রাজনীতি
জোটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সারজিস আলম
আগামী নির্বাচনে এনসিপি এককভাবে অথবা জোটগতভাবে অংশ্রগহণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে জোটগতভাবে অংশ নিলেও শাপলা প্রতীকে নির্বাচনে করার আশা করেন তিনি।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত বাধা না থাকার কথা জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রতীকটি তালিকাভুক্ত করার কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের। কমিশন চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকা সংশোধন করতে পারে বলে জানান সারজিস। এছাড়া এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর-এর পক্ষে থাকলেও নিম্নকক্ষে পিআর-এর পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনগত ভিত্তি, বাস্তবতা ও ডিসেম্বরের মধ্যে গণহত্যার বিচার পেলে আগামী নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এরপরও ভারত বা অন্য কোনো এজেন্ট নির্বাচনে বাধা দিলে তা কাজে আসবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সারিজস আলম।
এনসিপিকে কিংস পার্টি বলার প্রতিবাদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সারজিস আলম। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব দেওয়ার প্রাসঙ্গিতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে যে প্রতিষ্ঠান থেকে যতটুকু প্রাপ্তি আসার কথা তা আসছে না। সেই জায়গা থেকে দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত সবার নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বলে জানান তিনি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জামালপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ) আশিকিন আলমসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সমন্বয় সভায় জামালপুর জেলার ৭ উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বক্তারা বলেন- বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এনসিপি একটি শক্তিশালী বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করে তুলতে হবে।
রাজনীতি
বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ দিনে প্রত্যাহার, রাতে বহাল
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আক্তার হোসেনের দলীয় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দিনের ফের প্রত্যাহার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ একই দিনে প্রত্যাহার এবং তা পুনর্বহাল নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে তৈরি হয়েছে ‘আক্তার ইস্যু’।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আক্তার হোসেনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁর প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই রাতে রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত অপর চিঠিতে ভুলবশত আক্তার হোসেনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের কথা বলা হয়। ওই চিঠিতে আক্তার হোসেনের বহিষ্কার আদেশ পুনর্বহালের কথাও জানানো হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলে ওই চিঠি পোস্ট করা হলে আক্তারবিরোধী নেতাকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির দুই ধারায় বিভক্ত। একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হোরায়রা সাদ মাস্টার। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন।
আক্তার ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করে জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এ কারণে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়। ওই নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করে মেয়র নির্বাচিত হলে দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তবে তাঁর অনুসারী স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ সক্রিয় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদকে ঠেকাতে আক্তার হোসেন বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে একমঞ্চে উঠে ঐক্যের ডাক দেন জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা। কিন্তু বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পান কয়ছর এম আহমেদ। এতে আক্তার অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ হন। বুধবার আক্তার হোসেনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টা পর আবার বহিষ্কার আদেশ বহালের চিঠিতে তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
আক্তার হোসেন জানান, নেতাকর্মীদের চাপে তিনি বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলেন। বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের চিঠি পেয়েছিলেন। তবে বহিষ্কার আদেশ পুনর্বহালের বিষয়ে তাঁকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি।
রাজনীতি
শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে জামায়াতের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
চাঁদপুর-৩ (সদর – হাইমচর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট শাহজাহান মিয়া এর উদ্যোগে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমধর্মী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমাড়ডুগী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর কার্যালয়ে আয়োজিত এ ক্যাম্পে বিকেল ৩টা থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ । চিকিৎসা পরামর্শ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শাহজাহান মিয়া। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল। মেডিসিন, ডেন্টাল, ডায়াবেটিস ও নিউরোমেডিসিনসহ বিভিন্ন রোগীদের দেওয়া হয় চিকিৎসা সেবা।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আফসার উদ্দিন মিয়াজী।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, শাহমাহমুদপুরের অনেক মানুষই দরিদ্র ও স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। অর্থের অভাবে যেন কেউ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যেই আমাদের এ আয়োজন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায় প্রত্যেকটি মানুষ কর্মক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করুক। জামাতে ইসলামী যেটা চায় তা বাস্তবায়ন করতে হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন কায়েমের জন্য একটিবার বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীকে সুযোগ দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।
শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আক্তার হামিদ পাটোয়ারীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জোবায়ের হোসেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুব বিভাগের প্রধান নূর মোহাম্মদ, ইউনিয়ন টিম সদস্য মাওলানা আমিনুর রহমানসহ স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
