ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আধ্যাত্মিকতার জায়গায় ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে: ভিপি সাদিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, আমাদের (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে। আমরা যেন আমাদের আগামীর বাংলাদেশের জন্য গড়ে উঠতে পারি। বিগত সময়ে ফ্যাসিস্টরা বড় বড় জায়গায় বসে দুর্নীতি, রাহাজানিসহ নানা ধরনের অপরাধ করেছে অর্থাৎ মানুষের ক্ষতির কারণ হয়েছে যার ফলাফল আজ পালিয়ে যেতে হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, কেউ যেনো মানুষের উপর জুলুম করতে না পারে পাশাপাশি আমরা যেন নৈতিকভাবে নিজেদেরকে শক্তিশালী করি এবং আধ্যাত্মিক জায়গায় সবচেয়ে বেশি হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় স্থানে শাখা ছাত্রশিবিরের ‘চায়ের আড্ডায় ডাকসু ভিপি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের ইনসাফের পক্ষে অবস্থান ও ঐক্যবদ্ধতা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। ঐক্যবদ্ধের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অখন্ডত্বের প্রশ্নে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে একসাথে লড়াই জারি রাখতে পারি। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের ও আধিপত্যবাদের কোন ঠিকানা হবে না। বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য শহীদ ভাই-বোনেরা জীবন দিয়েছে। সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রত্যেকে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক রক্তাক্ত ইতিহাস আছে। অনেক মজলুমের কান্না ও হাজারো স্মৃতি আছে। খুনি হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ক্যাম্পাসগুলোকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে ছিল ইবি। আমাদের অসংখ্য ভাই বোনদেরকে রাতের আধারে নির্মম নির্যাতন করেছে। তাদেরকে মেরে মামলা দিয়ে থানায় দেওয়া হয়েছে, পরিবারকে হেনস্তা করা-সহ শিক্ষাজীবনকে বিনষ্ট করার জন্য শত আয়োজন করেছিল। আমাদের সকলের প্রিয় ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাস ভাই এখনো আমাদের মাঝে ফেরেনি। খুনি হাসিনার পেটোয়া বাহিনী তাদেরকে গুম করেছে। আমাদের মজলুম মা-বাবারা তাদেরকে খুঁজছে।
জুলাই ও ইনসাফের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অহ্বান করে সাদিক কায়েম বলেন, আমরা প্রত্যেকে আবু সাইদ, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ তাহের, শান্ত, আলী রায়হানের উত্তরসূরি হয়ে সবসময় জাগ্রত থাকবো। এখানকার ভাই বোনরা সেই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ইনসাফের পক্ষে লড়াই করে জুলাই যোদ্ধারা সবাইকে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা দেখেছি। জুলাই বিপ্লবের অংশীদার প্রজন্ম বাংলাদেশের যে প্রান্তে অবস্থান করুক আমাদের সকলের লক্ষ্য ও চিন্তা একই সূতায় গাঁথা, মতাদর্শের ভিন্নতা বা রাজনৈতিক দল আলাদা হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ প্রশ্নে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অখন্ডত্বের প্রশ্নে, জুলাইয়ের প্রশ্নে, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের প্রশ্নে, ইনসাফের প্রশ্নে আমরা সবাই এক আছি। এই প্রজন্ম যতদিন বেঁচে থাকবে, বাংলাদেশ কখনো পথ হারাবে না। এবং আমাদের শহীদরা যে জন্য জীবন দিয়েছে, যে বিপ্লবের জন্য জীবন দিয়েছে সেই বিপ্লব পূর্ণাঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত থামবো না।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয় উল্লেখ করে সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল কাজ হচ্ছে পড়াশোনা করা। বিগত সময় আমাদের পড়াশোনার পরিবেশ দেওয়া হয়নি। প্রতিটা হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম, র্যাগিং কালচারের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। শিক্ষাখাতে যে বাজেট পরিমাণ বাজেট দেওয়া দরকার ওই পরিমাণ বাজেট দেওয়া হয়নি। আমাদের গবেষণায় বাজেট ছিল না, লাইব্রেরি সুবিধা ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। আমাদের আবাসন সংকট, খাদ্যের অনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যের অনিরাপত্তা এভাবে বহু সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছিল। আমরা শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংকটগুলো দূর করবো, ইন’শাল্লাহ। প্রতিটি ক্যাম্পাস হবে জ্ঞান অর্জনের এক একটি হ্যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ জ্ঞান উৎপাদন করা এবং সেই জ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তৈরি করতে কাজ করব। সে স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় সেই সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে আমরা নতুন এক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করব।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি-আলিম পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
২০২৫ সালের এইচএসসি–আলিম এবং সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রকাশ করেছে দেশের সকল শিক্ষা বোর্ড। একই সঙ্গে সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ফল প্রদর্শন করেছে। আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানানো হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি আবেদন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়েছে। পুনঃনিরীক্ষণের প্রতিটি খাতা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এবারের খাতা পুনঃনিরীক্ষণে রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১ বোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। সর্বাধিক আবেদন এসেছে ঢাকা বোর্ডে, সর্বনিম্ন বরিশাল বোর্ডে।
বিষয়ভিত্তিকভাবে ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে আবেদন সবচেয়ে বেশি পড়েছে। মূল ফল প্রকাশের পর ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রতিটি বিষয়ে ফি ছিল ১৫০ টাকা।
