আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে কাঁপলো তুরস্ক

৫ দশমিক ০ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। ওই সময় ভয়ে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেশটিতে নতুন করে আরও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ইস্তাম্বুলের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের মারমারা সাগর। যা বড় একটি ফল্টলাইনের পাশে অবস্থিত। এই ফল্টলাইনটিকে শহরটির ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখা হয়।
গত রোববার তুরস্কের কুথায়া প্রদেশের সিমাভে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। মাটির ৮ কিলোমিটার গভীরে হওয়া ভূমিকম্পটির কারণে আশপাশের অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল। এরপর ৪ দশমিক ০ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এ দুটি ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তুরস্ক বেশ কয়েকটি প্রধান ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত। যে কারণে দেশটি তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে দেশটির দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। যেটির প্রভাবে ১১টি প্রদেশের ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে সিরিয়াতেও আরও ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক
ভারতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু

ভারতের মধ্যপ্রদেশে বিজয় দশমীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি আলাদা দুর্ঘটনায় এ মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই শিশু।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুর্গাপূজার শেষদিন ছিল। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের উজ্জানের ইঙ্গোরিয়াতে একটি ট্রাক্টর-ট্রলিতে করে দুর্গা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন ভক্তরা। ওই সময় ট্রাক্টরটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে চাম্বাল নদীতে পড়ে যায়। ১২ বছর বয়সী এক শিশু ভুল করে ট্রাক্টরটি চালু করে ফেললে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় নদীতে পড়ে যায় ১২ শিশু। এরমধ্যে দুজন প্রাণ হারায়। এছাড়া এক শিশু এখনো নিখোঁজ আছে। তার খোঁজে এখন আশপাশে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
অপরদিকে খানদাওয়া বিভাগের পান্দানা তেহসিলের আরেকটি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। সেখানে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আর্দলা ও জামিলের ২০ থেকে ২৫ গ্রামবাসী ট্রাক্টর-ট্রলিতে করে দুর্গা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের ট্রাক্টরটি রাস্তার পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। সেখান থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যারমধ্যে ৮ মেয়ে শিশু রয়েছে। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। ক্রেনে করে পুকুর থেকে ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের খোঁজে পুকুরে নেমেছেন ডুবুরিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাক্টরটি অতিরিক্ত মানুষে বোঝাই ছিল। ওই সময় এটি পুকুরে পড়ে যায়।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া যারা আহত হয়েছেন তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক
এখন ৫০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক ইলন মাস্ক

বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ হাজার কোটি ডলার নিট সম্পদের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী বুধবার (১ অক্টোবর) তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার ১০ কোটি ডলারে।
ফোর্বসের তালিকায় মাস্কের পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। বুধবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৭০ কোটি ডলার।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মূলত টেসলার শেয়ারের পুনরুত্থান ও নিজের মালিকানাধীন অন্যান্য প্রযুক্তি উদ্যোগের (স্টার্টআপ) বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় এই রেকর্ড গড়তে পেরেছে ইলন। টেসলার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার তার মালিকানায় রয়েছে। চলতি বছরে টেসলার শেয়ারমূল্য এরই মধ্য ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ও বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মাস্কের সম্পদে একদিনেই যুক্ত হয় প্রায় ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার।
রয়টার্স বলছে, ইলন মাস্কের জন্য বছরের শুরুটা অস্থির থাকলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসায় টেসলার শেয়ার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। টেসলা বোর্ডের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোলম গত মাসে জানান, হোয়াইট হাউজে কয়েক মাস ব্যস্ত থাকার পর মাস্ক এখন আবার ‘সম্মুখসারিতে ও একেবারে কেন্দ্রে’ ফিরে এসেছেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই মাস্ক নিজেই টেসলার প্রায় ১০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনে কোম্পানির ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার বড় বার্তা দেন।
তবে গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়া ও মুনাফার চাপ অব্যাহত থাকায় শেয়ার কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে টেসলা। এর ফলে তথাকথিত ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ গ্রুপের বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেসলা অন্যতম খারাপ পারফরমার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত মাসে টেসলা বোর্ড মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা প্রস্তাব করে, যেখানে উচ্চাভিলাষী আর্থিক ও কার্যকরী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে মাস্কের আরও বড় শেয়ার দাবিও এতে বিবেচনায় আনা হয়।
মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই ও রকেট নির্মাতা স্পেসএক্স এ বছরেও বাজারমূল্যে বড় সাফল্য পেয়েছে। জুলাই পর্যন্ত এক্সএআইয়ের মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে সিএনবিসির খবরে বলা হয়, নতুন তহবিল সংগ্রহের পর এর মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। তবে মাস্ক তখন জানান, তারা কোনো মূলধন সংগ্রহ করছেন না।
অন্যদিকে ব্লুমবার্গের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্স নতুন অর্থ সংগ্রহ ও অভ্যন্তরীণ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছে, যা কোম্পানির মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করবে।
আন্তর্জাতিক
ইথিওপিয়ায় গির্জার অস্থায়ী নির্মাণ কাঠামো ধসে নিহত ৩৬

