অর্থনীতি
চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৫ শতাংশে নামতে পারে: গভর্নর
চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ আশা প্রকাশ করেন।
গভর্নর বলেন, ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের বেশি হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি এটি ভালোর দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে এবং সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি এখন ৮ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা এটি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব বলে আশা করছি।
মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নীতি সুদহার কমানো একটি পূর্বশর্ত।
এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, সুদের প্রকৃত হার ইতিবাচক না থাকলে আমরা হার কমাতে পারি না। বৈদেশিক ঋণ কমানোর জন্য প্রথমেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে করতে পারলে বিনিময় হার স্থিতিশীল, বিনিয়োগকারীদের আস্থা জোরদার ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সুবিধা হবে।
তিনি বলেন, হঠাৎ প্রশাসনিক খরচ কমানো বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে এবং নতুন করে মুদ্রাবাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।
অর্থনীতি
সিগারেট কোম্পানির ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ অভিযানে সিগারেট কোম্পানির প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ উদঘাটন হয়েছে। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
অভিযানকালে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজার পিস অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল/স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮.৫ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০ পিস বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রয় করছিল।
অর্থনীতি
ব্যাংক খাতের সংকটে ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন: গভর্নর
খেলাপি ঋণ আদায় করতে অর্থ ঋণ আইনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতের সংকট কাটাতে ৭০ হাজার কোটি টাকা দরকার। যেটা একসঙ্গে পাওয়া যাবে না। আগামী অর্থ বছরের বাজেট থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিডা এবং ইউএনডিপির যৌথ আয়োজিত সভায় তিনি এই কথা জানান।
গভর্নর বলেন, প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় সম্পদ। কোনো ব্যক্তির জন্য আমরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারি না। এগুলো মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। তবে আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের প্রয়োগ হবে, ব্যক্তিকে আমরা ছাড়ব না। এই নীতি ছিল আমাদের। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি।
দেশে প্রচুর ‘লিলিপুট’ ব্যাংক রয়েছে উল্লেখ করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের একটি ব্যাংকও নেই। এটা আগামী ২০ বছরেও সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করলে ১০-১৫ বছরে ব্র্যাক ব্যাংক হয়তো সেখানে যেতে পারে।
এমকে
অর্থনীতি
আজ বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট
বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সিরিজের আরও একটি নোট বাজারে ছাড়ছে। দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যকে থিম করে তৈরি “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য” শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো প্রচলনে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরযুক্ত এই নতুন নোটটি আজ প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও বাজারে ছাড়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ৫০০ টাকার নোটে থাকছে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট। ১৫২ মি.মি. × ৬৫ মি.মি. আকারের নতুন ৫০০ টাকার নোটের সম্মুখভাগে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি। পেছনের অংশে মুদ্রিত হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।
নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা। নোটটিতে জলছাপ হিসেবে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ এবং নিচে ইলেকট্রোটাইপ ‘৫০০’। সবুজ রঙের আধিক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে নোটের ডিজাইন আরও আধুনিক ও নিরাপদ।
নোটটিতে মোট ১০ ধরনের উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ডানদিকে থাকা মূল্যমান ‘500’ উন্নত রং–পরিবর্তনশীল কালি দিয়ে ছাপা। নোট নাড়াচাড়া করলে রং সবুজ থেকে নীল হয় এবং ভেতরে কোণাকুনি ‘৫০০’ দেখা যায়।
বাম পাশে ৪ মি.মি. চওড়া লাল রঙের পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা, যা আলোয় ধরলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা স্পষ্ট দেখা যাবে। নাড়াচাড়া করলে লাল অংশ সবুজ হয় এবং সোনালি বার রংধনুর মতো নিচে–ওপরে চলমান দেখা যায়।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ডানদিকে নিচে পাঁচটি ছোট উঁচু বৃত্ত। ইন্টাগ্লিও কালি ব্যবহারে শহীদ মিনার, সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন অংশে স্পর্শে উঁচু অনুভূতি পাওয়া যাবে।
নোটের বিভিন্ন স্থানে ‘BANGLADESH BANK’ মাইক্রোপ্রিন্ট। UV আলোর নিচে দৃশ্যমান বিশেষ নকশা, সংখ্যা ও রঙিন ফাইবার। উভয় পাশে UV curing varnish থাকায় নোট হবে কিছুটা চকচকে। See-through ইমেজ হিসেবে আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট দেখা যাবে ‘500’।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই চালু থাকবে। এছাড়া সংগ্রাহকদের জন্য ৫০০ টাকার নমুনা নোটও মুদ্রণ করা হয়েছে, যা টাকা জাদুঘর বিভাগ, মিরপুর থেকে সংগ্রহ করা যাবে। জাতীয় স্বার্থে সংবাদমাধ্যমগুলোকে এই তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমকে
অর্থনীতি
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানী লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) আওতাধীন হবিগঞ্জ-৫নং কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় পেট্রোবাংলা।
এতে বলা হয়, পেট্রোবাংলার আওতাধীন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানী লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) অধীনে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৭টি কূপ ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) ও কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ এবং মেঘনা ফিল্ডে ৭টি কূপ ওয়ার্কওভার শীর্ষক প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ-৫নং কূপের ওয়ার্কওভার কাজ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) তাদের বিজয়-১১ রিগ দ্বারা সম্পাদন করেছে।
বার্তায় আরো বলা হয়, হবিগঞ্জ-৫ নং কূপটি ওয়ার্কওভার করার পূর্বে ১৫২১ পিএসআই চাপে দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন চলমান ছিল। কূপটি ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর থেকে কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করা হয় এবং ২ ডিসেম্বর ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হয়।
ওয়ার্কওভার শেষে ৩ ডিসেম্বর থেকে দৈনিক ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে দৈনিক অতিরিক্ত প্রায় ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা সম্ভব হয়েছে, যা জাতীয় জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
অর্থনীতি
দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে
দেশের ভেতরে এবং বিদেশে—দুই ক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার এবং দেশে মোট লেনদেন উভয়ই বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা।
সেপ্টেম্বরে এই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকা—এক মাসে ব্যয় বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার শীর্ষ তিন দেশ— যুক্তরাষ্ট্র: ৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা, থাইল্যান্ড: ৫৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, যুক্তরাজ্য: ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা।
এ ছাড়া আরও খরচ— সিঙ্গাপুর ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়া ৩৪ কোটি, ভারত ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ড ২৫ কোটি, সৌদি আরব ২৪ কোটি, কানাডা ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়া ১৭ কোটি, আয়ারল্যান্ড ১৬ কোটি, চীন ১৫ কোটি এবং অন্যান্য দেশে ৯২ কোটি টাকা।
তবে বাংলাদেশে বিদেশিদের ক্রেডিট কার্ড খরচ কমেছে। আগস্টে বিদেশিরা বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে খরচ করেছিলেন ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকা—অর্থাৎ এক মাসে খরচ কমেছে ৮ কোটি টাকা।
বিদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা— যুক্তরাষ্ট্র: ৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা, যুক্তরাজ্য: ১৭ কোটি টাকা, ভারত: ১৭ কোটি টাকা।
দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ড লেনদেনেও উল্লম্ফন
দেশের অভ্যন্তরেও ক্রেডিট কার্ড লেনদেন বেড়েছে। ২০২৫ সালের আগস্টে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা।সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা—এক মাসে লেনদেন বেড়েছে ২৫১ কোটি টাকা।



