কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংককে ৭৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এআইআইবি ও এনডিবি
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) যৌথভাবে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংককে ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৭ কোটি মার্কিন ডলার দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন দিচ্ছে। এর মধ্যে এআইআইবি দেবে ৫০ মিলিয়ন এবং এনডিবি দেবে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
এই অর্থায়ন বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি তহবিল সরবরাহ করবে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই অবকাঠামো খাতে। এর মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করা ছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি দক্ষতা, ই-মোবিলিটি ও ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত হবে।
চুক্তিতে সই করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, এআইআইবির ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড ফান্ডস ক্লায়েন্টস বিভাগের মহাপরিচালক গ্লোবাল গ্রেগরি লিউ, এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিওও রোমান সেরভ এবং মহাপরিচালক বিন হান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হোলসেল ব্যাংকিং প্রধান মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী।
সিটি ব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সার্বভৌম গ্যারান্টি ছাড়াই এআইআইবির এটিই প্রথম ঋণ সুবিধা। সিটি ব্যাংকের জন্য এই ঋণ দেশে বেসরকারি খাতের মূলধন বিনিয়োগ আরও গতিশীল করবে, দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো ঋণ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এআইআইবি ও এনডিবির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের অংশীদারিত্ব তাদের সিটি ব্যাংকের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ। একই সঙ্গে এই অর্থায়ন সিটি ব্যাংককে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে সক্ষম করবে, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কর্পোরেট সংবাদ
আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহে ইসলামী ব্যাংক শীর্ষে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ব্যবসায় পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এই বক্তব্য দেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসার কৌশলগত অগ্রগতি, শাখাভিত্তিক আমানত ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন। এছাড়া অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও ড. এম কামাল উদ্দীন জসীমসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের প্রধান ও কর্পোরেট শাখাপ্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
এসআইবিএলের শাখা ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে প্রশাসক টিমের মতবিনিময়
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) ঢাকা দক্ষিণ জোনের শাখা ব্যবস্থাপকদের সাথে প্রশাসক টিমের রিকভারি সংক্রান্ত মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রশাসক দল রিকভারি জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণের ৩২টি শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে সরাসরি ও জ্যুম প্ল্যাটফর্মে মতবিনিময় সভা করেছেন।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সহযোগী প্রশাসক বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম।
এছাড়াও ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুস সায়াদাত, প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মো. সালাহ উদ্দীন বলেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রিকভারি কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। প্রতিটি শাখার খেলাপি গ্রাহকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং বিনিয়োগ আদায়ে জোরদার কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিতে শাখা ব্যবস্থাপকদের তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, অবলোপনযাগ্য নয় এমন বিনিয়োগ দ্রুত শনাক্ত করে যথাযথ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, গ্রাহকের ব্যবসায়িক অবস্থা বুঝে যৌক্তিক সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে নিয়মিত ফলোআপ বজায় রাখতে হবে, ডকুমেন্টেশন ও পর্যবেক্ষণ আরও শক্তিশালী করতে হবে। রিকভারি টিমগুলোর সঙ্গে শাখাসমূহের সমন্বয় আরও দৃঢ় করতে হবে, যেন প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টে আদায়ের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়।
কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকের স্থানান্তরিত কাকরাইল শাখার উদ্বোধন
এবি ব্যাংক পিএলসির কাকরাইল শাখা সম্প্রতি ঢাকার রমনায় ৮২, কাকরাইল রোডে স্থানান্তরিত হয়েছে।
এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমান আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধাসম্পন্ন এ শাখাটির উদ্বোধন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের সম্মানিত গ্রাহকগণসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন হামজা চৌধুরী
বিকাশ’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ লেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের জনপ্রিয় ফুটবলার হামজা চৌধুরী। দেশের মানুষের সাথে নতুন আবেগে ফুটবল-কে সংযুক্ত করা এই খেলোয়াড়, গ্রাহকদের ক্যাশলেস লেনদেনে উৎসাহিত করতে বিকাশ এর বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি সেবাটির ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করার লক্ষ্যেও একসাথে কাজ করবে বিকাশ ও হামজা চৌধুরী।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে হামজা চৌধুরীর সাথে বিকাশের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিকাশ এর চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী, চিফ লিগ্যাল অফিসার মাজেদুল ইসলাম এবং চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), হেড অব ব্র্যান্ড আশরাফ-উল-বারী সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হামজা চৌধুরী সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল তারকা, যিনি শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব এবং ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত হামজা বাংলাদেশের পথশিশুদের নিয়ে কল্যাণমূলক উদ্যোগের পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক নিবাস সিলেটের হবিগঞ্জে, একটি এতিমখানায় অর্থায়ন করে চলেছেন। বিকাশ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বিকাশ এর সেবাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবোধের প্রসারে নানা ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নিবেন তিনি।
বিকাশ’র সাথে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে হামজা চৌধুরী বলেন, “বিকাশ এর মত কোটি মানুষের ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হওয়া এক ধরনের সুযোগ। বিকাশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের । দেশসেরা এই ব্র্যান্ডটির প্রসারে একসাথে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
ক্লাইমেট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক পিএলসি ক্লাইমেট রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টটি আন্তর্জাতিক সাস্টেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড প্রণীত আইএফআরএস এস ১ (জেনারেল রিকুইরেমেন্টস ফর ডিসক্লোজার অফ সাস্টেনিবিলিটি-রিলেটেড ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন) এবং আইএফআরএস এস ২ (ক্লাইমেট-রিলেটেড ডিসক্লোজারেস) এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই রিপোর্টটির উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য সুস্পষ্ট এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক তথ্য তুলে ধরা। এতে ব্যাংকের পরিচালনা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত পরিকল্পনায় সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
রিপোর্টটিতে সিটি ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত বিষয়াদি তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রশাসনিক কাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ব্যাবসায়িক মডেল গঠনে গৃহীত কৌশলসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও এতে কার্বন নির্গমন হ্রাসে ব্যাংকের কার্যক্রমের অগ্রগতি, জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন উদ্যোগসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্টে আমাদের নীট-জিরো অঙ্গীকারের অগ্রগতি নির্দেশকারী পরিমাপ ও লক্ষ্যসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে সিটি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার তথ্য প্রকাশে স্বচ্ছতার প্রত্যাশা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইএফআরএস এস ১ এবং এস ২ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্লাইমেট রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার কাঠামো আরও শক্তিশালী করেছি এবং টেকসই ও জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি।”
সিটি ব্যাংক তার মূল ব্যবসায়িক কৌশলের সাথে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয়সমূহকে সমন্বয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ অব্যাহত রাখবে।
এমকে