তারা এই মানবিক উদ্যোগকে রাজনৈতিক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে জনগণের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেন। বিশেষ করে বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে এডভোকেট শাহজাহান মিয়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাজনীতি
ঐক্য থাকলে কোনো চক্রান্তই সফল হবে না: তারেক রহমান
জাতীয় ঐক্য অটুট থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের ‘ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে’ বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেলেও ‘দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত’ এখনো থেমে নেই।
২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় তৎকালীন সরকারের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিহত হন। তার এ আত্মত্যাগ আন্দোলনকে গণবিক্ষোভে রূপ দেয় এবং সরকার পতনের পথ সুগম করে।
৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের অন্যতম নির্ভীক মুখ শহীদ ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, মিলনের আত্মদান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এক অনিবার্য বাঁক তৈরি করেছিল।
বাণীতে তিনি শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ডা. মিলনের রক্তঝরা মৃত্যু ৯ বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে ‘চূড়ান্ত বিজয়ের পথে ধাবিত’ করেছিল। গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল মিলনের দৃঢ় অঙ্গীকার। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের প্রেরণা জোগাবে।
তারেক রহমান বলেন, বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে তিনি গণতন্ত্রের বিজয় এনেছিলেন। এই পথ ধরেই দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, পতিত আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছরে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করা হয়েছিল। জনগণ তাদের মালিকানা হারিয়েছিল।
এমকে
রাজনীতি
দাঁড়িপাল্লার বিজয় হলে ঘুষমুক্ত সেবা নিশ্চিত করবো: শাহাজান মিয়া
চাঁদপুর-৩ (সদর–হাইমচর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান মিয়া বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন পেলে তিনি ঘুষমুক্ত প্রশাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং টেকসই কর্মসংস্থান গড়তে কাজ করবেন।
বুধবার বিকেলে হাইমচর উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ আলগি ইউনিয়নের চরপোড়ামুখী নুরানী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ৭নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় তিনি আরো বলেন, আজ সরকারি দপ্তরে গেলেই ঘুষ দিতে হয়। আমাদের ইসলামী সরকার গঠনের সুযোগ পেলে জনগণকে ঘুষমুক্ত প্রশাসন উপহার দেব। সরকারি সেবা হবে বিনামূল্যে, মানুষকে আর দালাল-ঘুষের চক্রে পড়তে হবে না।
এলাকার মানুষের ভোট আস্থা নিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে বিজয় নিশ্চিত করে তিনি চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করবেন। বিশেষ করে জেলে সম্প্রদায়ের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও কর্মমুখী করা এবং দরিদ্র মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
শাহাজান মিয়া বলেন, আমার বাড়ি হাইমচরে হলেও শহরেও আরেকটি বাড়ি আছে। সে কারণে দুই উপজেলাতেই মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। ২০১৪ সালে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমার বড় প্রেরণা। এবারও আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাই। ন্যায়–ইনসাফের পক্ষে দাঁড়িয়ে জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সেখানে সব শ্রেণির মানুষ সমান সরকারি সুবিধা পাবে এবং কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না।
ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. আবুল হোসাইন, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আবু হানিফ, ইউনিয়ন টিম সদস্য মো. মাইনুদ্দিন, লতিফগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আমির হোসেন, সমাজসেবক মো. আবুল কালাম মিজি। সভা সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান। মতবিনিময় শেষে শাহাজান মিয়া হাওলাদার বাজারে ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের নানা সমস্যা ও অভাব, অভিযোগ শোনেন।
এমকে
রাজনীতি
হোয়াটসঅ্যাপে জানালেই বাড়ির ঝুঁকি পরীক্ষা করবে জামায়াতের প্রকৌশলীরা
সম্প্রতি কয়েক দফায় ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে বেশকিছু ভবন হেলেও পড়েছে। কোথাও কোথাও ভবনে ফাটলও ধরা পড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিনামূল্যে ভবন, বাসা, দোকান ঘর পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকৌশল বিভাগ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানান জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
ফেসবুকে নিজ ফেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমীর বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর আপনার ভবন, বাসা, দোকান বা অফিসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই উদ্বেগ নিয়ে অবহেলা করা বিপজ্জনক। আপনার স্থাপনায় যদি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে তাৎক্ষণিক বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন অপরিহার্য। লক্ষণগুলো হলো-ফাটল বা দৃশ্যমান ক্ষতি; ভবন হেলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়া; অস্বাভাবিক শব্দ বা কম্পন।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, প্রকৌশল বিভাগ অভিজ্ঞ সিভিল ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ভূমিকম্প পরবর্তী ভবন সুরক্ষা স্ক্যান সেবা চালু করেছে। বর্তমানে এই সেবা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রদান করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আপনার মূল্যবান স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর দেরি নয়। যোগাযোগের জন্য পোস্টে উল্লিখিত নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার বিনীত অনুরোধ করছি। নিরাপদ থাকুন, সতর্ক থাকুন। আল্লাহ তা’আলা আমাদের দেশের উপর রহম করুন, আমাদের ক্ষমা করুন। আমিন।
জামায়াতের প্রকৌশল বিভাগের সেবাসমূহ হলো : ভবনের প্রাথমিক ঝুঁকি মূল্যায়ন; প্রয়োজনবোধে সাইট ভিজিট ও পরিদর্শন; দৃশ্যমান ক্ষতি এবং সম্ভাব্য বিপদের চিহ্ন নির্ণয়; নিরাপত্তা নির্দেশনা ও জরুরি করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ; ভিডিও ডকুমেন্টেশন ও প্রাথমিক রিপোর্ট; প্রয়োজনবোধে এক্সপার্ট প্যানেলের যাচাইকৃত ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান।
এমকে



