অর্থনীতি
অকার্যকর পাঁচ ব্যাংকে প্রশাসক বসালো সরকার
আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত শরিয়াভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক মার্জার বা একীভূত করতে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে নিয়মিত এমডিরা বাদ পড়েছে। ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব নিয়েছে সরকার এবং পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
অকার্যকর ঘোষণা করা ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, একীভূতকরণের বিষটি এতোদিন কাগজে কলমে ছিল আজ আনুষ্ঠানিক যাত্র শুরু করলো। বাংলাদেশ ব্যাংক ৫টি ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা অকার্যকর। পরিচালনা পর্ষদও ভেঙে দিয়েছে। এখন ব্যাংকগুলো পরিচালনার জন্য প্রত্যেক ব্যাংকের একজন করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসকের সঙ্গে সহযোগীও দেওয়া হচ্ছে।
গভর্নর বলেন, পাঁচ ব্যাংক একীভূত করে সরকারি ব্যাংক হলেও এটি বেসরকারি ব্যাংকের মতই পরিচালিত হবে। ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে, গ্রাহকসেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। আগের নামেই ব্যাংকগুলোতে পেমেন্ট, আমদানি রপ্তানির এলসি খোলা যাবে, আমানত ও চেক নিষ্পত্তি হবে এবং রেমিট্যান্স কার্যক্রম আগের মতোই সচল থাকবে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব সরকার নিলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না। বিদ্যমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা পাবেন।
সরকারি ব্যাংক হলেও এটা চলবে বেসরকারি ব্যাংকের মত জানিয়ে গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক ব্যাংকিং চলবে। ব্যাংকগুলোর নামেও রেমিট্যান্স আসবে। আমদানি-রপ্তানির এলসিও খুলতে পারবে। একই সঙ্গে আমানত ও চেক নিষ্পত্তি হবে নিজেদের নামে।
গ্রাহক কবে তুলতে পারবেন আমানত
এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর জানান, অকার্যকর ঘোষণা করা পাঁচ ব্যাংকের আমানকারীরা চলতি নভেম্বর মাস থেকেই আমানতের অর্থ তুলতে পারবে। তবে যেসব আমানতকারীদের আমানতের পরিমাণ ২ লাখ টাকার নিচে তারাই প্রথমে আমানত তুলতে পারবেন। আর যাদের আমানতের পরিমাণ ২ লাখ টাকার উপরে তাদের অর্থ উত্তোলনের বিষয়ে শিগগিরই একটি নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি জানান, পাঁচটি ব্যাংকের মোট ৭৫০টি শাখা ও ৭৫ লাখ আমানতকারী রয়েছে। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে চায়। ব্যাংকগুলো যেহেতু সরকারের অধীনে যাচ্ছে তাই আমানতকারীদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হলেও যাদের প্রয়োজন আছে তারাই শুধু অর্থ উত্তোলন করবেন। অযথা ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য ভীড় করবেন না।
কী পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা?
