আইন-আদালত
শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ও হাইকোর্ট এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পুরো এলাকাজুড়ে নজরদারি, টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ হিসেবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। রায় ঘোষণার আগে রাজধানীতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচি ও সহিংসতার প্রেক্ষাপট
এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই দিনের (১৬–১৭ নভেম্বর) ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ। ঘোষণার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। গত কয়েকদিনে শুধু ঢাকাতেই ঘটে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার চেষ্টা। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আইসিটি ও হাইকোর্ট এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা—সাজোয়া যান মোতায়েন
রবিবার বিকালে আইসিটি ও হাইকোর্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়- পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, সিআইডি ও ডিবি সদস্যরা পুরো এলাকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছেন। হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ও মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশের সাজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবনের ছাদেও অতিরিক্ত নজরদারি পোস্ট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট ও মুভমেন্ট কন্ট্রোল জোরদার করা হয়েছে।
‘কোনও নিরাপত্তা শঙ্কা নেই’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘১৭ নভেম্বরকে ঘিরে কোনও নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তবে নিষিদ্ধ দলের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সর্বাত্মক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইসিটি ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন আছে।’
বিজিবির ১৪ প্লাটুন মোতায়েন
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ঢাকা মহানগর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এমজেডএম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ‘র্যাব-২ ও র্যাব-৩ আইসিটি এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখেছে। নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে। অনলাইনে যেসব নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে, সেগুলো আমাদের সাইবার মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ কোনও সংগঠন রায়কে ঘিরে নাশকতার চেষ্টা করলে র্যাব তা নস্যাৎ করতে প্রস্তুত। জনমনে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’
রায় ঘোষণার আগের দিন পুরো রাজধানীজুড়েই সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে সব ধরনের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।
এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করবেন।
এর গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের কাছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। এই অপরাধের দায়ে আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। গত ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
এমকে
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর)।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার রায়ের এই দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
একাধিকবার সময় বাড়ানোর পর চলতি বছরের ১২ মে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগগুলো হলো—গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।
এই পাঁচ অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন (১০ জুলাই) সাবেক আইজিপি মামুন গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হওয়ার আবেদন করেন।
গত ১২ অক্টোবর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষ হয় ২৩ অক্টোবর। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড চান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্কে এ মামলা থেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের খালাস আবেদন করেন। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনেরও খালাস আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সেদিন (২৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল বলেন, এই মামলার রায় কবে দেওয়া হবে, তা ১৩ নভেম্বর জানানো হবে। সে অনুযায়ী আজ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ (১৭ নভেম্বর) ধার্য করলেন।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য আজ
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় কবে ঘোষণা করা হবে, সেই তারিখ জানা যাবে আজ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল মামলার রায়ের এই দিন ঠিক করবেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে এই মামলায় কবে রায় ঘোষণা করা হবে তা ঠিক করার জন্য আজকের (১৩ নভেম্বর) দিন ঠিক করে রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৩ অক্টোবর মামলার বিচারকাজ শেষে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের তারিখ জানানোর জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। সেদিন ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছিলেন, রায়ের এই তারিখ হবে অল্প সময়ের মধ্যে।
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থোকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আজ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানা গেছে।
সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্মকর্তা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় যে কোনো ধরনের নাশকতা বা হট্টগোল এবং অপতৎপরতা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা থাকবে বিভিন্ন স্তরে।
আইন-আদালত
শপথ নিলেন ২১ বিচারপতি
শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২১ বিচারপতি। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এর আগে মঙ্গলবার অতিরিক্ত ২২ বিচারপতিকে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারককে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দান করেছেন। এ নিয়োগ শপথ নেওয়ার তারিখ হতে কার্যকর হবে।
এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর ২৩ জনকে অনধিক দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই ২৩ জন থেকে ২২ জনকে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি জানান, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার শপথ গ্রহণ আপাতত স্থগিত থাকবে।
২২ বিচারপতি হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন ও শিকদার মাহমুদুর রাজী।
আইন-আদালত
২২ জনকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্টের ২২ অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তবে একই সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীকে স্থায়ী করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ঢাকা পোস্টকে জানায়, বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বয়স এখনও ৪৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাকে এ তালিকায় স্থায়ী করা হয়নি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২২ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের নিম্নবর্ণিত ২২ (বাইশ) জন অতিরিক্ত বিচারককে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।
তারা হলেন, বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন, বিচারপতি মো. মনসুর আলম, বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান, বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথীকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, বিচারপতি মো. তৌফিক ইনাম, বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন, বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী।
এর আগে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ২৩ জনকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২৩ জনের মধ্যে বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর ছেলে দেবাশীষ রায় চৌধুরী ছিলেন।



