জাতীয়
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফমার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানান, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আজ ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ভিজিটর বইতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয়
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপলো রাজধানী
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
জাতীয়
শুক্রবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২, বিউবো, সিলেট দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন নিম্নোক্ত ১১ কেভি ফিডার সমূহের বিতরণ লাইন এবং ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজসহ রাইট অফ ওয়ে বরাবর গাছ-পালার শাখা-প্রশাখা কর্তন এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকিবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৭টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১১ কালীঘাট ফিডারের আওতাধীন আমজাদ আলী রোড, কালীঘাট, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, মহাজনপট্রি, হকার্স মাকেট, লালদীঘিরপাড়, ডাক বাংলা রোড ও এর আশপাশের এলাকাসমূহ এবং ১১ কেভি ধোপাদিঘীরপাড় ফিডারের আওতাধীন রোজ ভিউ পয়েন্ট, উপশহর ডি-ব্লক মেইন রোড উভয়পাশ্ব এবং আশপাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে উক্ত সাট ডাউনের সময়কালীন সময় লাইন চালু বলিয়া গণ্য হবে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে।
গ্রাহকদের এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এমকে
জাতীয়
কৈলাশটিলার একটি কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ থেকে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার তথ্য দিয়েছে পেট্রোবাংলা। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, ওয়ার্কওভার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে এই গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে।
কৈলাশটিলা-১ কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৮৩ সালে প্রথম এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৯ সালের পর থেকে এই কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এখন ওয়ার্কওভার সফল হওয়ার ফলে দৈনিক ৫ মিলিয়ন করে গ্যাস পাওয়া যাবে। আগামী ১০ বছর ধরে এই পরিমাণ গ্যাস মিলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পেট্রোবাংলা জানায়, গত ১২ অগাস্ট বাপেক্সের নিজস্ব রিগ বিজয়-১২ এর মাধ্যমে বন্ধ এ কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ শুরু হয়।
১৯৬১ সালে আবিষ্কৃত কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রে আটটি কূপ খনন করা হয়। ৮৭৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন প্রমাণিত মজুদের এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮১২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে, যা উত্তোলনযোগ্য মজুদের ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে কৈলাশটিলা-২ নম্বর কূপ থেকে ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে দৈনিক ৫ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ পাওয়া গিয়েছিল। গত বছর কৈলাশটিলা-৮ নম্বর কূপ খনন করেও সাফল্য মেলে। দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে ওই কূপ থেকে।
জাতীয়
নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
আইন অনুযায়ী নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আইন অনুযায়ী নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। যারা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে পুলিশ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল, আদর্শ কিংবা ব্যক্তির প্রতি দুর্বলতা বা পক্ষপাত প্রদর্শন করা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশ আইন অনুযায়ী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। থানা এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধে টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার বলেন, পুলিশ সদস্যদের সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া দৈনন্দিন কার্যক্রমে ডি-নথির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলা রুজুর পর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যায়।
তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড প্রদর্শন করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার রায় ঘিরে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এমকে
জাতীয়
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দিতে যাচ্ছে সরকার
২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি। যেহেতু উনারা এখন সাজাপ্রাপ্ত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাজেই আমরা মনে করি ভারতের এখন বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে তাদের ফেরত দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য ভারত যেন আমাদের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন চুক্তি অনুযায়ী তার বাধ্যবাধকতা পালন করে। সেটা স্মরণ করিয়ে আমরা ভারতকে চিঠি দিচ্ছি।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, একই সঙ্গে এই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দেশের ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক যে অপরাধ আদালত রয়েছে সেখানে আমরা কোনো রকম অ্যাপ্রোচ করতে পারি কিনা, সেটা বিচার বিবেচনা করার জন্য আমরা অচিরেই বসে সিদ্ধান্ত নেব।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।



