অর্থনীতি
প্রার্থীদের জন্য এনবিআর ও ব্যাংকের বিশেষ ব্যবস্থা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও ২৭ ডিসেম্বর শনিবার সারা দেশে ব্যাংক খোলা থাকবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য জামানতের অর্থ ও ভোটার তালিকার সিডি ক্রয়ের অর্থ জমাদানের সুবিধার্থে সব তফসিলি ব্যাংক শনিবার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রির্টান দাখিলের বিষয়ে এনবিআর জানিয়েছে, প্রার্থীদের রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে এনবিআরের উদ্যোগে এবং ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় একটি বিশেষ হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি উপস্থিত হয়ে এ সেবা নিতে পারবেন। আগামীকাল শুক্রবার এনবিআরের ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে। শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হেল্পডেস্ক খোলা থাকবে।
এ ছাড়া, আগামী রবিবার ও সোমবার ও অফিস চলাকালীনও এইসব হেল্পডেস্কের কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। গত ২৩ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলে সময় ১ মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের জামানত ও ভোটার তালিকার সিডি কেনার অর্থ ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমার সুবিধার্থে ২৭ ডিসেম্বর তফসিলি ব্যাংকের সকল শাখা খোলা থাকবে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষে ছুটি এবং ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
পরপর তিন দিন ছুটিতে ব্যাংক বন্ধের কারণে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে জটিলতার কথা তুলে ধরে শনিবার ব্যাংক খোলা রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, পশুর হাটে বিক্রেতাদের অর্থ জমা রাখতে দুই ঈদের সময় ও বিশেষ প্রয়োজনে ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার রীতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শাখার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ছুটির দিনে কাজ করা কর্মীদের বেতনের আনুপাতিক হারে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার নীতিমালা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
অর্থনীতি
শীতের সবজিতে স্বস্তি, নাগালের মধ্যে পেঁয়াজও
সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ও নতুন আলুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।
বিক্রেতারা বলছেন, সারাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবারাহ বেড়েছে। যে কারণে দাম কম। সমনে আরও কমে আসবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। তবে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিও এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। অর্থাৎ, গত দু-তিন সপ্তাহ আগের চেয়ে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে।
এছাড়া বাজারে মুরগি, ডিম, মাছ ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল। মাঝারি আকারের একেকটি বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে বাজার ও মানভেদে ২০-৩০ টাকার মধ্যে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩০ টাকার বেশি। একইভাবে কমেছে ফুলকপির দাম। আকারভেদে একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকায়। শিমের দামও কমেছে। এখন অন্তত চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে নতুন আসা বিচিওয়ালা শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।
মাত্র দু-তিন সপ্তাহ আগেই প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে ২০-২৫ টাকায় নেমেছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
পাকা টমেটোর দাম কমলেও এখনো গ্রাহকের নাগালে আসেনি। প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। তবে শাকের দাম কমেছে। পালং শাক, লাল শাক ও মুলা শাকের আঁটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকার মধ্যে।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কম। প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বাজারভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির বাজারও স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি এখন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
এ ছাড়া প্রতি কেজি চাষের তেলাপিয়া, পাঙাশ, কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার মধ্যে। আর রুই-কাতলার কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এ দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই রকম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অর্থনীতি
ছুটির দিনেও চালু থাকবে আয়কর রিটার্নের হেল্প ডেস্ক
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের হেল্প ডেস্ক চালু রাখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এনবিআর থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এনবিআর বলছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। এই হেল্পডেস্কে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রমনার ইঞ্চিনিয়ার্স ইনিস্টিটউটের (আইইবি) লেভেল ৭ এ অবস্থিত কর কমিশনারের কার্যালয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দেওয়া হবে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) একই অফিসে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে। পরেদিন রোববার (২৮ ডিসেম্বর) কর্মদিবসে যথারীতি এ সেবা চালু থাকবে।
এমকে
অর্থনীতি
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে ১ জানুয়ারি
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী ৩০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৬ শুরু হচ্ছে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইপিবি জানিয়েছে, এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’, যেখানে দর্শনার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে মেলার আয়োজন করছে।
