার
কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, আমি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এ নির্দেশ দিলাম। কারণ আমরা আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ও নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সেই জন্য আমরা কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার নিয়ে কারসাজি বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা বরদাশত করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই বিষয়টি প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। দায়িত্বে অবহেলা কিংবা পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নির্বাচনকালীন তথ্য সংগ্রহ ও সংবাদ প্রকাশে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাজনৈতিক নেতারাও নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়ম এড়াতে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় হাজীগঞ্জ ইউএনও মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান, থানার ওসি মো. আ. জব্বার, হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামান শামীম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এমএ রহিম পাটোয়ারি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকীসহ বিভিন্নস্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতি
রবিবার আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনায় বসছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষ্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় সভায় বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২১ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এই সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় দেশের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নির্বাচনের আগে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে যৌথ বাহিনীর ভূমিকা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ। প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রণীত ‘আচরণ বিধিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখা এবং বিধি বাস্তবায়ন ও বিবিধ বিষয়ে পর্যালোচনা।
যাদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে; সভার গুরুত্ব বিবেচনায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণ; প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি); এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকরা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার।
জাতীয়
পর্যবেক্ষক ও বিদেশি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানালো ইসি
আসন্ন গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের গণভোট ও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
ইসি জানায়, যারা এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী, তাদের আগামী ১৭ জানুয়ারি মধ্যে আবেদন করতে হবে। ‘আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিদেশি সংবাদমাধ্যম নীতিমালা ২০২৫’-এর নির্দিষ্ট ধারা (২.৩, ২.৪, ২.৫, ২.৬ এবং ৩.১) অনুসরণ করে এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালা ও প্রয়োজনীয় আবেদন ফরম কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd) থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
আবেদন বা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত যেকোনো জিজ্ঞাসার জন্য ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক জনাব মো. রুহুল আমিন মল্লিকের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে । আগ্রহী ব্যক্তি বা সংস্থা তাকে ইমেইল (dirpr@ecs.gov.bd) অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে (+৮৮০১৭১৫২৯৫০৪৬) সরাসরি খুঁজে পাবেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপস্থিতি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
জাতীয়
৫ বছর জীবিত না ফিরলে ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল
‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ফলে কোনো ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর গুম থাকলে এবং জীবিত না ফিরলে ট্রাইব্যুনাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিস-অ্যাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল’র জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবেন।
ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
জাতীয়
নিরাপত্তা নিয়ে দূতাবাসগুলোকে আশ্বস্ত করলো সরকার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবেন, ব্রিফিংয়ে সেটা তাদের জানানো হয়েছে। তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতে আমন্ত্রণও জানানো হয়।
এছাড়া স্বশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনশৃঙ্খলার রক্ষার্থে সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছেন, সেটা তাদের জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দূতাবাসগুলোকে তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও আশ্বস্ত করা হয়।
ব্রিফিংয়ে ঢাকার দূতাবাসগুলোর প্রায় ৪০ জন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।