অকার্যকর ঘোষণা করা ব্যাংকগুলোর শেয়ারহোল্ডারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুঁজিবাজারে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন— একীভূত হওয়ার পর তাদের শেয়ারের মূল্য কীভাবে নির্ধারিত হবে? এ বিষয়ে গভর্নর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এই পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন নেগেটিভ। তাই তাদের শেয়ারের ভ্যালু শূন্য (জিরো) হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কাউকেই কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক যেমন লভ্যাংশ পান, তেমনি ক্ষতির দায়ও নিতে হয়। আমরা এখানে শেয়ারহোল্ডারদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি না, কেবল তাদের শেয়ারমূল্যকে শূন্য ধরা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্য দেশে হলে এই অবস্থায় শেয়ারহোল্ডারদের জরিমানা করা হতো। এখন এসব ব্যাংকের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ঋণাত্মক, কিছু ক্ষেত্রে তা ৪২০ টাকা পর্যন্ত নেগেটিভ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন সরকার পরিবর্তনের পর এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে কি না— জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, এটা দেশের স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত। প্রত্যাশা করছি সরকার বদলালেও জনগণের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রশাসক হিসেবে এক্সিম ব্যাংকে দায়িত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শওকাতুল আলম, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক সালাহ উদ্দিন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান এবং ইউনিয়ন ব্যাংকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার। আর আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার দেওয়া হবে। একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকে ৭৫ লাখ আমানতকারীর বর্তমান জমা আছে এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ রয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশ এখন খেলাপি।
গভর্নর জানান, ৫ ইসলামী ব্যাংক মিলেই দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক হবে। নতুন এ সমন্বিত ব্যাংকের পেইড-আপ ক্যাপিটাল হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যা বর্তমানে দেশের যে কোনও ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর সরকারি মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক গঠনের অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। একীভূত করে একটি নতুন সরকারি মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক গঠন করা হবে। যার নাম হবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তারল্য সংকট, বিশাল অঙ্কের শ্রেণিকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতি— এসব কারণে ব্যাংকগুলো কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছেছে। অনেকবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এই ব্যাংকগুলোর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বরং তাদের শেয়ার মূল্য মারাত্মকভাবে পড়ে গেছে এবং প্রতিটি ব্যাংকের নিট সম্পদ মূল্য বা নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।
অর্থনীতি
৫ ব্যাংকের গ্রাহকদের বড় সুখবর দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
একীভূত হওয়া পাঁচটি ব্যাংকের আমানতকারীদের অ্যাকাউন্ট নতুন গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।পাশাপাশি আমানতকারীরা তাদের নামে স্ব স্ব ব্যাংকের চেক বইয়ের মাধ্যমে টাকা তোলার সুযোগ পাবেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানান।
অনিয়ম ও ঋণ খেলাপির চাপে দেশের ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে থাকা পাঁচটি ব্যাংক একত্রিত করে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি গঠনের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো—এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
পাঁচ ব্যাংকের আমানত নবগঠিত সম্মিলিত ইসলাম ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হতে পারে। সম্পন্ন হওয়ার পর আলোচিত পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাবের আমানত নবগঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হবে। এর ফলে আমানতকারীরা তাদের বিদ্যমান স্ব স্ব চেক বইয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তোলার সুযোগ পাবেন। অবশিষ্ট আমানত তাদের ব্যাংক হিসাবে সুরক্ষিত থাকবে।
অবশিষ্ট আমানতের উপর প্রচলিত হারে মুনাফা দেওয়া হবে জানিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক হওয়ায় নবগঠিত এই ব্যাংকের উপর জনগণের আস্থা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আমানতকারীদের টাকা তোলার চাহিদা অনেকাংশে কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সব জটিলতা দূর করে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। তারই ধারায় আগামী সোমবার থেকে ওই পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহক সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীরা তাদের নামে স্ব স্ব ব্যাংকের চেক বইয়ের মাধ্যমে টাকা তোলার সুযোগ পাবেন। স্থানান্তরের কারণে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারী নতুন ব্যাংকে হিসাব নম্বর সয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন এই ব্যাংকেও তাদের নামে একাউন্ট থাকবে। যার ফলে তাদের নামে চেকইস্যুসহ ব্যাংকিং সব সুবিধা পাবে।
