পুঁজিবাজার
বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন, আরও কমেছে লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষে হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৯২ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। একই সঙ্গে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান কমে ৪১৩ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৪২ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে ১০১৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে ১৮৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৪১৩ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৮টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৯২ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমকে
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ২০ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন ব্লক মার্কেটে ২০ কোটি ১৬ হাজার টাকার লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। ব্লক মার্কেটে এদিন সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৬ কোম্পানির।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফাইন ফুডসের। এদিন কোম্পানিটির ১০ কোটি ৭২ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গ্রামীণ ফোন। কোম্পানিটির ২ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ডমিনেজ স্টিল।
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা অন্য ৩ কোম্পানির মধ্যে- শ্যামপুর সুগারের ৭৮ লাখ ২ হাজার টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৫৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এমকে
পুঁজিবাজার
এএফসি এগ্রো বায়োটেকের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩০ পয়সা বা ৮.৪ শতাংশ কমেছে।
দরপতনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ফ্যামিলিটেক্স। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.৬৯ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৭.১৯ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, জিএসপি ফাইন্যান্স, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, এইচআর টেক্সটাইল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, খুলনা প্রিন্টিং এবং জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড।
এমকে
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮৮ কোম্পানির মধ্যে ৪৮টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পেয়েছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৭৯ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয়।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল রিলায়েন্স ওয়ান দা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা কুইন সাউথ টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইনটেক, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিঊচ্যুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইউসিবি এবং সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
এমকে
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
এদিন লেনদেনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল সায়হাম কটন । কোম্পানিটির ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফাইন ফুডস।
এছাড়াও, ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, রহিমা ফুড, ডমিনেজ স্টিল, খান ব্রাদার্স, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং একমি পেস্টিসাইড লিমিটেড।
এমকে
পুঁজিবাজার
এটিবিতে রেনাটার প্রেফারেন্স শেয়ারের লেনদেন শুরু
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) রেনাটা পিএলসির প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার লেনদেন আজ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় এটিবিতে লেনদেন তালিকায় নাম লিখিয়েছে কোম্পানিটির প্রেফারেন্স শেয়ার।
এ নিয়ে ডিএসইর এই লেনদেন প্ল্যাটফর্মে দুটি সিকিউরিটিজ তালিকাভূক্ত হলো। তবে, লেনদেন তালিকায় নাম লেখালেও প্রথম অর্ধঘন্টায় রেনাটার প্রেফারেন্স শেয়ারে কোনো লেনদেন হয়নি। লেনদেন শুরুর জন্য শেয়ারটির অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯০০ টাকা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে রেনাটা পিএলসি সম্প্রতি ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার ইস্যু করেছে। এই প্রেফারেন্স শেয়ারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে কোম্পানিটি।
তথ্যানুসারে, রেনাটার ইস্যু করা ৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি নন-কিউমুলেটিভ, মানে কোনো বছর লভ্যাংশ না পেলে সেটি ভবিষ্যতে জমা হবে না এবং নন-পার্টিসিপেটিভ, মানে কোম্পানির মুনাফার ওপর ভিত্তি করে প্রেফারেন্স শেয়ারধারীরা বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। এ প্রেফারেন্স শেয়ারের মেয়াদ ছয় বছর এবং তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ২৫ শতাংশ হারে প্রেফারেন্স শেয়ার থেকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা হবে। একসময় এ প্রেফারেন্স শেয়ার পুরোপুরি সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর হবে। এক্ষেত্রে রূপান্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৫ টাকা।
এ বছরের জুলাইয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন পায় রেনাটা। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয় কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজারের সার্বিক বিস্তার তথা বাজার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্য সামনে রেখেই চালু করা হয়েছিল এটিবি। উদ্দেশ্য ছিল– পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিগুলোর জন্য সহজ ও কম খরচে মালিকানা হস্তান্তরের একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা। এই প্ল্যাটফর্মকে জনপ্রিয় করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে ভালো কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসা। পুঁজিবাজারের বাইরে অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন কারণে তালিকাভুক্ত হতে অনাগ্রহ দেখায়। কিছু কিছু কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়াকে প্রক্রিয়াগত ঝামেলার বিষয় মনে করে। ওই সব কোম্পানি এটিবিতে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে রাইট শেয়ার কিংবা প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ার ছেড়েও তাদের মূলধন বাড়াতে পারবে।
তবে দুঃখজনক হলেও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের এটিবি প্ল্যাটফর্মে এটি নিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত হলো। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রোকারেজ হাউজ লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের মাধ্যমে ডিএসইতে যাত্রা শুরু হয়েছিল এটিবি বোর্ডের। তখন প্রাণ এগ্রো লিমিটেড আনসিকিউরড গ্যারান্টেড বন্ড (পিএএলইউজিবি ওয়ান) ডেট সিকিউরিটিজ হিসেবে এই বোর্ডে তালিকাভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে ওই বন্ডের উদ্যোক্তা কর্তৃপক্ষ বন্ডটিকে এটিবিতে তালিকাভুক্ত করতে অনাগ্রহ দেখায়। অন্য স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইতে আইএফআইসি ব্যাংকের দুটি বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মাত্র পচারটি সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্ত হলো।
এমকে




