অর্থনীতি
‘আনঅফিসিয়াল’ ফোন বন্ধের ঘোষণায় মোবাইলের বাজারে ধস
টেলিযোগাযোগ নিরাপত্তা জোরদার ও অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধ করতে সরকার ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দেশের মোবাইল ফোন বাজারে তীব্র অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ‘আনঅফিসিয়াল’ বা নিবন্ধনহীন ফোন বিক্রি প্রায় থমকে যাওয়ায় লক্ষাধিক ব্যবসায়ী ও বিক্রেতা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালেব প্লাজাসহ বিভিন্ন মোবাইল মার্কেটে সরেজমিনে দেখা গেছে—আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রি ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
ইস্টার্ন প্লাজার ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, সরকারের ঘোষণার পর ব্যবসায়ীদের করুণ অবস্থা। গত ১৫ দিন ধরে বিক্রি প্রায় শূন্য। যদি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারও ব্যাংক লোন আছে, কারও মার্কেটে ডিও—সব মিলিয়ে আমরা পথে বসব। তিনি সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের দুরবস্থার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) জানিয়েছে, তারা এনইআইআর বাস্তবায়নে বাধা নন, তবে ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা ফোন বিক্রির সুযোগ হিসেবে অন্তত এক বছর সময় চেয়েছেন।
সরকারের পদক্ষেপে ক্রেতাদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বৈধতা ও নিরাপত্তার পক্ষে মত দিলেও অনেকেই চিন্তিত ফোনের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়।
মগবাজারের বাসিন্দা নোমান সাকির নিশু আনঅফিসিয়াল ফোন কিনতে এসে দ্বিধায় পড়েছেন। তিনি একটি জনপ্রিয় মডেল আনঅফিসিয়াল দামে ১ লাখ ৭ হাজার টাকায় কেনার কথা ভাবছিলেন, যেখানে একই ফোন অফিসিয়াল কিনতে হলে গুনতে হবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
নোমান বলেন, এত বেশি দামে অফিসিয়াল ফোন কেনা সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন। এতে মানুষের পকেটে চাপ বাড়বে।
মোতালেব প্লাজায় সার্ভিসিং করাতে আসা এক ক্রেতা মনে করেন, হঠাৎ করে আনঅফিসিয়াল ফোনের বাজার বন্ধ করা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, অফিসিয়াল ফোনের বাজারের চেয়ে আনঅফিসিয়াল বাজার অনেক বড়। এত ব্যবসায়ী এই খাতে যুক্ত। সরকারের উচিত আগে তাদের সঙ্গে বসে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা, যাতে তারা টিকে থাকতে পারেন। এতে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে।
এনইআইআর শুরু হওয়ার আগে ব্যবসায়ী–ক্রেতা উভয়ের মাঝে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় বাজার পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হচ্ছে আরও ১০০ কোটি ডলারের সয়াবিন
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত লাখ মেট্রিক টনের বেশি সয়াবিন আমদানির পর মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও ডেল্টা অ্যাগ্রো আগামী বছর আরও ১০০ কোটি ডলারের সয়াবিন কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন দূতাবাস গত বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের উৎপাদিত একটি বড় সয়াবিন চালান মেঘনা গ্রুপে পৌঁছালে সেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি উচ্চমানের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, যা বাংলাদেশের মৎস্য ও পোলট্রি শিল্পকে আরও শক্তিশালী করছে।
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ক্রয়চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় শিল্পখাতে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে মার্কিন সয়াবিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জ্যাকবসন আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে কৃষিখাতের এই সহযোগিতা শুধু বাণিজ্যই নয়, খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পোন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতি
রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ছে, অনলাইনে জমা দেবেন যেভাবে
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়া বাড়তে পারে। নিয়ম অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর।
ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত আদেশ হতে পারে।
এ বিষয়ে এনবিআর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী ২০২৫-২৬ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পেশার করদাতাদের পক্ষ হতে এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এরই মধ্যে ২০২৫-২৬ কর বছরে ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd এর মাধ্যমে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ বছর এনবিআর এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ব্যতীত সব ব্যক্তিগত করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। তবে যারা এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, তারাও ইচ্ছা করলে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
এনবিআর জানায়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতারাও পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে ereturn@etaxnbr.gov.bd এ আবেদন করলে তাদের ই-মেইলে OTP ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সহজেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। ই-রিটার্ন সিস্টেমে করদাতাদের কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না। কেবল আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য প্রদান করলেই তাৎক্ষণিকভাবে Acknowledgement Slip ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের মধ্যে ই-রিটার্ন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে এনবিআর একটি কল সেন্টার (০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১) চালু করেছে, যেখানে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সহায়তা পাচ্ছেন।
পাশাপাশি, www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটের eTax Service অপশন এবং দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে স্থাপিত ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক থেকেও সরাসরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
অর্থনীতি
চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই–অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তারপরও লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি অর্থবছরের ৪ মাসে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের চার মাস শেষে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা, স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা, আর আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি সাড়ে ২৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মূসকে। এছাড়া শুল্কে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও আয়করে ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও কোনো খাতেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
অন্যদিকে একক মাস হিসেবে অক্টোবর মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ। আদায় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৭ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। অক্টোবর মাসে শুল্কে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে (১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ), ভ্যাটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৭৬ ও আয়করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
চলতি (২০২৫–২৬) অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৯ শতাংশ। যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এমকে
অর্থনীতি
ভরিতে এক হাজার ৩৫৩ টাকা কমলো সোনার দাম
দাম বাড়ানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২০ নভেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮০ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৪ বার, আর কমেছে মাত্র ২৬ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।
এমকে
অর্থনীতি
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ছে
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়তে যাচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়া বাড়তে পারে। নিয়ম অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত আদেশ হতে পারে।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী ২০২৫-২৬ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ছাড়া সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পেশার করদাতাদের পক্ষ হতে এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এরই মধ্যে ২০২৫-২৬ কর বছরে ১০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd এর মাধ্যমে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ বছর এনবিআর এক বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ব্যতীত সব ব্যক্তিগত করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। তবে যারা এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, তারাও ইচ্ছা করলে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
এনবিআর জানায়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতারাও পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করে ereturn@etaxnbr.gov.bd এ আবেদন করলে তাদের ই-মেইলে OTP ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সহজেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। ই-রিটার্ন সিস্টেমে করদাতাদের কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে হয় না। কেবল আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য প্রদান করলেই তাৎক্ষণিকভাবে Acknowledgement Slip ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের মধ্যে ই-রিটার্ন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে এনবিআর একটি কল সেন্টার (০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১) চালু করেছে, যেখানে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সহায়তা পাচ্ছেন।
পাশাপাশি, www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটের eTax Service অপশন এবং দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে স্থাপিত ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক থেকেও সরাসরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
এমকে



