Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

আন্তর্জাতিক

জলবায়ু পরিবর্তনে দারিদ্র্যে ভুগছে ১১০ কোটি মানুষ: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

Published

on

সাপ্তাহিক

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বের ১০৯টি দেশের ৬৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ১১০ কোটি মানুষ (প্রায় ১৮ শতাংশ) চরম বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে ভুগছে। সরাসরি জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের প্রায় ৯০ কোটি মানুষ যা মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

পোভার্টি হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটি (ওপিএইচআই)-এর যৌথ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৮ কোটি ৭ লাখ মানুষ অন্তত একটি জলবায়ু সমস্যা সরাসরি সম্মুখীন । এর মধ্যে ৬০ কোটি ৮ লাখ চরম তাপে, ৫৭ কোটি ৭ লাখ দূষণে, ৪৬ কোটি ৫ লাখ বন্যায়, এবং ২০ কোটি ৭ লাখ খরায় ভুগছে। প্রায় ৬৫ কোটির বেশি মানুষ অন্তত দুই ধরনের ঝুঁকিতে, ৩০ কোটির বেশি মানুষ তিন বা চার ধরনের বিপদের সম্মুখীন এবং ১ কোটি ১ লাখ মানুষ এক বছরে সব চারটি বিপদই অনুভব করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য ও জলবায়ু বিপদের যুগপৎ উপস্থিতি এখন বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই পরিমাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে শিশু মৃত্যুহার, বাসস্থান, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ, এবং শিক্ষার মতো মৌলিক সূচক। এদের অর্ধেকেরও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক হাওলিয়াং শু বলেন, খরা, বন্যা, তাপপ্রবাহ বা বায়ুদূষণের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কেউই পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কিন্তু সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীই এর সবচেয়ে কঠিন প্রভাবের শিকার। নভেম্বর মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন COP30 জলবায়ু সম্মেলন বিশ্বনেতাদের জন্য একটি সুযোগ, যেখানে জলবায়ু পদক্ষেপকে দারিদ্র্য মোকাবিলার পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করতে হবে।

প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ দে লা সিয়েরা শহরের বাইরে বসবাসরত গুয়ারানি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য রিকার্ডোকে।

রিকার্ডো দিনমজুর হিসেবে অল্প আয়ে ১৮ জনের সঙ্গে একটি ছোট ঘরে বসবাস করেন। স্ত্রী, তিন সন্তান, বাবা-মা এবং আরও কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে একটি ঘরে তাদের বসবাস। বাড়িতে মাত্র একটি বাথরুম, কাঠ ও কয়লায় চালিত রান্নাঘর, এবং কোনো শিশুই স্কুলে যায় না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহারার দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ দারিদ্র্যের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরম তাপমাত্রা, খরা, বন্যা ও বায়ুদূষণ—এই চারটি জলবায়ু ঝুঁকির কারণে এই অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউএনডিপি প্রতিবেদনটি উপসংহারে বলেছে, একাধিক ঝুঁকির মোকাবিলা করতে হলে মানুষ ও পৃথিবী উভয়কেই অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং স্বীকৃতি থেকে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপে রূপান্তর।

শেয়ার করুন:-

আন্তর্জাতিক

ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: জয়শঙ্কর

Published

on

সাপ্তাহিক

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, তিনি (হাসিনা) যে পরিস্থিতির মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সেটিই এখন তার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। রোববার (০৬ ডিসেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এ সময়ে দেশে বিক্ষোভে শত শত মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজারো মানুষ আহত হন। ৭৮ বছর বয়সী হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অনুপস্থিত অবস্থায় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এ মামলাটি ছিল তার সরকারের গত বছরের ছাত্র আন্দোলন দমনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সামিটে এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, তিনি যে পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, সেটিই এখন মূল বিষয়। তার সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী দেশে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ দেখতে চায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তারা অতীতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। যদি সমস্যা নির্বাচন হয়, তবে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী এবং দুই দেশের সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা চাই জনগণের ইচ্ছা একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।

এমকে

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি

Published

on

সাপ্তাহিক

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত; বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে দুই দেশের কর্মকর্তারাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আফগান তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, পাকিস্তানি বাহিনী কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেন, আফগান বাহিনী চামান সীমান্তে অযৌক্তিকভাবে গুলি চালানো শুরু করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

অন্যদিকে, পাকিস্তানের মুখপাত্র মুশাররফ জাইদি বলেন, পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং নিজেদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তায় অঙ্গীকারবদ্ধ। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্যর্থ শান্তি আলোচনার পর এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো। যদিও উভয় দেশই নাজুক যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গত সপ্তাহে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল কাতার, তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনার সর্বশেষ ধাপ, যার উদ্দেশ্য ছিল অক্টোবরের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর উত্তেজনা কমানো।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরোধের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নিরাপত্তা ইস্যু। ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তানে আশ্রয় নেয়া জঙ্গিরাই পাকিস্তানে সাম্প্রতিক হামলাগুলো চালিয়েছে। এসব হামলার মধ্যে আফগান নাগরিকদের জড়িত আত্মঘাতী বোমা হামলার কথাও উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। তবে কাবুল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করা যাবে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবরে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়ায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান, যেখানে প্রাণ হারান বহু মানুষ।

