খেলাধুলা
আগামীকাল সিলেট-রাজশাহী ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএল
সব বিতর্ক আর নাটকীয়তার মাঝেও মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। আগামীকাল (শুক্রবার) স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় শুরু হবে উদ্বোধনী এই লড়াই।
বিপিএল শুরুর আগমুহূর্তে মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় আলোচনা বেশি হলেও উদ্বোধনী ম্যাচে রয়েছে বাড়তি আকর্ষণ। এই ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছেন জাতীয় দলের দুই অধিনায়ক-রাজশাহীর হয়ে টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সিলেটের হয়ে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
এখন পর্যন্ত রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে গোছানো দল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিদেশি ক্রিকেটাররা আগেভাগেই দলে যোগ দিয়েছেন, প্রস্তুতিও বেশ পরিকল্পিত। অধিনায়ক শান্ত আগেই জানিয়েছেন, টুর্নামেন্ট শুরুর ম্যাচে ইতিবাচক ফলই প্রত্যাশা করছেন তারা।
অন্যদিকে আজই অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে সিলেট টাইটান্স। নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে এর আগে ৩৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ১৫টি জয় পেয়েছেন তিনি। ঘরের মাঠে খেলতে নামায় সিলেটও আত্মবিশ্বাসী।
টানা অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের কম্বিনেশন দাঁড় করিয়েছে সিলেট। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল হলেও প্রথম ম্যাচে সবাইকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবু ঘরের দর্শকদের সামনে ভালো শুরু করতে চান মিরাজ।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও নজর থাকবে মাঠের বাইরের আলোচনার কারণে। সন্ধ্যার ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম রয়্যালস ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস—দুই দলই সম্প্রতি নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। নোয়াখালীর প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের অনুশীলন বয়কট করলেও পরে বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বলে সমাধান হয়েছে। আর চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ায় বিসিবি আপাতত দলটির দায়িত্ব নিয়েছে।
সব জটিলতার পরও শেষ পর্যন্ত মাঠেই ফিরছে ক্রিকেট-এটাই আপাতত বিপিএলের সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর।
এমকে
খেলাধুলা
ভারতকে উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
ভারতকে ১৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে যুব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ভারত গুটিয়ে গেছে ১৫৬ রানে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব পেল পাকিস্তান। এর আগে ২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে আসরের শিরোপা ভাগাভাগি করেছিল তারা।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ৩১ রানে হারিয়ে ফেলে তারা ওপেনার হামজা জহুরের উইকেট। তবে অন্য ওপেনার সামির মিনহাস ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। ১১৩ বলে উপহার দেন ১৭২ রানের চমৎকার এক ইনিংস। ১৭ বাউন্ডারি ও ৯ ছক্কায় সাজান অসাধারণ ইনিংসটি।
দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খানের সঙ্গে ৯২ আর তৃতীয় উইকেটে আহমেদ হোসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সামির। আহমেদ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। তাতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রানের হিমালয়সম সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান।
ভারতের হয়ে ৮৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেন দীপেশ দেবেন্দ্রন। হেনিল প্যাটেল ৬২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সমান দুই উইকেট পান খিলান প্যাটেলও। তবে খরচ করেন ৪৪ রান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় ভারত। ৬৮ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে তারা ৫ উইকেট। ৯৪ রান সংগ্রহ করতেই নাই হয়ে যায় ভারতের ৭ উইকেট। ভারতের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন দীপেশ দেবেন্দ্রন। আর ২৬ রান এনে দেন ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী। আর খিলান প্যাটেল যোগ করেন ১৯ রান। তাতে মাত্র ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারতীয়রা।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন আলি রাজা। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল সুবহান ও হুজাইফা আহসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৪৭/৮, ৫০ ওভার (সামির ১৭২, আহমেদ ৫৬, উসমান ৩৫; দেবেন্দ্রন ৩/৮৩, খিলান ২/৪৪, হেনিল ২/৬২)।
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ১৫৬/১০, ২৬.২ ওভার (দেবেন্দ্রন ৩৬, সূর্যবংশী ২৬; রাজা ৪/৪২, হুজাইফা ২/১২, সুবহান ২/২৯ ও সাইয়াম ২/৩৮)।
