ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের সাইকেল র্যালি
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৫৫তম বিজয় দিবস উদযাপনে ‘VICTORY CYCLE RALLY 2025’ সাইকেল র্যালি করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা কলেজ শাখা। এতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশহগ্রহণ করে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনার থেকে এ সাইকেল র্যালিটি শুরু হয়। এরপর সাইন্সল্যাব হয়ে সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে র্যালি শেষ হয়।
র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা ও কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও ঢাকা কলেজ শাখার সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা কলেজ শাখা শিবিরের র্যালিতে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা ও বিজয় দিবসের টি-শার্ট, প্ল্যাকার্ড ও শ্লোগানের মাধ্যমে বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে।
আয়োজকরা বলেন, এই র্যালির মাধ্যমে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৫তম বিজয় দিবসের আনন্দের ও মুক্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাবেন।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অনাপত্তিপত্র ছাড়াই বিদেশ চলে গেলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না নিয়েই আমেরিকা চলে গেলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা রিয়া দিবা।
জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল. করার জন্য ২ বছরের শিক্ষাছুটিতে রয়েছেন তিনি, যা শুরু হয় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। তবে শিক্ষাছুটির মেয়াদের শেষ সময়ে আমেরিকা গিয়েছেন তিনি। সূত্র মতে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে আমেরিকা গমন করেন তিনি এবং এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।
তবে দপ্তরসূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে যে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়, সেই অনুমোদন নেননি তিনি।
শিক্ষিকার এম.ফিল. সুপারভাইজার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁর এম.ফিল. সম্পূর্ণ হয়নি। আর আমার সঙ্গে অনেক দিন যোগাযোগ নেই। দেশের বাইরে গিয়েছেন কি না, সে বিষয়েও জানি না।
এবিষয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার বলেন, তাঁর দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি আমি অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে আমাকে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানাননি। আর অনাপত্তিপত্রও নেননি। তবে ঘটনা যদি সত্য হয়ে থাকে এবং তিনি যদি আসলেই এভাবে দেশের বাইরে গিয়ে থাকেন, তাহলে বিষয়টিতে চাকরির বিধিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। আশা করছি, প্রশাসন আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হুদা বলেন, তাঁর বিদেশ গমনের বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে বিভাগ থেকে অবগত করলে জানতে পারব। পরবর্তীতে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
এবিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, চাকরিরত অবস্থায় অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে দেশের বাইরে যেতে হবে। অনুমতি ছাড়া যাওয়ার সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে সহকারী অধ্যাপক ফারহানা রিয়া দিবাকে হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে ফেসবুকে নিয়মিত সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে তাঁকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষাছুটিতে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদান করে থাকে। এই বেতন নেওয়ার পরও ছুটি শেষে বিভাগে না ফিরে অন্য দেশে থেকে যাওয়ার নজির রয়েছে। এমন ঘটনা হলে প্রশাসনের অবশ্যই বেতনের সমপরিমাণ টাকা ফেরত নিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, এম.ফিল. কিংবা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য শিক্ষাছুটিতে থাকা অবস্থায়ও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদান করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। এই বেতন নেওয়ার পরও ডিগ্রি নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে না ফিরে অন্য দেশে চলে যাওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং প্রতারণার শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এমন ঘটনা হলে প্রশাসনের অবশ্যই বেতনের সমপরিমাণ টাকা ফেরত নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পাসে চাকরি দেবে এসিআই
অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসিতে (এসিআই) ‘সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই এইচএসসি অথবা সমমান পাস হতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের নাম: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি (এসিআই)
বিভাগের নাম: এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস
পদের নাম: সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি অথবা সমমান
অভিজ্ঞতা: ১-২ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ৩৪ বছর
কর্মস্থল: যে কোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক করে অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি (এসিআই) আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ইবি ইউট্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি
যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সংগঠনটির সদস্যরা।
শ্রদ্ধাঞ্জলিতে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের নেতৃত্বে সিনিয়র অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, অধ্যাপক ড. নুরুন নাহার, অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজি, অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক ড. রাশেদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এ কে এম নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. খোদেজা খাতুন ও অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নেতৃত্বে দিবসটি উপলক্ষ্যে বের হওয়া শোক র্যালিতে অংশ নেয় সংগঠনটির সদস্যরা। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে এসে সমবেত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাখা ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, বিভিন্ন বিভাগ, হল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নিরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এসময় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খান।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইতিহাসকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না: ঢাবি উপাচার্য
১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪-এর ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো পরস্পরবিরোধী নয় বরং এগুলো বাংলাদেশের জাতীয় সত্তা ও ইতিহাস নির্মাণ করেছে। এসব ঘটনাকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভাজন সৃষ্টির যে রাজনৈতিক অপচেষ্টা চলছে, সে ব্যাপারে জাতিকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েমসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির নেতারা বক্তব্য দেন। রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, প্রভোস্ট, শিক্ষক, বিভিন্ন দফতরের প্রধান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ শুধু স্মরণীয় কোনো ইতিহাস নয় বরং আমাদের জাতীয় ঐক্য, পরিচয় ও অস্তিত্বের ভিত্তি। এই আত্মত্যাগ যতদিন আমাদের স্মৃতিতে জীবিত থাকবে, ততদিন জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।
উপাচার্য বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেবল আনুষ্ঠানিক কোনো দিবস নয়; এটি আত্মত্যাগের দায় স্বীকার করার উপলক্ষ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ একটি কঠিন ও ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই সময়ে শহিদদের স্মৃতি আমাদের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার মধ্য দিয়েই শহিদদের প্রতি আমাদের ঋণের কিছুটা হলেও শোধ করা সম্ভব।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষের আরও বেশি অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসব আয়োজন শুধু স্মরণ নয় বরং ঋণ স্বীকার ও দায়িত্ব পালনের একটি সম্মিলিত অঙ্গীকার।
দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গনস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণ, নিরীক্ষণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ণ, ফলাফল চূড়ান্তকরণ এবং পূনঃনিরীক্ষণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হয়েছে। উত্তরপত্র ‘ওএমআর বা আইসিআর’ মেশিনে পরীক্ষা করা হয়। সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটসমূহে ভর্তির জন্য সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনসমূহে প্রার্থীর জাতীয় মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে আসন বন্টন করা হয়েছে।
সংরক্ষিত আসনসমূহে ও নিজ নিজ শ্রেণির দাবীদারদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীর অর্জিত মেধাক্রম এবং কলেজ পছন্দের ভিত্তিতে প্রার্থী কোনো কলেজে ভর্তি হবেন তা, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd ও https://result.dghs.gov.bd হতে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ‘MBBS Result 2025-2026’ লিংকে ক্লিক করে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর ‘Result’ বাটনে ক্লিক করলেই ফলাফল দেখা যাবে। ভর্তিচ্ছুরা এটি ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট নিতে পারবেন। মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় বসেন। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষার সচিব, দুজন যুগ্ম সচিব, অধিদপ্তরের ডিজি, এডিজি (চিকিৎসা শিক্ষা), পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) আর বুয়েট-ঢাবির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র এবং ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বর। শুক্রবার তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে। পরীক্ষাহ ৯৮.২২ শতাংশ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির হার ১.৭৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ এবং ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬০০১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি।
এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।
এমকে




