রাজনীতি
গণসংযোগের সময় বিএনপির প্রার্থীসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ
জনসংযোগ চলাকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে এরাশাদ উল্লাহকে উদ্ধার করে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক পোস্টে এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি
এমপিপ্রার্থীর গণসংযোগে গুলি, বিএনপিকর্মী নিহত
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপিপ্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় গুলিতে সরওয়ার বাবলা নামের এক বিএনপিকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ থানার চাইলত্যাতলীতে গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান এ তথ্য জানান।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। এসময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে কারা তাকে গুলি করেছে তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য জানা যায়নি। এসময় আরও দু-তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানান বিএনপির এক নেতা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল বলেন, নগরীর তিন নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে নির্বাচনি সভা করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সভা শেষ করে তিনি সেখানে একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়েন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর তিনি হেঁটে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি করে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। তবে কারা গুলি করেছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি।
এরশাদ উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
রাজনীতি
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সমঝোতা বা জোট এটা একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে। যেমন জুলাই সনদের বিষয়টি রয়েছে। এ সনদে আমাদের সংস্কারের দাবিগুলোর সঙ্গে যদি কোনো দল সংহতি প্রকাশ করে, সে ক্ষেত্রে হয়ত আমরা জোটের সিদ্ধান্ত নেবো।
এখনও পর্যন্ত আমরা এককভাবেই নির্বাচনের জন্য আগাচ্ছি। এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমাদের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবো, যোগ করেন নাহিদ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে শহীদ জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি। এসময় সালাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এনসিপি তাদের পাশে সব সময় থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই নির্বাচনের লক্ষ্য আমাদের। তবে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, খালেদা জিয়ার কথা নাসিরুদ্দিন ভাই বলেছেন, তাদের সম্মানের জন্য আমরা সেসব আসনে প্রার্থী দেবো না। এছাড়া সব আসনেই শাপলা কলির প্রার্থী দেবো।
রাজনীতি
নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী কোনো জোট গঠন করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে’।
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আদায় করা হবে বলেও জানান জামায়াত আমির। অন্যথায় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের থাকার সুযোগ নেই।
সম্প্রতি নিজের বিদেশ সফর প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘বিদেশে প্রবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রবাসী বাংরাদেশিরা তাদের বুকের উষ্ণতা ও ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে এসেছেন। তাদের বুকভরা ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। তাদের আকাশ সমান প্রত্যাশা এই জাতির কাছে। তারাও জাতি বিনির্মাণে অবদান রাখতে চান। এই জাতির কাছে তাদের পাবার কিছু নেই। তারা একটু সম্মান চান।’
শফিকুর রহমান তৃতীয়বারের মতো দলের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সিলেটে এলেন।
রাজনীতি
রাজনীতিটা এখন ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে: রুমিন ফারহানা
রাজনীতি এখন ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, একজন নারী যিনি শিক্ষিতা, যার একটি ডিগনিফাইড প্রফেশন আছে, যে একটা ভালো ফ্যামিলিতে বিলং করে তিনি এই নোংরার মধ্যে নামবেন কেন? রাজনীতিটা তো এখন একটা ডাস্টবিনের মতো হয়ে গেছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া এসে এবং সবার হাতে সেলফোন চলে যাওয়ার পরে ‘বট আইডি’ ও ‘এআই’ আসার পরে ইটস এন এবসোলেটলি ডাস্টবিন। একটা ভদ্র ফ্যামিলির এডুকেটেড মেয়ে হু হ্যাজ অ্যা ভেরি ব্রাইট ফিউচারড এহেড।
উনি কেন পলিটিক্সে আসবেন? সবকিছু বিবেচনায় যদি কেউ চলেও আসে দলগুলো হয়তো অতো আস্থা রাখতে পারে না।
বিএনপি এবার যে ২৩৭ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জন নারী রয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলেছেন— রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব কমছে। সেই সঙ্গে বলা হচ্ছে, নারী নেতৃত্বের ৩৩ শতাংশও পূরণ করেনি কোনো কোনো দল।
বেশ কিছু জরিপেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে। আপনিও একজন নারী। নারী নেতৃত্বকে কি আরেকটু প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল কিনা? আসলে কমতি কোন জায়গায়? যোগ্যতার মাফকাঠিতে কমতি নাকি রাজনৈতিক যে পরিবেশ সেদিক থেকে কমতি— এমন প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বড় বড় পলিটিক্যাল পার্টি যেগুলো আছে, সেখানে কিন্তু যোগ্য নারী নেতৃত্বের খুব একটা অভাব আছে বলে মনে করি না।
হয়তো পুরুষের তুলনায় তাদের সংখ্যা কম। কিন্তু সেটা এত কম নয় যে, মাত্র ৩ বা ৪ শতাংশ নমিনেশন তারা পাবে। ১০০ এর মধ্যে তিন বা চারজন, বাট দ্যাট ইজ টু লো একচুয়ালি।
‘বড় দলগুলো ছোট দলগুলোকে একীভূত করে রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায় এবং এজন্যই জোটের বিরোধিতা, আরপিও সংশোধনের বিরোধিতার বিষয়টি উঠে এসেছে’ এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এবার জোটের প্রার্থী হবেন, তাদের যদি দলের নিবন্ধন থাকে, তাদের নিজের দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে দুরকমই যুক্তি আছে।
তিনি বলেন, সরকারের তরফে যেটা বলা হয়েছে— ছোট দলগুলো কখনো বিকশিত হতে পারে না। তারা সবসময় দেখা যায় হয় নৌকার সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টে যাচ্ছে। কখনো ধানের শীষের সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশে দ্বিদলীয় ব্যবস্থা আরো স্ট্রং হতে থাকে। ছোট ছোট দল অনেকগুলো আছে কিন্তু তারা সেভাবে ইন্ডিপেন্ডেন্টলি ফ্লারিশ করতে পারে না। যেন দলগুলো ফ্লারিশ করতে পারে, সে কারণেই বলা হয়েছে এবার যার মার্কা, সেই মার্কাতেই তাকে নির্বাচন করতে হবে।
বিএনপির এই নেত্রী আরো বলেন, যদি কোনো দলের নিবন্ধন ও প্রতীক থাকে, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি আপনার রাজনীতি কেন করছেন না? মানে আপনি একটা দলের মার্কা নিয়েছেন এবং সেই দলের রাজনীতি আপনি ধারণ করেন, না হলে তো আপনি ধানের শীষ বা নৌকার দলই করতে পারেন। তাহলে একটা ছোট দল রাখবার প্রয়োজনটা কি? এই কথাগুলো সরকারের তরফ থেকে এসছে। অন্যদিকে বিএনপির তরফ থেকে খুব ক্লিয়ারলি বলা হয়েছে— লাস্ট মোমেন্টে এসে যে আরপিওটা সংশোধন হলো, দীর্ঘদিন যারা এই বড় দলের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছে, তাদের তো একটা এক্সপেক্টেশন আছে যে আমরা পার্লামেন্টে যেতে চাই। আমরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই। সেই এক্সপেক্টেশন থেকে হয়তো তারা বড় দলগুলোর সঙ্গে জোট করেছে এবং বড় দলগুলোও একসময় দেখিয়েছে যে আমার সঙ্গে এতগুলো রাজনৈতিক দল আছে। এতগুলো দল মিলে একটা জোট তৈরি হয়েছে। এটার উভয়দিকেই তর্ক আছে।
রাজনীতি
বিএনপিতে যোগ দিলেন মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-তে যোগদান করেছেন। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে তিনি যোগ দিতে আসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্নিগ্ধের যোগদানের কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।



