অর্থনীতি
ই-কমার্স রপ্তানিতে ঘোষণাহীন সীমা দ্বিগুণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ই-কমার্স খাতে ঘোষণাবিহীন রপ্তানির সীমা দ্বিগুণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ১ হাজার মার্কিন ডলার (বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা) পর্যন্ত পণ্য বা সেবা রপ্তানি করতে পারবেন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই। আগে এ সীমা ছিল ৫০০ ডলার।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক নির্দেশনা জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও সহজ ও গতিশীল করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ঘোষণাহীন রপ্তানির আয় সরাসরি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) এর মাধ্যমে দেশে আনা যাবে। অর্থাৎ রপ্তানিকারকরা তাদের ডিজিটাল ওয়ালেট বা অ্যাকাউন্টেই রপ্তানি আয়ের অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন।
এর আগে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি সেবা রপ্তানির আয় এমএফএস ও পিএসপি মাধ্যমে আনার সুযোগ ছিল। নতুন নির্দেশনার ফলে স্বল্পমূল্যের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই সুবিধা কার্যকর হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত সব লেনদেন অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালার আওতায় সম্পন্ন করতে হবে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পদক্ষেপ ই-কমার্স ও ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকদের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। এতে রপ্তানি প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক ও স্বচ্ছ, বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার পথ হবে সহজ, এবং আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে বৈদেশিক আয় প্রবাহও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনীতি
সিএমএসএমই খাতে ঋণ কমছে
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের পর বৃহৎ ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসাও ছোট হয়ে আসছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর কটেজ, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের ঋণ বিতরণ কমে গেছে। গত জুন শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ১৭ শতাংশ ছিল সিএমএসএমই খাতের। গত দুই বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এক সভায় এ খাতে ঋণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঋণ কমে যাওয়ায় সম্প্রতি সিএমএসএমই খাতে ঋণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে এই খাতের ঋণ বিতরণ বাড়াতে নতুন করে কিছু ছাড়ও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিএমএসএমই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) সংরক্ষণের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ সিএমএসএমই ঋণে আগের চেয়ে আরও কম নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। ফলে ব্যাংকগুলো এই খাতে ঋণ দিতে আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংকগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ও স্পেশাল মেনশন হিসেবে (এসএমএ) থাকা বকেয়া ঋণের বিপরীতে যথাক্রমে ১ ও ৫ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের আওতায় সব অশ্রেণিকৃত (স্ট্যান্ডার্ড ও এসএমএ) স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ এবং সিএমএসএমই শিল্প উদ্যোগের ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের মধ্যে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের অন্তত ২৫ শতাংশ কটেজ, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প খাতে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০২৯ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে মোট ঋণের ২৭ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সিএমএসএমই খাতের ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা মোট ঋণের ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ছিল সিএমএসএমই খাতে। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। ফলে সিএমএসএমই খাতে ঋণ ধীরে ধীরে কমছে।
এদিকে মোট সিএমএসএমই ঋণের অন্তত ৪০ শতাংশ উৎপাদন উপখাতে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত জুন পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের ঋণের মধ্যে উৎপাদন উপখাতে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৬ শতাংশ। সেবা উপখাতে ২০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ১৯ শতাংশ। আর ট্রেড বা ব্যবসা উপখাতে ৪০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সিএমএসএমই খাতের প্রতিটি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঋণসীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কুটির উদ্যোগে সর্বোচ্চ ২০ লাখ, মাইক্রো উদ্যোগে ২ কোটি, ক্ষুদ্র উদ্যোগে ২৫ কোটি ও মাঝারি উদ্যোগে ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ আগে থেকে এসএমই ঋণ বাড়াতে নানা চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছর এক নির্দেশনায় বিনা জামানতে নারী উদ্যোক্তাদের ২৫ লাখ টাকা ও অন্য উদ্যোক্তাদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। আবার করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই, এমন উদ্যোক্তাও অন্য ব্যবসাসংক্রান্ত সনদ দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত এসএমই ঋণ নিতে পারেন। এরপরও ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই ঋণের চেয়ে করপোরেট ঋণ দিতে বেশি আগ্রহী বলে জানান খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, সিএমএমইএ খাতে ঋণ বিতরণের চেয়ে করপোরেট ঋণ বিতরণ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক বেশি লাভজনক।
এ ছাড়া ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের আগস্টের পর ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বদলে গেছে। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। তাতে এসব ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু ব্যাংক আমানতকারীদের চাপ মোকাবিলা করতেই হিমশিম খাচ্ছে। আবার সংকটে থাকা পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে তাই সার্বিকভাবে ঋণ বিতরণ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে সিএমএসএমই খাতেও। এ ছাড়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঋণের চাহিদাও কমেছে। অনেক ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা রাজনৈতিক কারণে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের মধ্যে সিএমএসএমই ঋণের অংশ কমে জুন শেষে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমেছে, ২০২৪ সাল শেষে যার হার ছিল ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। একইভাবে এই খাতে বিদেশি ব্যাংকগুলোর ঋণ ৯ দশমিক ২৫ থেকে কমে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমেছে। আর এই খাতে বেসরকারি ব্যাংকের ঋণের হার ১৯ দশমিক ১২ থেকে নেমেছে ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর এ খাতে ঋণ ১৮ দশমিক ১৪ থেকে কমে ১৬ দশমিক ১১ শতাংশে নেমেছে। তবে সিএমএসএমই খাতে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণ আগের বছরের ১৭ দশমিক ৬৯ থেকে বেড়ে ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
