জাতীয়
হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শুটার ফয়সালের বাবা-মা গ্রেফতার
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার মূল অভিযুক্ত শ্যুটার ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে শ্যুটার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাচেষ্টা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে মো. হুমায়ুন কবির ও হাসি বেগমের চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল তৃতীয়। ফয়সাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে জেসমিন আক্তারের বাসায় একটি ব্যাগ নিয়ে ওঠেন ফয়সাল। পরে ওই বাসার চিপা দিয়ে কালো ব্যাগটি ফেলে দিয়ে আবার তার ভাগনে জামিলকে (১৮) দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসান। আসামি তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন।
তিনি আরও বলেন, সেখানে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেন ফয়সাল। এরপর ফয়সাল তার অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় আগারগাঁও থেকে মিরপুর পরে শাহজাদপুরে চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান। ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তার বাবা মো. হুমায়ুন কবির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকাও দেন। পরে আসামিরা তার ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবলু ওরফে রাজের কেরাণীগঞ্জের বাসায় যান এবং তারা জুরাইন থেকে দুটি মোবাইল ফোনের সিম কিনে ব্যবহার করেন।
গ্রেপ্তারের পর ফয়সালের বাবা-মাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং অভ্যুত্থান-অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বত্রন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন হাদি এবং এ লক্ষ্যে নিয়মিত গণসংযোগ করছিলেন তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাদির ওপর হামলাকারী দুই আততায়ীর একজন সন্দেহভাজন ‘ফয়সাল করিম’ তার সঙ্গেই কিছুদিন ধরে নির্বাচনী প্রচার কাজে যুক্ত ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে সন্দেহভাজন হামলাকারী ধরে নিয়ে নাগরিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকার মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার নেতা ছিলেন।
এমকে
জাতীয়
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন ছাড়ালো ৪ লাখ ৫৭ হাজার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য “পোস্টাল ভোট বিডি” অ্যাপে নিবন্ধন ছাড়াল চার লাখ ৫৭ হাজার। বুধবার সকালে ইসির ওয়েব সাইট (https://portal.ocv.gov.bd/report/by-country) থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
যে সব দেশে নিবন্ধন চলছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, বাংলাদেশ ইত্যাদি। মোট নিবন্ধন করেছেন (সকাল সোয়া দশটা পর্যন্ত) চার লাখ ৫৭ হাজার ৬৬ জন, যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে।
ইসি জানিয়েছে, অ্যাপে নিবন্ধনকারীদের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভোটার ভোট দিয়ে ফিরতি খামে তা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করবে ইসি।
এমকে
জাতীয়
হাদিকে গুলির ঘটনায় শুটার ফয়সালকে নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো র্যাব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগজিন ও ১১টি গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফয়সালের বাবা ও মাসহ তিনজনকে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় শুটার ফয়সাল ও তার পরিবারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর কিছু দিয়েছে র্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে ফয়সাল করিমের বোনের বাসা ও পাশের ভবনের ফাঁকা স্থান থেকে দুটি ভরা ম্যাগজিন, ১১টি গুলি এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ফয়সালের বোনের বাসা থেকে একটি ট্যাব, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি পুরনো বাটন মোবাইল, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবের ৩৮টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, ওই বাসার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফয়সাল করিম ও তার সহযোগী আলমগীর ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে বিকেল ৪টার দিকে ফয়সাল, আলমগীর এবং ফয়সালের মা ও ভাগিনাকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফয়সাল ও আলমগীর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে মো. ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এসময় তিনটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, এই তিনটি অস্ত্রের কোনো একটি দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে গুলি করা হয়েছে কি না, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর জানা যাবে। র্যাব-১১ নরসিংদীতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে।
র্যাব জানায়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন তরুয়া এলাকাস্থ মোল্লার বাড়ির সামনে তরুয়ার বিলে পানির মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) এবং মা মোছা. হাসি বেগমকে (৬০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১০-এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাচেষ্টা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে শুটার ফয়সালের বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তার বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের বাবা-মা তাদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে রয়েছে। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
‘১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি চূড়ান্ত’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি বেতার ও টেলিভিশন ভাষণটি একযোগে সম্প্রচার করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কোন ধরনের রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি, তা নির্ভর করবে গণভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার গতিপথ।
তিনি বলেন, আমরা চাই এই নির্বাচন হোক সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব সবার। আপনাদের মূল্যবান ভোটই আমাদের রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই ভোটকে শুধু কাগজে একটা সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখলে হবে না, বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সেই মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।
এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম বলেও মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতীয়
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২: চার দিনে গ্রেফতার ২ হাজার ৪৩৩
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্টদের দমনে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। গত চার দিনে এ অভিযানে দুই হাজার ৪৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১২টি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর গত শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভায় জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ফ্যাসিস্টদের দমনে এ অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।
