অর্থনীতি
২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা
চলতি অক্টোবরের প্রথম ২৮ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ২৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় ২ দশমিক ৩৪ ডলার) রেমিট্যান্স। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে ২৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা প্রায় ১০১৯ কোটি টাকার প্রবাসী আয়। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এবং ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানান, অক্টোবরের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার (প্রায় ২৩৪ কোটি), যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-২৮ অক্টোবর ২০২৪) রেমিট্যান্স এসেছিল ৮৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল—জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
অর্থনীতি
ভরিতে ৮ হাজার ৯০০ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
চার দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ৮ হাজার ৯০০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ২ হাজার ৭০৯ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল ঘোষণা দিয়ে আজ থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর করা হয়। প্রতি ভরি সোনার দাম কমানো হয় ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা। তার আগে আরও তিন দফা সোনার দাম কমানো হয়। এতে চার দফায় ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমলো হয় ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৮ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৮ হাজার ৫০৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৭ হাজার ২৯০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৬ হাজার ২১৭ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৫ টাকা।
এর আগের দফায় ঘোষণা দিয়ে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯ হাজার ৯৯৬ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৮ হাজার ৫৭৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৭ হাজার ৩১৪ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২৮ টাকা। আজ বুধবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
একলাফে সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমলো স্বর্ণের দাম
একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম কমানো হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল দাম কমানোর ঘোষণা দিয়ে আজ থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর করা হয়। ভালো মানের এক ভরি দাম কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। তার আগে ২৭ অক্টোবর ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবার ভরিতে দাম কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা। ফলে চার দফায় ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমলো ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯ হাজার ৯৯৬ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৮ হাজার ৫৭৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৭ হাজার ৩১৪ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২৮ টাকা।
গতকাল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৫৫৪ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা। আজ মঙ্গলবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম কমানো হলেও রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
সোনার দাম কমলো ৩৬৭৪ টাকা
এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের কমেছে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাসের সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা ও দাম কমার কারণে নতুন করে দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৬৭৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনার দাম। নতুন দামের ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। নতুন এ দাম মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। এর আগে রোববারও (২৬ অক্টোবর) সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হবে এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৪২ টাকায়।
সোনার দামের সঙ্গে কমানো হয়েছে রুপার দামও। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হবে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে২ হাজার ৬০১ টাকায়।
অর্থনীতি
কোনো রেমিট্যান্স আসেনি যে ৮ ব্যাংকে
চলতি অক্টোবরের ২৫ দিনে ২০৩ কোটি ২৯ লাখ (২.০৩ বিলিয়ন ডলার) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার ৮০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার বা ৯৯২ কোটি টাকা।
তবে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা আটটিতে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম ২৫ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকে (কৃষি ব্যাংক) এসেছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
আলোচিত ২৫ দিনে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি মিলে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব।
বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে- জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল- জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
অর্থনীতি
টার্মিনালের মালিকানা বিদেশিদের দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই: কর্তৃপক্ষ
বিদেশিদের টার্মিনালের মালিকানা দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিবের সই করা বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়- দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সব টার্মিনাল, জেটি, ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থাপনার একক মালিকানা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো টার্মিনালের মালিকানা ইতোপূর্বে কখনোই কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বন্দর কর্তৃপক্ষ বা সরকারের ছিল না বা এখনো নেই। বাংলাদেশের প্রচলিত বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে শুধু লাইসেন্সি হিসেবে অপারেটর নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালসমূহ পরিচালনার ব্যাপারে কতিপয় সংবাদ মাধ্যম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছে। এসব অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সাধারণ জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
কতিপয় গণমাধ্যমে কোনো বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞাত না হয়ে মনগড়া বা ধারণাভিত্তিক বা অনির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে সংবাদ পরিবেশন করা হলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর সম্পর্কিত মনগড়া, অবাস্তব সংবাদ বন্দরের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় অন্তরায়। বন্দরের সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ বজায় রাখা এবং ক্রমবর্ধমান উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
চট্টগ্রাম বন্দর সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ হয় বিজ্ঞপ্তিতে।