এমকে

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

আরও ৩০ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

সাপ্তাহিক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়েম জানান, বর্তমানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ফক্স নিউজের দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোয়েম বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং কোন দেশগুলো তালিকায় যুক্ত হবে- তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গত জুনে ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন, পরে আরও ৭টি দেশের নাগরিকের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। নোয়েম জানান, এই নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী ও অ-অভিবাসী উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। যেমন, পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীরাও এর আওতায় আসবেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

নোয়েম বলেন, ‘যদি কোনো দেশের সরকার স্থিতিশীল না থাকে বা তাদের নাগরিকদের পরীক্ষা করতে সাহায্য না করে, তাহলে কেন আমরা তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেব?’

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারিত হলে, সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের গুলিবর্ষণের পর শুরু হওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত হবে।

তদন্তে জানা গেছে, গুলিবর্ষণটি একজন আফগান নাগরিকের দ্বারা সংঘটিত হয়, যিনি ২০২১ সালে পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। গুলিবর্ষণের কয়েকদিন পর, ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন, যদিও কোনো দেশ নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এর আগে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প তার পূর্বসূরী, জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে অনুমোদিত আশ্রয় মামলা ও ১৯টি দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পর্যালোচনা করেছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প অভিবাসন প্রয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়ে নগরগুলোতে ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন এবং সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস আসিম মুনির

Published

on

সাপ্তাহিক

ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাঠানো সারসংক্ষেপ অনুমোদন করে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এ নিয়োগ চূড়ান্ত করেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ বছরের শুরুর দিকে ফিল্ড মার্শালের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া মুনির আগামী পাঁচ বছর চিফ অব আর্মি স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ভারতের সঙ্গে মে মাসের যুদ্ধের পর মুনিরকে ফিল্ড মার্শালের পদে উন্নীত করা হয়—যা ছয় দশকের বেশি সময় পর দেশটিতে দ্বিতীয়বার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

নিয়োগের ঠিক আগে ইসলামাবাদে মুনির বলেন, সবকিছু ভালো দিকে যাচ্ছে। সবই আপনাদের সামনে। পাকিস্তান এখন থেকে আরও উন্নতির দিকে এগোবে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট জারদারি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন। তার বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ ২০২৬ সালের মার্চে শেষ হবে।

নতুন সামরিক পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে সাম্প্রতিকভাবে পাস হওয়া পাকিস্তান আর্মি, এয়ার ফোর্স ও নেভি (সংশোধনী) বিল ২০২৫ অনুযায়ী, যেগুলোর অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট জারদারি।

সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, ফিল্ড মার্শালের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কিত সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ ২৪৩ এখন থেকে এই পদে উন্নীত যেকোনো জেনারেলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ফেডারেল সরকার চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস-এর দায়িত্ব নির্ধারণ করবে, যার মধ্যে থাকবে—বহুমাত্রিক সমন্বয়, বাহিনী পুনর্গঠন এবং তিন বাহিনীর যৌথ কার্যক্রম নিশ্চিত করা।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ

Published

on

সাপ্তাহিক

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া স্থগিত বা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভিসা পদ্ধতির অপব্যবহার বৃদ্ধি এবং ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর অভিবাসন নিয়মের চাপ বৃদ্ধির কারণে কমপক্ষে নয়টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই ‘উচ্চ ঝুঁকি’ যুক্ত দেশগুলো থেকে শিক্ষার্থী নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ডেম অ্যাঞ্জেলা ইগল সতর্ক করে বলেছেন, ভিসা পদ্ধতিকে ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার চোরাগোপ্তা পথ হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তি আপাতত স্থগিত বা সীমিত করেছে। এদের মধ্যে চেস্টার ইউনিভার্সিটি পাকিস্তান থেকে ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত ছাত্র নেওয়া স্থগিত করেছে, কারণ তারা ভিসা প্রত্যাখ্যানের ‘সাম্প্রতিক ও অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

একইভাবে, উলভারহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে স্নাতক স্তরে কোনো আবেদন গ্রহণ করছে না। ইস্ট লন্ডন ইউনিভার্সিটি পাকিস্তান থেকে ভর্তি স্থগিত রেখেছে।

এ ছাড়া, সান্ডারল্যান্ড ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটিও একই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যদিকে, অক্সফোর্ড ব্রুকস আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া স্নাতক কোর্সগুলোর জন্য পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভর্তি আপাতত বন্ধ রেখেছে এবং লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি নিশ্চিত করেছে যে তাদের ভিসা বাতিলের ৬০ শতাংশের জন্য বাংলাদেশ দায়ী হওয়ায় তারা ওই দেশটি থেকে ভর্তি স্থগিত করেছে। প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিপিপি ইউনিভার্সিটিও ‘ঝুঁকি প্রশমন’ কৌশল হিসেবে পাকিস্তান থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।

