জাতীয়
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস আজ
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর)। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালিত হয়।
অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ, চোখের বিভিন্ন রোগ এবং তাদের যত্ন সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালন করা হয়।
অন্ধত্ব প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইএপিবি এবারের বিশ্ব দৃষ্টি দিবসকে সামনে রেখে বছরব্যাপী এক প্রচারণা শুরু করেছে। ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’-এ প্রতিপাদ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালন করা হবে।
এ বছর বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ব্র্যাক প্রায় ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু সেবা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬১টি জেলায় সক্রিয় ব্র্যাকের চক্ষু সেবা কার্যক্রম এ বছর ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’ উপলক্ষ্যে সারা দেশে ৩৫০টিরও বেশি চক্ষু শিবির এবং ৫০টিরও বেশি সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষকে স্বল্পমূল্যে রিডিং গ্লাস বা পাঠের চশমা বিতরণ ও সাশ্রয়ী মূল্যে ছানি অপারেশনসহ প্রয়োজনীয় চক্ষু সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে এই কার্যক্রম চলবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের পাশাপাশি চক্ষু সেবায় নিয়োজিত সংস্থা আন্ধেরি হিলফি, ব্র্যাক, সিবিএম গ্লোবাল, ফ্রেড হোলোস ফাউন্ডেশন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, সাইট সেভারস, ভিশন স্প্রিং এবং এসিলর লাকসোটিকা জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও বিশেষ চক্ষু সেবার আয়োজন করেছে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যমতে, প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি রোগী চোখের বিভিন্ন সমস্যায় শুধু এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নেয়। তাদের তথ্য বলছে, দেশের ১ কোটি ৪৩ লাখ লোক দৃষ্টি ত্রুটিতে ভুগছে এবং দিন-দিন চোখের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোন ও ট্যাবে ভিডিও গেমসের আসক্তি শিশুদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে পৃথিবীতে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে, যার মধ্যে ১ বিলিয়ন মানুষের অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব।
জাতীয়
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে ফের চিঠি
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে নতুন করে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাঠানো ওই চিঠির বিষয়টি রবিবার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরশুদিনই (শুক্রবার) চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ সময় চিঠি পাঠানো নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল তা দূর করেন তিনি।
গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত সোমবার রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে শেখ হাসিনা ও কামাল ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছেন বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
রায়ের দিনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনকে প্রত্যর্পণের দাবি তোলে। পরে সচিবালয়ে প্রতিক্রিয়ায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও ভারতকে আবারও চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান। এরপর সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই নতুন চিঠি পাঠানো হলো বলে জানা গেছে।
জাতীয়
চিকিৎসকদের নামমাত্র বেতনে ক্লিনিকগুলোতে চাকরির কড়া সমালোচনা আমীর খসরুর
দীর্ঘ শিক্ষাজীবন ও কঠোর পরিশ্রম শেষে একজন চিকিৎসকের মাসিক বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হওয়াকে পেশার প্রতি ‘চরম অবমাননা’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি একে দেশের সামগ্রিক কর্মসংস্থান কাঠামোর ‘আন্ডার এমপ্লয়মেন্ট’ বা যোগ্যতার তুলনায় নিম্নমানের কর্মসংস্থান সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র আলোকে স্বাস্থ্যখাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরের পর বছর পড়াশোনা করে ডাক্তারি পাস করার পর ক্লিনিকগুলোতে ১৫-২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করা হতাশাজনক। এটি কেবল বেতনের অঙ্ক নয়, বরং একজন চিকিৎসকের যোগ্যতা, শ্রম ও শিক্ষার খরচের সঙ্গে পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশে ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও অনেক চিকিৎসক বাধ্য হয়ে নামমাত্র বেতনে কাজ করছেন। এটি কেবল স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা নয়, বরং পুরো দেশের ভঙ্গুর কর্মসংস্থান ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।
এই অচলায়তন ভাঙতে বিএনপি স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি জানান, নতুন এই কর্মসূচিতে তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হবে: ১. চিকিৎসকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি। ২. দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানের পরিধি বৃদ্ধি। ৩. দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
আমীর খসরু বলেন, বিশ্ববাজারে স্বাস্থ্যখাত অন্যতম সম্ভাবনাময় একটি সেক্টর। সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাতকে ঢেলে সাজাতে পারলে দেশ ও বিদেশে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি সম্ভব। অন্যথায়, শিক্ষিত তরুণ সমাজের মধ্যে হতাশা বাড়বে এবং দেশের মূল্যবান মানবসম্পদ অপচয় হবে। তাই চিকিৎসকদের জন্য সম্মানজনক ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সরকারি সফরে ঢাকা আগত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করাসহ বিভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন উভয়ই এবং এ সম্পর্ককে আরও গভীর ও বহুমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কর্মা হামু দর্জি এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভুটানের জনগণের গভীর বন্ধুত্বের বার্তা পৌঁছে দেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন দুই দেশের মধ্যে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আরও জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎ শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে স্মারক ছবি তোলেন এবং অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন
এমকে
জাতীয়
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ বেড়ে যাবে। তবে ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান ।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ভূমিকম্পের আর্লি ওয়ার্নিংয়ের ব্যবস্থা নেই। কোনো কোনো দেশে একটি অ্যাপ আছে, যেটি ভূমিকম্প হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে ইন্ডিকেশন দিতে পারে। সে রকম অ্যাপ খোলা যায় কিনা এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
সবাইকে বিল্ডিং কোড মানার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে বিল্ডিং কোড মানতে হবে, নাহলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা আছে। জলাশয় ভরাট করে ফেলা হয়েছে, দাঁড়ানোর জন্য সেভাবে মাঠও নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজউককে এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
এমকে
জাতীয়
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও দিতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান
নির্বাচনী হলফনামায় দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশি সম্পদের হিসাব বিবরণীও দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশি সম্পদের হিসেব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি যাদের অনুপার্জিত সম্পদ থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ সময় দুদকের নানা সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার ৫ দশমিক ২১ একর কৃষি সম্পত্তি ছিল। তবে অনুসন্ধানে ২৯ একর সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যায়। সে সময় দুদক তদন্ত করে এটি বের করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
এমকে