মেলায় দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৫০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেবে। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, সিঙ্গাপুর ও আফগানিস্তানসহ কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য চালু থাকবে ই-টিকিটিং সুবিধা এবং টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। শিশুদের বিনোদনের জন্য দুটি শিশুপার্কও রাখা হয়েছে।
এদিকে নাম পরিবর্তনের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় মেলাটি আগের নাম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ নামেই অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে এ মেলা পূর্বাচলের বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হচ্ছে।
এমকে
অর্থনীতি
দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে
দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর মাসে দেশের ভেতর, দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের এবং দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা খরচ করেছিলেন ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকা। পরের মাস অক্টোবরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে খরচ হয়েছে ৭২ কোটি ৬ লাখ টাকা। এরপর থাইল্যান্ডে ৫৬ কোটি ৩ লাখ টাকা, যুক্তরাজ্যে ৫২ কোটি ২ লাখ টাকা, সিঙ্গাপুরে ৪৫ কোটি ২ লাখ টাকা, মালয়েশিয়ায় ৪৫ কোটি টাকা, সৌদি আরবে ৩১ কোটি টাকা, ভারতে ৩২ কোটি ৬ লাখ টাকা, নেদারল্যান্ডসে ২৩ কোটি টাকা, কানাডায় ২০ কোটি টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ কোটি টাকা, চীনে ১৮ কোটি ৯ লাখ টাকা, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য দেশে মোট ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
এদিকে বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যে ব্যয় করছেন, সেটিও বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশিরা বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৯ কোটি ৭ লাখ টাকায়, যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২৪ কোটি টাকা বেশি।
বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের ক্ষেত্রেও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নাগরিকরা অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে খরচ করেছেন ৪৪ কোটি ২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য (২১ কোটি টাকা) এবং তৃতীয় অবস্থানে ভারত (১৮ কোটি টাকা)।
অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরেও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে দেশের ভেতর ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসে তা বেড়ে ৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ফলে এক মাসে দেশের ভেতর ক্রেডিট কার্ড ব্যয় বেড়েছে ৭৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সামগ্রিকভাবে ভোক্তা ব্যয় ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের গতিশীলতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অর্থনীতি
বেকারদের কর্মসংস্থানে ১ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের নিম্নআয়ের তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার (১৫০.৭৫ মিলিয়ন) ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১২২ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রকল্পটিতে ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এই সহায়তা দেশের ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান এবং আয়ের সুযোগ তৈরি করবে। এর আগে অন্তর্ভুক্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার সুবিধাভোগীর পাশাপাশি নতুন অংশগ্রহণকারীরাও দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের অ্যাক্সেসসহ পরিষেবার একটি বিস্তৃত প্যাকেজ থেকে উপকৃত হবেন। যাতে তরুণ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির বাধা অতিক্রম করতে পারে। এটি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য উদ্ভাবনী পদ্ধতিও প্রবর্তন করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। তবুও প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশকারী অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। দেশটি কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি এবং অমিলের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই অতিরিক্ত অর্থায়ন নিম্ন আয়ের পরিবারের তরুণ, বিশেষ করে নারী এবং দুর্বল সম্প্রদায়ের তরুণদের উন্নত কর্মসংস্থান এবং জীবিকার সুযোগের জন্য প্রয়োজনীয় বাজার-প্রাসঙ্গিক দক্ষতা, সম্পদ এবং প্রশিক্ষণ অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করবে।
সংস্থাটি জানায়, এই অর্থায়ন শহরাঞ্চলের বাইরে গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলোতে প্রকল্পের কভারেজ সম্প্রসারণ করতে সহায়তা করবে। যাতে দেশের প্রান্তিক যুবক এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সহায়তা থেকে উপকৃত হতে পারে তা নিশ্চিত করা যায়। এটি নারীদের প্রশিক্ষণ এবং স্টার্ট-আপ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে মানসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের গৃহভিত্তিক শিশু যত্ন পরিষেবা পাইলট করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ এবং প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে আমরা প্রমাণিত হস্তক্ষেপগুলো বৃদ্ধি করতে পারি, ক্ষুদ্রঋণের অ্যাক্সেস প্রসারিত করতে পারি এবং মানসম্পন্ন শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধানগুলো প্রবর্তন করতে পারি। এছাড়া আরও বেশি তরুণ ও নারীকে তাদের সম্ভাবনা উন্মোচন করতে এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারি।এই ঋণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারী এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।