ফল: পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৯১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সামির মিনহাস।
সিরিজ সেরা: সামির মিনহাস।
এমকে
খেলাধুলা
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, সেমিতে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান
লো স্কোরিং ম্যাচে শঙ্কা ছিল শ্রীলঙ্কার কাছে না আবার হেরে যায়। তাতে হয়তো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া হতো না এবং সেমিফাইনালেই মুখোমুখি হতে হতো ভারতের। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের সামনে লো স্কোরকেও কঠিন করে ফেললো শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটারা। যার ফলে তারা অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৮৬ রানে। বাংলাদেশ জয় পেলো ৩৯ রানের ব্যবধানে।
এই জয়ে গ্রুপ পর্বে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা হলো রানারআপ। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পেলো ‘এ’ গ্রুপের রানারআপ পাকিস্তানকে এবং ভারত সেমিতে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ফিল্ডিং নিলো তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নামতে হয় বাংলাদেশকে। শুরুটা দারুণ করেছিলো জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ৪৯ রান করে আউট হন আবরার। ৩৬ রান করেন রিফাত বেগ।
এরপর আজিজুল হাকিম করেন ২৯ রান। কালাম সিদ্দিকি করেন ৩২। এরপর লেট মিডল অর্ডারে ২৯ রান করেন ফরিদ হাসান। বাকি ব্যাটাররা দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৩ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দিমান্থা মাহাভিথানা ১৩ রানে আউট হন। ১২ রান করেন ভিরান চামুদিথা। কিথমা ভিথানাপাথিরানা শূন্য রানে আউট হয়ে যান। অধিনায়ক ভিমাথ দিনসারা আউট হন ১৭ রান করে।
চামিকা হিনাতিগালা ৪১ এবং আধাম হিলমি ৩৯ রান করে বাংলাদেশের জয় বিলম্বিত করেন। তবে এই দুই উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
খেলাধুলা
নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় বাতিল বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
মাঠের ক্রিকেট গড়ানো নিয়ে সংশয় নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী, অর্থাৎ আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকেই পুণ্যভূমি সিলেটে শুরু হবে বিপিএলের এবারের আসর।
কিন্তু সংশয় দেখা দিয়েছে বিপিএলের উদ্বোধন নিয়ে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এবারেরর বিপিএলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সে অনুষ্ঠান নিয়ে জেগেছে সংশয়। সংশয় বলা সম্ভবত কম বলা হলো, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটাই বাতিলের পথে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে এ খবর। বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সম্ভবত বাতিল হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
এমন কি হলো যে হঠাৎ বিপিএলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একদম বাতিল হতে যাচ্ছে? মূলত আগামী ২৫ ডিসেম্বর, প্রায় দেড়যুগ পর বাংলাদেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ধারণা করা হচ্ছে, তার ফেরা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা তথা বিমানবন্দরে স্মরণাতীতকালের বৃহত্তম লোক সমাবেশ ঘটতে যাচ্ছে। সে সংখ্যা ২০ লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওই বিশাল সংখ্যক মানুষ রাজধানীতে এলে একটা বিরাট গণজমায়েত হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড রেজিমেন্ট, র্যাব, আনসারসহ সব নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা ওই বিরাট সমাবেশের নিরাপত্তা প্রদানের কাজে ব্যস্ত থাকবে।
বিসিবির এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ও রাতে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, যেখানে নামি তারকা ও শিল্পীদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে, সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টে নিরাপত্তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
বিসিবি ও বিপিএলের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, যেখানে রাজধানীর বাইরে থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে, সেখানে আমাদের বিসিবি তথা বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা (বিসিবি) ২৪ ডিসেম্বরের বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না করার কথাই ভাবছি।
খেলাধুলা
রেকর্ড ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতায় মুস্তাফিজ
একে একে দামি ক্রিকেটার কিনে আইপিএল নিলামে তোলপাড় ফেলে দিচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্যামেরান গ্রিনকে ২৫ কোটি ২০ লাখ এবং মাথিশা পাথিরানাকে ১৮ কোটি রুপিতে কেনার পর এবার বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি (প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা) দিয়ে কিনে নিলো শাহরুখ খানের দল।