আরিফ হোসেন খান বলেন, প্রথমদিকে গ্রাহক দুই লাখ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। তবে ধাপে ধাপে এই টাকা তোলার পরিমাণ বাড়বে। তিনি আরও বলেন, যেসব গ্রাহকের একাউন্টে দুই লাখ টাকার কম আছে, তারা সব টাকা একবারেই তুলতে পারবেন। যাদের হিসাবে দুই লাখ টাকার বেশি রয়েছে, তারা চাইলে প্রতি তিন মাস অন্তর এক লাখ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত তুলতে পারবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সি গ্রাহক বা জটিল রোগে আক্রান্ত আমানতকারীদের জন্য টাকা তোলার এই সীমা শিথিল রাখা হয়েছে। প্রয়োজন তারা যেকোনো পরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর সেনাকল্যাণ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। আলোচিত ওই পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৭৫ লাখ আমানতকারীর এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে। বিপরীতে ঋণ রয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বড় অংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে। সারা দেশে এসব ব্যাংকের ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে।
অর্থনীতি
সিএমএসএমই খাতে ঋণ কমছে
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের পর বৃহৎ ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসাও ছোট হয়ে আসছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর কটেজ, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের ঋণ বিতরণ কমে গেছে। গত জুন শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ১৭ শতাংশ ছিল সিএমএসএমই খাতের। গত দুই বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এক সভায় এ খাতে ঋণ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঋণ কমে যাওয়ায় সম্প্রতি সিএমএসএমই খাতে ঋণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে এই খাতের ঋণ বিতরণ বাড়াতে নতুন করে কিছু ছাড়ও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিএমএসএমই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) সংরক্ষণের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ সিএমএসএমই ঋণে আগের চেয়ে আরও কম নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। ফলে ব্যাংকগুলো এই খাতে ঋণ দিতে আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংকগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ও স্পেশাল মেনশন হিসেবে (এসএমএ) থাকা বকেয়া ঋণের বিপরীতে যথাক্রমে ১ ও ৫ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের আওতায় সব অশ্রেণিকৃত (স্ট্যান্ডার্ড ও এসএমএ) স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ এবং সিএমএসএমই শিল্প উদ্যোগের ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের মধ্যে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের অন্তত ২৫ শতাংশ কটেজ, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প খাতে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০২৯ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে মোট ঋণের ২৭ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সিএমএসএমই খাতের ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা মোট ঋণের ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ছিল সিএমএসএমই খাতে। ২০২৩ সালে এই হার ছিল ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ। ফলে সিএমএসএমই খাতে ঋণ ধীরে ধীরে কমছে।
এদিকে মোট সিএমএসএমই ঋণের অন্তত ৪০ শতাংশ উৎপাদন উপখাতে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত জুন পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের ঋণের মধ্যে উৎপাদন উপখাতে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৬ শতাংশ। সেবা উপখাতে ২০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ১৯ শতাংশ। আর ট্রেড বা ব্যবসা উপখাতে ৪০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সিএমএসএমই খাতের প্রতিটি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঋণসীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কুটির উদ্যোগে সর্বোচ্চ ২০ লাখ, মাইক্রো উদ্যোগে ২ কোটি, ক্ষুদ্র উদ্যোগে ২৫ কোটি ও মাঝারি উদ্যোগে ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ আগে থেকে এসএমই ঋণ বাড়াতে নানা চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছর এক নির্দেশনায় বিনা জামানতে নারী উদ্যোক্তাদের ২৫ লাখ টাকা ও অন্য উদ্যোক্তাদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। আবার করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই, এমন উদ্যোক্তাও অন্য ব্যবসাসংক্রান্ত সনদ দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত এসএমই ঋণ নিতে পারেন। এরপরও ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই ঋণের চেয়ে করপোরেট ঋণ দিতে বেশি আগ্রহী বলে জানান খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, সিএমএমইএ খাতে ঋণ বিতরণের চেয়ে করপোরেট ঋণ বিতরণ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক বেশি লাভজনক।
এ ছাড়া ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের আগস্টের পর ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বদলে গেছে। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। তাতে এসব ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু ব্যাংক আমানতকারীদের চাপ মোকাবিলা করতেই হিমশিম খাচ্ছে। আবার সংকটে থাকা পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে তাই সার্বিকভাবে ঋণ বিতরণ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে সিএমএসএমই খাতেও। এ ছাড়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঋণের চাহিদাও কমেছে। অনেক ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা রাজনৈতিক কারণে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের মধ্যে সিএমএসএমই ঋণের অংশ কমে জুন শেষে ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমেছে, ২০২৪ সাল শেষে যার হার ছিল ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। একইভাবে এই খাতে বিদেশি ব্যাংকগুলোর ঋণ ৯ দশমিক ২৫ থেকে কমে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমেছে। আর এই খাতে বেসরকারি ব্যাংকের ঋণের হার ১৯ দশমিক ১২ থেকে নেমেছে ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর এ খাতে ঋণ ১৮ দশমিক ১৪ থেকে কমে ১৬ দশমিক ১১ শতাংশে নেমেছে। তবে সিএমএসএমই খাতে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণ আগের বছরের ১৭ দশমিক ৬৯ থেকে বেড়ে ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
