ধর্ম ও জীবন
পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও মুক্তি লাভে যে দোয়া পড়বেন
ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা অফিস-ব্যবসার কাজে অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন। তবে সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন ঋণগ্রহীতা। আবার ঋণের সঙ্গে একবার জড়িয়ে পড়লে সহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়াও দায়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৩৯০) এ ক্ষেত্রে কেউ যেন গড়িমসি না করে সে বিষয়েও তাগিদ দিয়েছেন নবীজি (সা.)। তবে কেউ যদি একান্তই কোনোভাবে ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে ঋণমুক্তির জন্য দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন বিশ্বনবী (সা.)।
এমনকি খোদ নবীজিও (সা.) ঋণের বোঝা থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করতেন। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন- হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও লোকজনের আধিপত্য থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯২৯)
এ ক্ষেত্রে কারও যদি পাহাড় সমপরিমাণও ঋণ থাকে তবে বিশেষ একটি দোয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিন ওই ব্যক্তির ঋণমুক্তির পথ সহজ করে দেন। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, একবার জনৈক মুকাতিব (বিনিময়মূল্যের ভিত্তিতে মালিকের সঙ্গে মুক্তির চুক্তি করা) গোলাম আলী রা. এর কাছে এসে বলল- আমি আমার চুক্তি অনুসারে বিনিময়মূল্য দিতে অপারগ হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে কিছু সাহায্য করুন। জবাবে আলী রা. বললেন- আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালিমা শিখিয়ে দেব যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছিলেন? তোমার জিম্মায় যদি ছবীর পাহাড় (তায় কাবীলায় অবস্থিত আরবের একটি বড় পাহাড়) ঋণও থাকে, তবে এতে আল্লাহ তা’য়ালা তাও আদায় করে দেবেন। এরপর আলী রা. কালিমাটি শিখিয়ে দিয়ে বললেন- তুমি বলবে-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা: আল্লাহুম্মাক-ফিনি বি-হালালিকা, আন-হারামিকা, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান-সিওয়াকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! হারাম থেকে মুক্ত রেখে তোমার প্রদত্ত হালাল বস্তুই আমার জন্য যথেষ্ট করে দাও। তোমার অনুগ্রহে তুমি ছাড়া অন্য সবকিছু থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দাও। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৬৩)
কাফি
ধর্ম ও জীবন
শেষ হলো টঙ্গীর পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের অধীনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরানাদের জোড় ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো ইজতেমা ময়দান। দোয়ায় অংশ নেন প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মুসল্লি।
এদিন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে দোয়া শুরু হয়ে ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয়। ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে কম্পিত হতে থাকে সমগ্র টঙ্গী ময়দান। দোয়ার মুহূর্তে মাঠজুড়ে কান্নার রোল পড়ে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমেদ বাটলা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
তিনি জানান, এবারের জোড়ে ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ হলো- পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, ইয়েমেন, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, জার্মানি, জাপান, চাঁদ, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মিশর, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
ইজতেমা চলাকালে মোট ৬ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে।
এমকে
ধর্ম ও জীবন
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করলেন আজহারী
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। খালেদা জিয়ার এমন অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, এই মুহূর্তে গোটা জাতি তাঁকে আন্তরিক দুআয় স্মরণ করছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরও লেখেন, নানা বিভক্তি ও বিভাজনের এ দেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এ ক্ষেত্রে অনন্য। দেশপ্রেম ও অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি প্রায় সবার কাছে বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধার আসন অলংকৃত করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই মুহূর্তে গোটা জাতি তাকে আন্তরিক দুআয় স্মরণ করছে। দলমত নির্বিশেষে অগণন মানুষের এমন দোয়া ও ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই পরম সৌভাগ্যের।
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, আমি দেশের জন্য সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করা ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল এ মহিয়সী নারীর রোগমুক্তি ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন।
এমকে
ধর্ম ও জীবন
বাউলের সম্মান বেশি দিলে মানসিক চিকিৎসা দরকার: মোক্তার আহমেদ
জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা প্রফেসর মোক্তার আহমেদ বলেন, “যাদের কাছে আল্লাহর সম্মানের চেয়ে বাউলের সম্মান বেশী, তাদের মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে মোক্তার আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।
তিনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মুসলিম সমাজকে আল্লাহর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
এমকে
ধর্ম ও জীবন
স্বাধীনতার ৫০ বছরে আলেমদের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্র: আহমাদুল্লাহ
স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাষ্ট্র দেশে আলেম সমাজের অবদানের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্র বলে এমন মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
ররিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করতে আলেম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই পরিবর্তনে রাষ্ট্রকে সহায়তা করার জন্য আলেম সমাজ প্রস্তুত। তবে তার জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয়ভাবে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ধর্ম ও জীবন
ভূমিকম্পের তীব্রতা ভয়াবহ হলে শেষ আমল হতো ফজরের নামাজ: আজহারী
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, কম্পনটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
এই ভূমিকম্পের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হলে আমাদের শেষ আমল কী হতো এবং কতজন আসলে আমলকারী ব্যক্তির কাতারে থাকতে পারতাম, এমন প্রশ্ন রেখেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘ভেবে দেখেছেন কি? আজ ভূমিকম্পের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হলে খুব কম সংখ্যক মানুষের শেষ আমল হতো ফজরের নামাজ। সেই লিস্টে আপনি থাকতেন তো?’
তিনি বলেন, “উত্তর ‘না’ হলে, শুধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এখনো। এই কম্পনে টের না পেলেও, চূড়ান্ত কম্পন কিন্তু ঠিকই টের পাইয়ে দিবে। তাই আসুন, সময় থাকতে নিজেদের শুধরে নিই।”
পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমরা কি নিশ্চিত হয়ে গেছো যে, যিনি আসমানে রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে সহ এ জমিনকে ধ্বসিয়ে দেবেন না, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে?” (সুরা আল-মুলক, আয়াত : ১৬)