অর্থনীতি
শীতের সবজিতে স্বস্তি, নাগালের মধ্যে পেঁয়াজও
সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ও নতুন আলুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।
বিক্রেতারা বলছেন, সারাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবারাহ বেড়েছে। যে কারণে দাম কম। সমনে আরও কমে আসবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। তবে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিও এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। অর্থাৎ, গত দু-তিন সপ্তাহ আগের চেয়ে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে।
এছাড়া বাজারে মুরগি, ডিম, মাছ ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল। মাঝারি আকারের একেকটি বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে বাজার ও মানভেদে ২০-৩০ টাকার মধ্যে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩০ টাকার বেশি। একইভাবে কমেছে ফুলকপির দাম। আকারভেদে একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকায়। শিমের দামও কমেছে। এখন অন্তত চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে নতুন আসা বিচিওয়ালা শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।
মাত্র দু-তিন সপ্তাহ আগেই প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে ২০-২৫ টাকায় নেমেছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
পাকা টমেটোর দাম কমলেও এখনো গ্রাহকের নাগালে আসেনি। প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। তবে শাকের দাম কমেছে। পালং শাক, লাল শাক ও মুলা শাকের আঁটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকার মধ্যে।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কম। প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বাজারভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির বাজারও স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি এখন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
এ ছাড়া প্রতি কেজি চাষের তেলাপিয়া, পাঙাশ, কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার মধ্যে। আর রুই-কাতলার কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এ দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই রকম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অর্থনীতি
প্রার্থীদের জন্য এনবিআর ও ব্যাংকের বিশেষ ব্যবস্থা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও ২৭ ডিসেম্বর শনিবার সারা দেশে ব্যাংক খোলা থাকবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য জামানতের অর্থ ও ভোটার তালিকার সিডি ক্রয়ের অর্থ জমাদানের সুবিধার্থে সব তফসিলি ব্যাংক শনিবার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রির্টান দাখিলের বিষয়ে এনবিআর জানিয়েছে, প্রার্থীদের রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে এনবিআরের উদ্যোগে এবং ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় একটি বিশেষ হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি উপস্থিত হয়ে এ সেবা নিতে পারবেন। আগামীকাল শুক্রবার এনবিআরের ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে। শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হেল্পডেস্ক খোলা থাকবে।
এ ছাড়া, আগামী রবিবার ও সোমবার ও অফিস চলাকালীনও এইসব হেল্পডেস্কের কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। গত ২৩ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলে সময় ১ মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের জামানত ও ভোটার তালিকার সিডি কেনার অর্থ ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমার সুবিধার্থে ২৭ ডিসেম্বর তফসিলি ব্যাংকের সকল শাখা খোলা থাকবে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষে ছুটি এবং ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
পরপর তিন দিন ছুটিতে ব্যাংক বন্ধের কারণে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে জটিলতার কথা তুলে ধরে শনিবার ব্যাংক খোলা রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, পশুর হাটে বিক্রেতাদের অর্থ জমা রাখতে দুই ঈদের সময় ও বিশেষ প্রয়োজনে ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার রীতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শাখার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ছুটির দিনে কাজ করা কর্মীদের বেতনের আনুপাতিক হারে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার নীতিমালা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
অর্থনীতি
ছুটির দিনেও চালু থাকবে আয়কর রিটার্নের হেল্প ডেস্ক
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের হেল্প ডেস্ক চালু রাখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এনবিআর থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এনবিআর বলছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। এই হেল্পডেস্কে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রমনার ইঞ্চিনিয়ার্স ইনিস্টিটউটের (আইইবি) লেভেল ৭ এ অবস্থিত কর কমিশনারের কার্যালয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দেওয়া হবে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) একই অফিসে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে। পরেদিন রোববার (২৮ ডিসেম্বর) কর্মদিবসে যথারীতি এ সেবা চালু থাকবে।
এমকে
অর্থনীতি
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে ১ জানুয়ারি
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী ৩০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৬ শুরু হচ্ছে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইপিবি জানিয়েছে, এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’, যেখানে দর্শনার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে মেলার আয়োজন করছে।
মেলায় দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে ৩৫০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেবে। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, সিঙ্গাপুর ও আফগানিস্তানসহ কয়েকটি দেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য চালু থাকবে ই-টিকিটিং সুবিধা এবং টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। শিশুদের বিনোদনের জন্য দুটি শিশুপার্কও রাখা হয়েছে।
এদিকে নাম পরিবর্তনের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় মেলাটি আগের নাম ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ নামেই অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে এ মেলা পূর্বাচলের বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হচ্ছে।
এমকে