অর্থনীতি
শীতের সবজিতে স্বস্তি, নাগালের মধ্যে পেঁয়াজও
সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ও নতুন আলুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।
বিক্রেতারা বলছেন, সারাদেশে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবারাহ বেড়েছে। যে কারণে দাম কম। সমনে আরও কমে আসবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। তবে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিও এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। অর্থাৎ, গত দু-তিন সপ্তাহ আগের চেয়ে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেক কমেছে।
এছাড়া বাজারে মুরগি, ডিম, মাছ ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল। মাঝারি আকারের একেকটি বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে বাজার ও মানভেদে ২০-৩০ টাকার মধ্যে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩০ টাকার বেশি। একইভাবে কমেছে ফুলকপির দাম। আকারভেদে একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকায়। শিমের দামও কমেছে। এখন অন্তত চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে নতুন আসা বিচিওয়ালা শিম ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।
মাত্র দু-তিন সপ্তাহ আগেই প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে ২০-২৫ টাকায় নেমেছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
পাকা টমেটোর দাম কমলেও এখনো গ্রাহকের নাগালে আসেনি। প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। তবে শাকের দাম কমেছে। পালং শাক, লাল শাক ও মুলা শাকের আঁটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকার মধ্যে।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কম। প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম বাজারভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির বাজারও স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি এখন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
এ ছাড়া প্রতি কেজি চাষের তেলাপিয়া, পাঙাশ, কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার মধ্যে। আর রুই-কাতলার কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এ দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই রকম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অর্থনীতি
প্রার্থীদের জন্য এনবিআর ও ব্যাংকের বিশেষ ব্যবস্থা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনেও অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও ২৭ ডিসেম্বর শনিবার সারা দেশে ব্যাংক খোলা থাকবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য জামানতের অর্থ ও ভোটার তালিকার সিডি ক্রয়ের অর্থ জমাদানের সুবিধার্থে সব তফসিলি ব্যাংক শনিবার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রির্টান দাখিলের বিষয়ে এনবিআর জানিয়েছে, প্রার্থীদের রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে এনবিআরের উদ্যোগে এবং ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় একটি বিশেষ হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। এনবিআর জানিয়েছে, এই হেল্পডেস্কের মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি উপস্থিত হয়ে এ সেবা নিতে পারবেন। আগামীকাল শুক্রবার এনবিআরের ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে। শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হেল্পডেস্ক খোলা থাকবে।
এ ছাড়া, আগামী রবিবার ও সোমবার ও অফিস চলাকালীনও এইসব হেল্পডেস্কের কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। গত ২৩ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলে সময় ১ মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের জামানত ও ভোটার তালিকার সিডি কেনার অর্থ ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমার সুবিধার্থে ২৭ ডিসেম্বর তফসিলি ব্যাংকের সকল শাখা খোলা থাকবে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষে ছুটি এবং ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
পরপর তিন দিন ছুটিতে ব্যাংক বন্ধের কারণে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে জটিলতার কথা তুলে ধরে শনিবার ব্যাংক খোলা রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল ইসি।
জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, পশুর হাটে বিক্রেতাদের অর্থ জমা রাখতে দুই ঈদের সময় ও বিশেষ প্রয়োজনে ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার রীতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শাখার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ছুটির দিনে কাজ করা কর্মীদের বেতনের আনুপাতিক হারে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার নীতিমালা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
অর্থনীতি
ছুটির দিনেও চালু থাকবে আয়কর রিটার্নের হেল্প ডেস্ক
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের হেল্প ডেস্ক চালু রাখবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এনবিআর থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এনবিআর বলছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। এই হেল্পডেস্কে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রমনার ইঞ্চিনিয়ার্স ইনিস্টিটউটের (আইইবি) লেভেল ৭ এ অবস্থিত কর কমিশনারের কার্যালয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দেওয়া হবে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) একই অফিসে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সেবা দেওয়া হবে। পরেদিন রোববার (২৮ ডিসেম্বর) কর্মদিবসে যথারীতি এ সেবা চালু থাকবে।
এমকে