ইথিওপিয়ায় একটি ধর্মীয় উৎসব চলাকালীন গির্জার অস্থায়ী ‘স্ক্যাফোল্ডিং’ কাঠামো ধসে কমপক্ষে ৩৬ জন পুণ্যার্থী নিহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।
বুধবার (১ অক্টোবর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করে। খবর আল জাজিরার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আরের্তি শহরে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ বার্ষিক ভার্জিন মেরি উৎসবে অংশ নিতে গির্জায় সমবেত হয়েছিলেন।
জেলা পুলিশ প্রধান আহমেদ গেবেয়েহু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফানা নিউজকে জানান, ‘মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে পৌঁছেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যা ২০০-এর বেশি, যাদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতনাফু আবাতে থিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (ইবিসি)-কে জানান, কিছু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। উদ্ধার অভিযান দ্রুতগতিতে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ‘স্ক্যাফোল্ডিং’ কাঠামোগুলি সাধারণত নির্মাণ বা মেরামতের কাজে শ্রমিকদের উঁচু স্থানে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীর ভিড় এবং চাপের কারণেই অস্থায়ী কাঠামোটি ভেঙে পড়ে এই বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটায়।
আন্তর্জাতিক
সুমুদ ফ্লোটিলায় আটক কর্মীদের নেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলে

গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় জলযানগুলোতে থাকা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য অ্যাক্টিভিস্টদের আটক করা হয়। তাদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহর থেকে আটক গাজার কর্মীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে তাদের আটক করার পর কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। আটক গাজা কর্মীরা ২ ঘণ্টার মধ্যে আশোদ বন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এখন আটককৃতদের ইসরায়েল থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত রাত থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উপর ভয়াবহ অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ইসরায়েল ৪৪টি মানবিক ত্রাণ বহনকারী নৌকার মধ্যে কমপক্ষে ২১টি আটক করে। এ নিয়ে বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠলেও ইসরায়েল পাত্তা দিচ্ছে না।
ঘটনার আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাটিকে বাধাহীনভাবে যেতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ফ্লোটিলার সরবরাহকৃত সহায়তা মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। তবে ইসরায়েল বলছে, ফ্লোটিলার স্বেচ্ছাসেবীরা ‘আইনসংগত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা’ করছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে হাজারো মানুষের মৃত্যু ও অবরোধ চলমান থাকায় এই ফ্লোটিলা মানবিক সহায়তা ও সংহতির অংশ হিসেবে রওনা হয়েছিল।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরকির ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। কর্মীরা বলছেন, গ্রেপ্তার অভিযান চললেও ফ্লোটিলার মিশন থেমে যায়নি। এখনো কয়েকটি জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক
জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল মরক্কো: পুলিশ স্টেশনে আগুন, নিহত ২

তরুণ প্রজেন্মর (জেন জি) সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। গতকাল বুধবার দেশটির উপকূলীয় শহর আগাদিরের লাকলিয়া এলাকায় আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার লাকলিয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র লুটপাট। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত এবং কয়েক জন আহত হন।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেরই হাতে ছুরি ছিল। তবে পুলিশ সমানে গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়তে থাকা তা ব্যবহারের সুযোগ পাননি তারা। তবে তারা থানা এবং পুলিশের যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অবসান, দুর্নীতি দমন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার মান বৃদ্ধির দাবিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে রাবাতে বিক্ষোভ শুরু করেছে তরুণ প্রজন্ম। জেনজি ২১২ নামের একটি অখ্যাত এবং কম পরিচিত সংগঠন এই বিক্ষোভের প্রধান সংঘঠক। তরুণ-তরুণীদের বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং গেমিং অ্যাপগুলোতে প্রচারণা চলাচ্ছে জেনজি ২১২।
এদিকে গতকাল থানায় হামলার পাশাপাশি আগাদিরের বিয়ৌগ্রা এলাকায় একটি ব্যাংক এবং কয়েকটি দোকান লুটপাট করেছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা। আবদেস্লাম চেগ্রি নামের এক প্রত্যাক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, “আমি একটি ক্যাফেতে বসে পিএসজি বনাম রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ দেখছিলাম। হঠাৎ দেখলাম বেশ কয়েকজন তরুণ পাশের একটি দোকানে পাথর ছুড়ছে। তারপর তাদেরকে দোকনের দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে দেখেছি আমি।”
মরক্কোর পর্যটন শহর মারাকেশেও একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভবন ও দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখান্নৌচের পদত্যাগ দাবি করেছেন জেন জি বিক্ষোভকারীরা।
মরক্কোয় বেকারত্বের হার ১২ দশমিট ৮ শতাংশ এবং এটি ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির তরুণদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং স্নাতক সম্পন্নকারীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ বর্তমানে বেকার।
শুরুর পর্যায়ে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও সময় গড়ানো সঙ্গে সঙ্গে তা সহিংস হয়ে উঠতে থাকে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কা, উত্তরাঞ্চলীয় শহর ওউজদা এবং তাজায় এখনও কোনো সহিংসতা ঘটেনি।
এদিকে বিক্ষোভের গত ৪ দিনে ব্যাপক উল্লম্ফন ঘটেছে জেন জি ২১২-এর। বিক্ষোভ শুরুর দিকে এই সংগঠনটির সদস্য ছিল মাত্র ৩ হাজার; বর্তমানে তা বেড়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ৩০ হাজারে। সূত্র : রয়টার্স।