মোস্তাফিজুর রহমানের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামে চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশের কাটার মাস্টারকে জিতে নিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।
২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম আসরেই হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এরপরের মৌসুমেও ছিলেন হায়দরাবাদে। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে বিভিন্ন মৌসুমে খেলেছেন আইপিএলে।
গত মৌসুমেও শেষ মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস মোস্তাফিজকে দলভূক্ত করেছিলো তার ভিত্তিমূল্যে। এবার নিলামে নাম ওঠার পর শুরুতেই মোস্তাফিজের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় দিল্লির ফ্রাঞ্চাইজিটি। চেন্নাই সুপার কিংসের একজন ডেথ ওভারের পেসার প্রয়োজন। মাথিসা পাথিরানাকে পায়নি। এ কারণে মোস্তাফিজের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল তারাও।
দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের লড়াইয়ে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে মোস্তাফিজের। দু’দলের পাল্টাপাল্টি প্যাডল আপে ৫ কোটি রুপি পর্যন্ত উঠে যায় মোস্তাফিজের দাম। এ সময় রণে ক্ষান্ত দিয়ে সরে দাঁড়ায় দিল্লি। চেন্নাই ৫ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল মোস্তাফিজকে।
কিন্তু খেলা তখনও বাকি। হঠাৎই লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইও হারতে রাজি নয়। তারা এক লাফে উঠে যায় ৭ কোটি রুপিতে। কেকেআরও কম যায় না। দাম বাড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত স্টিফেন ফ্লেমিং চেন্নাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে প্যাডল তুলে দেন ৯ কোটি রুপিতে। তারা ভেবেছিল, কেকেআর এবার ক্ষান্ত দেবে।
কিন্তু কলকাতার দলটি নাছোড়বান্দা। তারা প্যাডল আপ করে জানিয়ে দিলো, মোস্তাফিজের জন্য আরও বেশি দিতে চায়, ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি। চেন্নাই বুঝে গেছে, আর বাড়াতে পারছে না তারা।
সুতরাং, সিদ্ধান্ত নিলো লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর। শেষ পর্যন্ত ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতেই মোস্তাফিজকে কিনে নিলো কেকেআর।
এমকে
খেলাধুলা
৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কেকেআরে মুস্তাফিজ
একে একে দামি ক্রিকেটার কিনে আইপিএল নিলামে তোলপাড় ফেলে দিচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্যামেরান গ্রিনকে ২৫ কোটি ২০ লাখ এবং মাথিশা পাথিরানাকে ১৮ কোটি রুপিতে কেনার পর এবার বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি (প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা) দিয়ে কিনে নিলো শাহরুখ খানের দল।
মোস্তাফিজুর রহমানের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামে চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশের কাটার মাস্টারকে জিতে নিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।
২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম আসরেই হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এরপরের মৌসুমেও ছিলেন হায়দরাবাদে। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে বিভিন্ন মৌসুমে খেলেছেন আইপিএলে।
গত মৌসুমেও শেষ মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস মোস্তাফিজকে দলভূক্ত করেছিলো তার ভিত্তিমূল্যে। এবার নিলামে নাম ওঠার পর শুরুতেই মোস্তাফিজের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় দিল্লির ফ্রাঞ্চাইজিটি। চেন্নাই সুপার কিংসের একজন ডেথ ওভারের পেসার প্রয়োজন। মাথিসা পাথিরানাকে পায়নি। এ কারণে মোস্তাফিজের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল তারাও।
দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের লড়াইয়ে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে মোস্তাফিজের। দু’দলের পাল্টাপাল্টি প্যাডল আপে ৫ কোটি রুপি পর্যন্ত উঠে যায় মোস্তাফিজের দাম। এ সময় রণে ক্ষান্ত দিয়ে সরে দাঁড়ায় দিল্লি। চেন্নাই ৫ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল মোস্তাফিজকে।
কিন্তু খেলা তখনও বাকি। হঠাৎই লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইও হারতে রাজি নয়। তারা এক লাফে উঠে যায় ৭ কোটি রুপিতে। কেকেআরও কম যায় না। দাম বাড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত স্টিফেন ফ্লেমিং চেন্নাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে প্যাডল তুলে দেন ৯ কোটি রুপিতে। তারা ভেবেছিল, কেকেআর এবার ক্ষান্ত দেবে।
কিন্তু কলকাতার দলটি নাছোড়বান্দা। তারা প্যাডল আপ করে জানিয়ে দিলো, মোস্তাফিজের জন্য আরও বেশি দিতে চায়, ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি। চেন্নাই বুঝে গেছে, আর বাড়াতে পারছে না তারা।
সুতরাং, সিদ্ধান্ত নিলো লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর। শেষ পর্যন্ত ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতেই মোস্তাফিজকে কিনে নিলো কেকেআর।