সে অনুযায়ী ওইদিন রাত থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও সেনাবাহিনী অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ নামের বিশেষ অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন জানান, গত শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে গতকাল রোববার পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দুই হাজার ৪৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮২৩ জনকে। এ সময় তিনটি এলজি, একটি দেশীয় ওয়ান শুটারগান, ৮ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও দুটি বার্মিচ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এর ১০ মাস আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করা হয়েছিল। গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হয়।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার: ড. ইউনূস
সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরিবারের ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নেত্রী, দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এ বিষয়টি আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগের বিষয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে উল্লেখ করে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার, দেশের উন্নয়নে তার অবদান এবং তার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধাময় আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার এরইমধ্যে তাকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরিবারের ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সব বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।
নির্বাচনে একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই এই নির্বাচন হোক সত্যিকার অর্থে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সর্বোপরি সুষ্ঠু নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণের প্রতিটি ধাপকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, একটি বিষয় বারবার মনে করিয়ে দিতে চাই— নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব আমাদের সবার। আপনাদের মূল্যবান ভোটই আমাদের রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই ভোটকে শুধুই কাগজে একটি সিল মারার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখবেন না; বরং এটি হবে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সরাসরি অবদান। দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে, আর সেই মালিকানারই স্বাক্ষর আপনার ভোট।
এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান জানাচ্ছি— আপনারা একে অপরকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখবেন, কখনো শত্রু হিসেবে দেখবেন না। নির্বাচনের মাঠে এমন একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের দুশমন। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার অবশ্য কর্তব্য। ভোট জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর। ভোট বাক্সে ভোট জমা দিতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ আর রচনা করা যাবে না। আপনার ভোট আপনি সযত্নে ভোট বাক্সে দিয়ে আসুন। কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করুন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন। ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার আমার সবার ভবিষ্যৎ। আপনার আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। যোগ্য লোককে ভোট দিন। জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। মনে রাখবেন, ভোট রক্ষা করা দেশ রক্ষা করার সমান দায়িত্ব। ভোট রক্ষা করুন। দেশকে রক্ষা করুন। ভোট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার গাড়ির চাকা। এই চাকা কাউকে চুরি করতে দেবেন না।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে প্রশাসনকে আরও কার্যকর, নিরপেক্ষ ও নির্বাচনী পরিবেশের উপযোগী করতে সরকার মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল করেছে। এই পরিবর্তনগুলো কারও প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ প্রসূত নয়। এগুলো করা হয়েছে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং পেশাগত সক্ষমতার ভিত্তিতে। আমাদের লক্ষ্য একটাই— দেশের প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারেন নিরাপদ পরিবেশে, ভয়মুক্ত মনে এবং সর্বোচ্চ স্বাধীনতায়। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আরও কোনো পদক্ষেপ প্রয়োজন— তা কমিশন অবশ্যই গ্রহণ করবে।
‘জুলাই সনদ জাতির ভবিষ্যৎ পথযাত্রায় একটি ঐতিহাসিক দলিল। এই সনদে আমরা যে সংস্কারমালা প্রস্তাব করেছি— রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা, দুর্নীতি হ্রাস, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং সমাজে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা—এসব বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনগণের সুস্পষ্ট মতামত। কারণ একটি জাতীয় রূপান্তর কখনোই একক নেতৃত্ব বা একটি প্রশাসনের মাধ্যমে টেকসই হয় না; জনগণকেই চূড়ান্ত সম্মতি দিতে হয়। এই কারণেই আমরা গণভোটের আয়োজন করেছি—যাতে দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কার দিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এই গণভোট হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। এখানে আপনাদের প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে’, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, একই দিনে এবার দুটি ভোট। একটি সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট। আরেকটি গণভোট— যার প্রভাব হবে শতবর্ষব্যাপী। কাজেই অবশ্যই ভোট দিন। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। এর মাধ্যমে আপনারা জানান— আপনারা কি জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না। আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।
‘জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা কী তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন। ফ্যাসিবাদের মসনদ গুঁড়িয়ে দিতে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীদের এই ভূমিকা শুধু জুলাইয়েই নয়, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ও। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের এই প্রবাসী ভাইবোনেরা কখনোই ভোটাধিকার পাননি,’ যোগ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের ফলে প্রথমবারের মতো লাখ লাখ প্রবাসী এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে যাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরাও আনন্দিত। একইসঙ্গে অনেক প্রবাসী নানা জটিলতায় এই উদ্যোগে শামিল হতে না পেরে ব্যথিতও। আপনাদের আবেগের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা রেখে বলছি— এবারের যে ধারা শুরু হলো, তা ভবিষ্যতে থামবে না। আগামীতে আপনারাও এই প্রক্রিয়ায় শামিল হতে পারবেন।
তিনি বলেন, আজ আমি আপনাদের সামনে আমাদের রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার, আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি তুলে ধরতে চাই। একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যাবশ্যক। বহুদিন ধরে বিচার বিভাগ প্রশাসনের বিভিন্ন কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে তার পূর্ণ সম্ভাবনা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি। এটি জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারে বাধা সৃষ্টি করেছে, আর রাষ্ট্রের ওপর মানুষের আস্থাকেও দুর্বল করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম বড়ো পদক্ষেপ বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই— ইতোমধ্যে বিচার বিভাগকে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো দিয়ে পৃথক সচিবালয় গঠন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। এখন থেকে আর রাজনৈতিক কোনো চাপ বা প্রভাবের মাধ্যমে বিচারিক স্বাধীনতা যাতে ব্যাহত না হয়, সে নিশ্চয়তাও আরও জোরদার হবে।




