জাতীয়
ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা ‘কনসায়েন্স’, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা

সমুদ্রপথে গাজামুখী ত্রাণ নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনসায়েন্স’ তীব্র ঝড়ো আবহাওয়া এবং বহরের সামনের জাহাজগুলোতে হামলার খবর সত্ত্বেও তাদের বিপজ্জনক যাত্রা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান বাংলাদেশ থেকে যোগ দেওয়া আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।
বৃহস্পতিবার(২ অক্টোবর) নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক লাইভে তিনি এ কথা জানান। একই সাথে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ফিলিস্তিনের ওপর থাকা ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
জাহাজটির ওপরের ডেক থেকে শহিদুল আলম লাইভে বলেন, গ্রিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঝড়ের সতর্কতা এলেও জাহাজটি এগিয়ে চলেছে। ক্যাপ্টেন ঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে গত রাতে জাহাজের গতি বাড়িয়েছিলেন। ঝড় এবং বিদ্যুৎ চমকানো বন্ধ হয়েছে। বৃষ্টিও থেমে গেছে। এই জাহাজটি বাকি ফ্লোটিলা থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে।
তিনি আরও জানান, সামনের জাহাজগুলোতে আক্রমণ করা হয়েছে। তবুও আমরা এই ভীতি প্রদর্শনে দমে না গিয়ে গাজার দিকে আমাদের পথে এগিয়ে চলেছি। আমরা অবরোধ ভাঙব। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।
অবরোধের শিকার গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছানো এবং ইসরায়েলের নৌ অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নেয় ৪৫টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান, যার মধ্যে প্রায় ৫০০ যাত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকার কর্মী।

জাতীয়
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং বলেন, আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাকে স্মরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে ফেসবুক পেজে এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা লিখেন, আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের এক অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন অনন্যসাধারণ কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্রতত্ত্ব চর্চার দিশারি। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন।
রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে তার অবদান দুই বাংলায় সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, যা তার বিদগ্ধতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার জগতে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্য–সংস্কৃতিমনা জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান আহমদ রফিক।
জাতীয়
বাংলাদেশে সব ধর্মই সম্মানের সঙ্গে পালন করা সম্ভব: প্রেস সচিব

বাংলাদেশে সব ধর্মই মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে পালন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, দেশের ৩৩ হাজারেরও বেশি মণ্ডপ ও মন্দিরে শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যেই পূজা উদযাপন হয়েছে। ঐক্যের মাধ্যমে ভিন্নতায়ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে ফেসবুকে তার ভেরিফাইড একাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আরেকটি চমৎকার দুর্গাপূজা উপহার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সর্বত্র সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ! অন্তর্বর্তী সরকার ১৪ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছে, আর এ নিয়ে দ্বিতীয় বছর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পেরেছি এই সর্ববৃহৎ হিন্দু ধর্মীয় উৎসব।
তিনি লেখেন, যখন প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক থেকে গভীর আগ্রহ নিয়ে উৎসব পর্যবেক্ষণ করেছেন, আমি সৌভাগ্যবান যে আজ সকালে ঢাকায় পূজা উদযাপনে অংশ নিতে পেরেছি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গিয়ে যে উচ্ছ্বাস, রঙ ও মিলনমেলার আবহে আমি ভেসে গেছি—তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।
তিনি আরও লেখেন, হ্যাঁ, এখানে-সেখানে কিছু প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু সার্বিকভাবে আমরা দেশের ৩৩ হাজারেরও বেশি মণ্ডপ ও মন্দিরে শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যেই পূজা উদযাপন করেছি। এটি আবারও প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশে সব ধর্মই মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে পালন করা সম্ভব। আর এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—ঐক্যের মাধ্যমে ভিন্নতায়ও আমরা কত অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে পারি।
জাতীয়
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক মারা গেছেন

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি মারা যান। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
আহমদ রফিকের স্বাস্থ্যের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী। তিনি চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আহমদ রফিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। ইসমাইল সাদী বলেন, ‘আহমদ রফিক আজ রাত ১০টা ১২ মিনিটে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’
ভাষা আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ে গবেষণা করেছেন আহমদ রফিক। তাঁর কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, গবেষণা মিলিয়ে লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি দুই বাংলায় অগ্রগণ্য। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন আহমদ রফিক।
আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আহমদ রফিকের স্ত্রী মারা গেছেন ২০০৬ সালে। তিনি নিঃসন্তান।
জাতীয়
বুড়িগঙ্গায় চলছে প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তা

হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হচ্ছে আজ। সকাল থেকে বিজয়া দশমীতে পূজা অর্চনার পর বিকেল ৪টা থেকে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর বিনাস্মৃতি স্নান ঘাট, লালকুঠি ঘাট ও নওয়াব বাড়ি ঘাটে চলছে এই বিসর্জন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজঘাট এলাকার বিনাস্মৃতি স্মান ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে আসা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। অনেকে মন্ত্র পাঠে বিদায় দিচ্ছেন দেবীদুর্গাকে। কেউ কেউ আবার নেচে-গেয়ে আনন্দ করছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বিনাস্মৃতি স্মান ঘাটে ১৭টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাবসহ নৌ পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দেবী বিসর্জনের কার্যক্রম চলছে। বিসর্জন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া পার্ক, সদরঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নদীতে সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছেন নৌ পুলিশ ও ডুবুরি দল।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কোতোয়ালি শাখার সভাপতি সুজন কুমার মজুমদার বলেন, দীর্ঘ লাইনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা নিয়ে আসছে পূজা উদযাপন কমিটি। বাংলা বাজার মোড় থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যানজট লেগে আছে।
তিনি বলেন, যে পরিমাণ মণ্ডপ এখনো বাকি আছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে রাত ১২টার পরও বিসর্জন কার্ক্রম চলতে পারে।
জাতীয়
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৭ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায় সংলাপে সে বিষয়ে মতামত নেবে ইসি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারা বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ৭ অক্টোবর সকালে ইসির সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপে বসবে সংস্থাটি। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনাসহ সংশ্লিষ্টদের এতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে বসবে ইসি। এতে মোট ৪০ জনের মতামত বা পরামর্শ নেওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জুলাই যোদ্ধা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি।