রাজনীতি
ফ্যাসিস্ট আ.লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে: সালাহউদ্দিন
আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও দেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে। যদি আমাদের অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটে, জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের সন্তানদের রক্তের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দুই চার কলাম লেখার জন্য আমাকে প্রায় সাড়ে ৯ বছর নির্বাসনে থাকতে হয়েছে। আমাকে আয়নাঘরে আর কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু আমি কখনো সংগ্রামের পথ থেকে পিছিয়ে যায়নি।
তিনি বলেন, এক সময় আমি এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ভাই পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলাম। করোনারি কেয়ার ইউনিটের একটি সেলে আমাদের রাখা হয়েছিল, যেখানে আমরা একে অপরকে দেখতে পেতাম। তিনি তখন অনশন করছিলেন। আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম, ‘আপনি যদি মারা যান, শেখ হাসিনা খুশি হবে—দয়া করে অনশন ভঙ্গ করুন।’ পরবর্তীতে কয়েকজন প্রবীণ নেতা গিয়ে ছয়-সাত দিন পর তার অনশন ভঙ্গ করান।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আজ আমরা ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করেছি, রক্তঝরা দিনগুলোর কথা মনে করেছি। সেই সংগ্রামী অতীতই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা হবে। আমাদের সন্তানের জন্য একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের মূল দায়িত্ব।
রাজনীতি
যেকোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল
যেকোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, গতকাল ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়া একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘটনার পরের দিনেই এই ঘটনা জাতিকে অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ করেছে।
তিনি আরও লিখেছেন, আমরা আশা করছি সরকার অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করবে এবং সর্বাগ্রে হাদির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে আমি সব দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি ধৈর্য এবং প্রজ্ঞার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে।
বিএনপি মহাসচিব লিখেছেন, যেকোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য। কোনও হঠকারিতাই কাম্য নয়।
তিনি লিখেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি আগামী দুই মাস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নির্বাচনের প্রার্থী শুরু করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমাল রক্ষা সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। দরকার পড়লে অন্তবর্তী বিশেষ নিরাপত্তা সেল তৈরি করুন।
সবশেষে এই বিএনপি নেতা লিখেছেন, আমরা গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছি যে আমাদের এক্টিং চেয়ারপারসন তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরছেন আগামী ২৫ ডিসেম্বর। বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া, তার পরিবার এবং জাতির জন্য এটি একটি বিশেষ দিন। আমরা আশা করছি তার এই দেশে প্রত্যাবর্তন যেন নিরাপদ হয়। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের সামনে সুন্দর সময়।
এমকে
রাজনীতি
হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটি ঘোষণা করেছে, দাবি আদায়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
তিনি বলেন, যদি ওসমান হাদির কিছু হয় তাহলে ইন্টেরিম সরকারকে অবশ্যই দায়ভার নিতে হবে।
জাবের আরও বলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দরকার হলে দ্রুত পাঠানো হোক। জীবন-মৃত্যুর এই মুহূর্তে কোনো দেরি করার সুযোগ নেই।
সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা সংস্থা বারবার ফোন করছে সিসিটিভি ফুটেজের জন্য। তাদেরকে ফুটেজ খুঁজে দেওয়া কি ইনকিলাব মঞ্চের কাজ? যারা গুলি চালিয়েছে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, আমরা শুনতে চাই না তারা অন্য কোনোভাবে মারা গেছে। আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১০টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে সরকারের এই সুন্দর সুন্দর কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
কর্মসূচি ঘোষণা করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব বলেন, শনিবার দুপুর ১২টায় শাহবাগে গণপ্রতিরোধ সমাবেশ হবে। দেশবাসীর কাছে দোয়া অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাই।
এমকে
রাজনীতি
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
এর আগে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সংগ্রামী নেতা, এই দেশের গণমানুষের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ, জনাব তারেক রহমান, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী ২৫ ডিসেম্বর, আমি আবার রিপিট করছি আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার মাটিতে আমাদের মাঝে এসে পৌঁছবেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছিল, তারেক রহমান দেশে এসে পৌঁছালে সেসব বাধা দূর হয়ে যাবে। তারেক রহমানের দেশে আগমন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য দলের নেতা-কর্মীদের কাছে সহযোগিতা চান তিনি।
ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়, যেসব অপশক্তি এই দেশে নির্বাচন বানচাল করার জন্য কাজ করছে, নির্বাচন যাতে না হয় সেই চেষ্টা করছে, এটি তাদেরই একটি চক্রান্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সে দেশেই আছেন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় তারেক রহমানের সাজার রায় বাতিল এবং কোনো কোনো মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পান। এরপর থেকে তার দেশে ফেরার আলোচনা শুরু হয়।
এমকে
রাজনীতি
হাদীর চিকিৎসায় জরুরী বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার জন্য ঢাকা মেডিকেলে বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন বলে জানা গেছে। যারা রক্ত দিতে পারবে তাদের ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সি বিভাগে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।
এরপর হাদির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ইমার্জেন্সি ‘বি নেগেটিভ’ রক্তের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদি লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।
রাজনীতি
ঢাকা–১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার এ ঘোষণা দেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
আসিফ মাহমুদ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরুতেই উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি প্রথমে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। পরে শ্রম মন্ত্রণালয় বাদ দিয়ে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সময় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করে।