চলতি বছরে দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, হার ৪১.১৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২.৯৭ শতাংশ, ছাত্রদের ৫৪.৬০ শতাংশ।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা বহাল
আগামী শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৪০ শতাংশ কোটা বহাল রেখেই নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জারি করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঢাকার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ক্যাচমেন্ট হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন এবং ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা লটারিতে আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
একইসঙ্গে আগের মতোই ভর্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি চালু থাকবে এবং অ্যান্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম পর্যন্ত আসন শূন্য থাকলে ভর্তি করা যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যান্ট্রি (প্রবেশ) শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুসারে ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ বয়স ৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ, সময় ও আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। পুরো ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট বিদ্যালয়ের উভয় শিফট বেছে নিলে তা দুটি পছন্দক্রম হিসেবে গণ্য হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়াতে শিক্ষার্থীর পছন্দের তালিকা থেকে একটি বিদ্যালয় চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করতে হবে এবং বিষয়টি সফটওয়্যারেই সংযুক্ত থাকবে।
এবারও ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিনটি ভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর–সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে। তবে এবার এই কোটাকে ভাগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য ০.৫ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর–সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য পৃথকভাবে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে শিক্ষা ক্যাডার পদে ৬৬৮ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৮৩টি শূন্য পদ পূরণের জন্য প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, এ বিসিএসে মোট ৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ হাজার ২১৯ জন। শিক্ষা ক্যাডারের জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২১ জুলাই এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১০ অক্টোবর।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মেডিকেলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু মঙ্গলবার
চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন নেওয়া শুরু হবে, যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামী ১২ ডিসেম্বর এবারের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, এবার দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে মোট আসনসংখ্যা থাকছে পাঁচ হাজার ১০০টি। আর বিডিএস কোর্সে ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ অন্যান্য আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ৫৪৫টি।
আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞপ্তির তথমতে, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে ২০২২ সালের পূর্বে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন না।
বাংলাদেশি আবেদনকারীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৪.০০-এর কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পাঠ্য থাকতে হবে। একই সঙ্গে জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে।
আবেদন কতদিন, ফি কত
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির আবেদন শুরু হবে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায়। অনলাইনে এ আবেদন শেষ হবে ২১ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। তবে ফি জমা দেওয়া যাবে পরদিন অর্থাৎ, ২২ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৭ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ট থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত।
এবার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার টাকা। পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী বরাবর ফির টাকা ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারসহ আবেদন করে আইডি নম্বর নিতে হবে।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন
“সুশাসনের জন্য হিসাববিজ্ঞান” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নানা আয়োজনে মধ্যেদিয়ে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি আরম্ভ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে সমবেত হন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম) বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বর্নাঢ্য র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর, অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সিনা, অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এবং বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-সহ সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর বলেন, ‘অ্যাকাউন্টিং পেশায় কর্মরতদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানের জন্য প্রতিবছর এ দিনটি স্মরণ করা হয়। আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টিং অ্যাসোসিয়েশন যেমন এসিসিএ, এআইসিপিএ প্রভৃতি সংগঠন এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। ফলশ্রুতিতে বিশ্বে এই পেশার প্রতি আগ্রহী ও অনুপ্রেরণিত হয়।’
উল্লেখ্য, পরবর্তীতে অ্যাকাউন্টিং ক্লাবের উদ্যোগে একাউন্টিং কুইজ প্রতিযোগিতা এবং অনলাইন জুমের মাধ্যমে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন সেমিনারের মাধ্যমে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উক্ত দিবসটি একযোগে পালন করে।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব



