আইন-আদালত
ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা: জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি এ মামলায় পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। পরে তা মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে জয় ও পলকের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) জমা দেয় প্রসিকিউশন। এর আগে, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর তামিম।
এমকে
আইন-আদালত
কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে দুই সেনা কর্মকর্তা
জুলাই-আগস্টে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ দুই সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার পর ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আনা হয়। এ মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করবে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হবে।
এদিকে, আজও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের আশপাশ এলাকা। হাইকোর্টের মূল অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
রেদোয়ানুল ছাড়া অপরজন হলেন বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। পলাতকরা হলেন- ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।
পলাতকদের পক্ষে গত ২৪ নভেম্বর স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ওই দিন দুই সেনা কর্মকর্তার হয়ে আইনি লড়াই করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ সালাহউদ্দিন। তিনি নিজের ক্লায়েন্টদের সশরীরে হাজির না হয়ে ভার্চুয়ালি শুনানি বা হাজিরার আবেদন করেন। তবে এ বিষয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এমকে
আইন-আদালত
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ: আপিল বিভাগ
সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সের আলোকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়া বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রিটকারীর লিভ টু আপিল খারিজ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ আদেশ দেন।
এমকে
আইন-আদালত
তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জেডআই খান পান্না হাজির না হওয়ায় তাকে তলব করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়।
প্রথমেই প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানির একপর্যায়ে স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী জেডআই খান পান্নাকে ফোন করে আসতে বলেন ট্রাইব্যুনাল। ঠিক ১০ মিনিট পর হুইলচেয়ারে করে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আসেন পান্না।
এ সময় প্রসিকিউশনের শুনানি থামিয়ে পান্নাকে শুনতে চান ট্রাইব্যুনাল। সুস্থ আছেন কি না জানতে চেয়ে তার উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। আপনি আসেননি কেন। আপনার অনুপস্থিতিতে শুনানি করতে হয়েছে। চাইলে আবার হবে।
জবাবে পান্না বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে এ মামলায় না দাঁড়ানোর জন্য আমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার ক্লায়েন্ট হাজির হবেন না। আপনিও আসবেন না। আপনি নিজেই আগ্রহ দেখিয়েছেন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অর্ডার দিয়েছি। আপনি না করতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে এসে বলতে হবে। এছাড়া আপনি এক ভিডিও বার্তায় ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, আপনার ক্লায়েন্ট এই আদালত মানেন না। এজন্য আপনিও মানেন না। এটা কি আপনি বলতে পারেন?
জেডআই খান পান্না বলেন, আমি আনকনডিশনাল অ্যাপোলজি চাই।
পরে এ মামলায় লড়ার কথা ফের জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তখন ‘না’ জবাব দেন এই আইনজীবী। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আমরা আশা করব আপনার কাছ থেকে সহায়তা পাব। একইসঙ্গে তার বদলে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে পরামর্শ চান ট্রাইব্যুনাল। তবে কারও নাম না বলায় মো. আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যিনি এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন অভিযুক্ত শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর আবেদন করেন জেডআই খান পান্না। পরে তাকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম।
আইন-আদালত
ট্রাইব্যুনালে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ফজলুর রহমান। অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর শুনানির কথা রয়েছে। যা কিছু বলেছেন তা ভুলে বলেছেন বলে স্বীকার করেছেন ফজলুর রহমান। এজন্য আদালতের অনুকম্পা বা ক্ষমা পেতে চান।
এর আগে, এ অভিযোগের ব্যাখ্যা শুনতে ফজলুর রহমানকে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ওইদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ, আদালতের নিরপেক্ষতায় হস্তক্ষেপকারী ‘অভ্যন্তরীণ বন্দোবস্ত’ রয়েছে বলে দাবি ও প্রসিকিউশন প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য; এই তিনটি কারণে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে প্রসিকিউশন। এ নিয়ে ২৬ নভেম্বর প্রথম শুনানি হয়। ৩০ নভেম্বর অবশিষ্ট শুনানি শেষে ব্যাখ্যা জানতে বিএনপির এই নেতাকে তলব করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৩ নভেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক : রাজনীতির তর্ক-বিতর্ক’ টকশোতে অতিথি হয়ে যান ফজলুর রহমান। টকশোর একপর্যায়ে শেখ হাসিনার রায় প্রসঙ্গ আসতেই নানান কথা বলেন তিনি। ৪৯ মিনিটের টকশোটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে এরইমধ্যে ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালেও ফজলুর রহমানের বক্তব্যের কিছু অংশ বাজিয়ে শোনানো হয়।
ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি এই কোর্ট মানি না। তখন উপস্থাপক বলেন, তাহলে কি আমরা শুনতে পাইনি। মিডিয়া কি জানতে পারেনি।’ ফজলুর রহমান বলেন, ‘সবাই জানে। জানবে না কেন। আমার ইউটিউব শোনেন। আমি এই কোর্ট মানি না। এই কোর্টের বিচার মানি না। ইউটিউবে বলেছি, টকশোতে বলেছি। যদি না বলে থাকি এখন বললে আমার ভুল আমার মাফ চাইবো প্রতিদিন বলছি এই বিচার আমি মানি না। এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে না। এই কোর্টের গঠনপ্রক্রিয়া বলে এই কোর্টে বিচার হতে পারে না।’ প্রসিকিউশনের সবাই শিবির সমর্থিত বলেও টকশোতে দাবি করেন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনাল আইন না বুঝেই ফজলুর রহমান এসব মন্তব্য করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। ফজলুর রহমানের আর কোনো পরিচয় আছে কিনা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী বলে জানানো হয়। জুলাই বিপ্লব নিয়ে মন্তব্য করায় বিএনপি আগেও তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিল বলে জানান প্রসিকিউশন।
আদালতকে তামিম বলেন, ফজলুর রহমান দাবি করেছেন যে তিনি ট্রাইব্যুনালকে মানেন না। কারণ এটি ১৯৭১ সালের রাজাকারদের বিচার করার জন্য গঠিত হয়েছিল।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণীত হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। এ আইনের অধীনে ১৯৭৩ সালের আগে ও পরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা যায়। আর প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সবশেষ ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে এসব অভিযোগ গুরুতর মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল। তাই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফজলুর রহমানের ব্যাখ্যা শুনতে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এমকে
আইন-আদালত
নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং নির্বাচন কমিশন সার্ভিস গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের (ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের) নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
রিটে রুল চাওয়া হয়েছে এবং রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম বুধবার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার এই রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন পরিচালনা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার বিভাগের ন্যায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনেরও নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। এর জন্য ‘ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।
বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দ্বারা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিট দায়েরের বিষয়ে আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম জানান, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচনের ব্যাপারে মতবিনিময় করেছে। তাদের (ডিসি) নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাদের আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে সেটা নিশ্চিত।
মো. ইয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। তাই রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা আছে।
এমকে



