রাজধানী
মেট্রোরেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও চলাচল বন্ধ
কারিগরি ত্রুটির কারণে শাহবাগ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ আছে। আজ বুধবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মেট্রোরেল এমআরটি-৬ এর উপপরিচালক (জনসংযোগ) আহসানউল্লাহ শরীফি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিজয় সরণি-ফার্মগেট সেকশনে একটা ঝাঁকুনি হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
মেট্রো পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা জানান, রাত ৯টা ১০ মিনিটে একটা ঝাঁকুনি হয়।
তবে, উত্তরা-আগারগাঁও এবং শাহবাগ-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো চলাচল অব্যাহত আছে বলে তারা জানিয়েছেন।
রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত ওই অংশে মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেট্রো স্টেশন থেকে ফিরে যাওয়া যাত্রীরা এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বাসে প্রচুর ভিড় থাকায় দুর্ভোগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায়।
কারওয়ান বাজারে স্টেশনে অপেক্ষারত এক যাত্রী জানান, স্টেশনে হঠাৎ মেট্রো থেকে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ।
রাজধানী
পুরো রুটে চালু হলো মেট্রোরেল
ফার্মগেট এলাকার কাছে মেট্রোরেল লাইনের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর পুরো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের উপ-প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, আমার ১১টা থেকে পুরো রুটে অপারেশন শুরু করেছি।
গতকাল দুপুরে মেট্রোরেলের ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারী নিহত ও দুজন আহত হন। এরপর নিরাপত্তার জন্য পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিকেল ৩টার দিকে আগারগাঁও-উত্তরা সেকশনে এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মতিঝিল-শাহবাগ সেকশনে মেট্রো ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে শাহবাগ-আগারগাঁও সেকশনে মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
গতকালের দুর্ঘটনার প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর ৪৩৩ নম্বর পিলারে বিয়ারিং প্যাড বসানোর কাজ শেষ করে পুরো রুটে মেট্রো ট্রেন চালানো শুরু করলো ডিএমটিসিএল।
রাজধানী
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে এক ব্যক্তির মৃত্যু, মেট্রো চলাচল বন্ধ
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড (স্প্রিং) ছিটকে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে, ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর। তবে তাঁর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় ওপর থেকে ভারী ধাতব বস্তুটি নিচে পড়ে ওই পথচারীর মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মেট্রোরেল চলাচলের সময় পিলারের কম্পন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে যায়।
রাজধানী
দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির প্রায় অর্ধেক এখন রাজধানী-কেন্দ্রিক
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘ঢাকা-প্রভাব’ এখন প্রায় দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে হাজির। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সাম্প্রতিক ‘ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স’ (ইপিআই) জরিপ বলছে, দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪৬ শতাংশই এখন ঢাকাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশও রাজধানীতেই সীমিত।
২৫ অক্টোবর শনিবার ডিসিসিআই-এর এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্যেরও একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। জরিপ অনুসারে, যেখানে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় $২,৮২০ ডলার, সেখানে শুধুমাত্র ঢাকাবাসীর গড় মাথাপিছু আয় প্রায় দ্বিগুণ, যা $৫,১৬৩ ডলার। এর অর্থ হলো, জাতীয় আয়ের সিংহভাগই এখন রাজধানীর মানুষের হাতে।
ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিচালিত এই ইপিআই জরিপটি উৎপাদন, বাণিজ্য, রপ্তানি, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত বিশ্লেষণ করেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, এশিয়ার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে দেশের মোট জনসংখ্যার ১১.২ শতাংশ ও শহুরে জনসংখ্যার ৩২ শতাংশের বসবাস।
অর্থনৈতিক আধিপত্যের দিক থেকে, দেশের মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশই আসে ঢাকা-নির্ভর শিল্প ও প্রতিষ্ঠান থেকে। এমনকি, উৎপাদন, সেবা ও পোশাক খাতের মতো মূল শিল্পগুলো মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠানের হাতে (যথাক্রমে ৩৬৫টি, ২৮৯টি এবং ২১৪টি) নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, যা অর্থনীতির কেন্দ্রীভূত চিত্রকে আরও স্পষ্ট করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ওপর দেশের মোট অর্থনীতির প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভরশীলতার বিষয়টি তুলে ধরে নীতিনির্ধারণের জন্য আরও সুনির্দিষ্ট তথ্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যদিও ঢাকাকেন্দ্রিক এই অর্থনৈতিক উত্থান দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি, তবুও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস, অবকাঠামোগত চাপ সামাল দেওয়া এবং সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সরকারের জন্য এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ডিসিসিআইকে পরবর্তী জরিপে কৃষিখাত অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
রাজধানী
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে মানিক মিয়া এভিনিউ রণক্ষেত্র
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষে মানিক মিয়া এভিনিউ একরকম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত ‘রোড ব্লকার’গুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনের সামনে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে তৈরি করা অস্থায়ী তাঁবুতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় আন্দোলনকারীদের মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আসাদগেটে অবস্থান করছেন আর আসাদগেটের ওপারে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি এখন থমথমে রয়েছে। আগুন দেওয়ার স্থলে প্রচুর পরিমাণ আসবাবপত্র ও সিরামিক্সের থালা-বাসনও ভাঙচুর করা হয়েছে।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বর্তমানে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাও বন্ধ রয়েছে। এই সড়কের পাশাপাশি মিরপুর সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পুরোটা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আন্দোলনকারী জুলাই যোদ্ধারের একটি গ্রুপ আড়ংয়ের দিকে, আরেকটি গ্রুপ খামার বাড়ির দিকে অবস্থান করছে। থেমে থেমে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে পুলিশ।
বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে আজ। বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা।
তবে এ অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সংসদ ভবন এলাকায়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই আহত বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেন তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাই সনদে তাদের স্বীকৃতি থাকবে জানিয়ে তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনকারীরা আগের অবস্থান চালিয়ে যান। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
রাজধানী
২৮ ঘণ্টার চেষ্টায় রূপনগরের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন প্রায় ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। সবশেষ ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করে। ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন্য নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ৪টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সর্বশেষ আমাদের ৫টি ইউনিট কাজ করছিল।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে এই আগুনের সংবাদ আসে। পরে সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
গতকাল বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।