চলতি বছরের প্রথম দিকে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ভিসা স্পনসর লাইসেন্স ধরে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তিনটি ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’—এর মাপকাঠি পরিবর্তন করে। অভিবাসন নিয়মের অপব্যবহার থামানো ও মোট অভিবাসন কমানোর উদ্দেশ্যে এই পরিবর্তন আনা হয়।

গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুসারে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের বদলে এখন থেকে ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যান দেখতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী এক বছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের (নির্ভরশীলদের বাদ দিয়ে) ভিসা বাতিলের গড় হার ছিল যথাক্রমে ১৮ ও ২২ শতাংশ, যা নতুন সরকারি সীমার চেয়ে অনেক বেশি। বাতিল হওয়া মোট আবেদনের অর্ধেকের বেশিই এই দুটি দেশের।

পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যাও বেড়েছে, যাদের বেশির ভাগই কর্ম বা পড়াশোনার ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন।

এদিকে লাহোরভিত্তিক শিক্ষা সংস্থা অ্যাডভান্স অ্যাডভাইজরসের প্রতিষ্ঠাতা মরিয়ম আব্বাস বলেছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে আবেদন বাতিল হওয়ায় প্রকৃত ছাত্রছাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়ছেন, যা খুবই দুঃখের। তিনি যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে জাল আবেদন তৈরির সুযোগ তৈরি করার অভিযোগ তুলেছেন এবং তাদের বিদেশি এজেন্টদের আরও ভালোভাবে যাচাই করার অনুরোধ করেছেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার5 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর-০৪ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং...

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার5 hours ago

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে জিলবাংলা সুগার

বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর–০৪ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে উঠে এসেছে জিলবাংলা...

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার5 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর-০৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেনের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন...

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার24 hours ago

ডিএসইর বাজার মূলধন কমলো ৭ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ০৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে।...

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার1 day ago

জেনেক্স ইনফোসিসের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি...

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার2 days ago

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত...

সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক
পুঁজিবাজার2 days ago

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বিডি থাই ফুডের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানে না বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)...

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
সাপ্তাহিক
রাজনীতি1 minute ago

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ

সাপ্তাহিক
আন্তর্জাতিক23 minutes ago

ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: জয়শঙ্কর

সাপ্তাহিক
রাজনীতি33 minutes ago

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা

সাপ্তাহিক
রাজনীতি1 hour ago

নির্বাচনে জনগণই তাদের ভোট পাহারা দেবে: সালাহউদ্দিন

সাপ্তাহিক
অর্থনীতি1 hour ago

২ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বাড়লো পেঁয়াজের দাম

সাপ্তাহিক
জাতীয়2 hours ago

সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক
রাজনীতি2 hours ago

যে কোনো মুহূর্তে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

সাপ্তাহিক
রাজনীতি2 hours ago

জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর

সাপ্তাহিক
জাতীয়3 hours ago

জুলাই আন্দোলনের শহীদ স্কাউটরা নতুন দেশ গড়ার প্রেরণা: শিক্ষা উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক
জাতীয়3 hours ago

আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন

সাপ্তাহিক
রাজনীতি1 minute ago

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ

সাপ্তাহিক
আন্তর্জাতিক23 minutes ago

ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: জয়শঙ্কর

সাপ্তাহিক
রাজনীতি33 minutes ago

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা

সাপ্তাহিক
রাজনীতি1 hour ago

নির্বাচনে জনগণই তাদের ভোট পাহারা দেবে: সালাহউদ্দিন

সাপ্তাহিক
অর্থনীতি1 hour ago

২ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বাড়লো পেঁয়াজের দাম

সাপ্তাহিক
জাতীয়2 hours ago

সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক
রাজনীতি2 hours ago

যে কোনো মুহূর্তে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

সাপ্তাহিক
রাজনীতি2 hours ago

জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর

সাপ্তাহিক
জাতীয়3 hours ago

জুলাই আন্দোলনের শহীদ স্কাউটরা নতুন দেশ গড়ার প্রেরণা: শিক্ষা উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক
জাতীয়3 hours ago

আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন

সাপ্তাহিক
রাজনীতি1 minute ago

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ

সাপ্তাহিক
আন্তর্জাতিক23 minutes ago

ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: জয়শঙ্কর

সাপ্তাহিক
রাজনীতি33 minutes ago

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা

সাপ্তাহিক
রাজনীতি1 hour ago

নির্বাচনে জনগণই তাদের ভোট পাহারা দেবে: সালাহউদ্দিন

সাপ্তাহিক
অর্থনীতি1 hour ago

২ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বাড়লো পেঁয়াজের দাম

সাপ্তাহিক
জাতীয়2 hours ago

সামনের নির্বাচন আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক
রাজনীতি2 hours ago

যে কোনো মুহূর্তে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

সাপ্তাহিক
রাজনীতি2 hours ago

জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর

সাপ্তাহিক
জাতীয়3 hours ago

জুলাই আন্দোলনের শহীদ স্কাউটরা নতুন দেশ গড়ার প্রেরণা: শিক্ষা উপদেষ্টা

সাপ্তাহিক
জাতীয়3 hours ago

আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন