রাজনীতি
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জবাবদিহিতার রাজনীতি গড়তে চাই: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতের বিএনপি হবে গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো একটি জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য—জনগণ, দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব। অতীতের ভালো কাজগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বুনিয়াদ গড়তে চাই।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা গর্ব করি যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা—এই দুটো ক্ষেত্রই বিএনপির শাসনামলেই শুরু হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। এমনকি সেই সময় বাংলাদেশ বিদেশে খাদ্য রপ্তানিও করেছিল।
তিনি বলেন, যখন দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব দল নিষিদ্ধ ছিল, তখন বিএনপির হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরেছিল। সেই ইতিহাস আমাদের অনুপ্রেরণা।
রাজনীতিতে জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। অভিযোগকে আমরা বিবেচনায় রাখব। তবে সুযোগ পেলে প্রমাণ করব, জবাবদিহিতা কেমন হওয়া উচিত। এটা একদিনে সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ গঠনের কাজে শুধু রাজনীতিক নয়, নাগরিকরাও অংশীদার। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে।
প্রবাসজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৭ বছর আমি বিদেশে আছি। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এই দূরত্ব থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হতো না। আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাদের সহায়তা না থাকলে এই কঠিন কাজ আরও কঠিন হতো।
তারেক রহমান আরও বলেন, নানা বাধা-বিপত্তি, দমন-পীড়নের মধ্যেও যারা দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন, রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন, জনগণের দাবির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন—আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। যুক্তরাজ্যে থেকে ভালো যা কিছু দেখেছি বা শিখেছি, সুযোগ পেলে সেই অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে চাই।
রাজনীতি
গুলশানে জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা-১৭ আসনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খেলার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) কালাচাঁদপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দিনব্যাপী এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এবং ‘মানবিক ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
গুলশান পূর্ব থানার সেক্রেটারি ও জেলা শৃঙ্খলা বিভাগের প্রধান আবদুল মোতালেব মঈনের সঞ্চালনায় এবং থানার আমীর মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানা তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, অর্থ সম্পাদক আবদুল মোতালেব টিপন, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, ফারুক হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম রিয়াজ, শুরা সদস্য এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তার বক্তব্যে ডা. এস এম খালিদুজ্জামান আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভোটারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “ঢাকা-১৭-এর মানুষের সেবা, উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করি এবং তাওফিকের জন্য তাঁর দরবারে ধরনা দিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং তরুণদের মাঝে খেলার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, মানবিক সেবার এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. হেলাল
আগামীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আপনাদের ভোট এবং আল্লাহর রহমতে সরকার গঠন করলে সব ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির এবং ঢাকা-৮ আসনে মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) মতিঝিল উত্তর থানার উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল নিয়ে গঠিন ঢাকা ৮ আসন। এখানে ৯ টি প্রশাসনিক ওয়ার্ড ওয়েছে। কিন্তু এ ওয়ার্ডগুলোতে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা ধরণের সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ১৫ বছরে জামায়াতের ওপর নানা ধরণের অন্যায়, অত্যচার, খুন এবং ফাঁসির মতো ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এরমধ্যেও আমাদের সামাজিক কর্মকান্ড চলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের মেডিকেল ক্যাম্প। আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে এটি আরও বড় আকারে পরিচালনা করা হবে। দেশের যে কোনও দুর্যোগের সময় (অগ্নিকাণ্ড, ভুমিকম্পা, বন্যায়) মানুষের পাশে ছুটে যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আমরা ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের করের টাকায় গড়ে ওঠা দেশীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকেই সর্বস্তরের জন্য উন্নত করে তুলবো।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াত কেবল রাজনীতির জন্য রাজনীতি করে না। মানবিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মানবিক সংগঠন দরকার, আর জামায়াত সে ভূমিকা রাখছে দীর্ঘদিন ধরে। অতীতে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা সবাই ক্ষমতার রাজনীতি করেছে, কিন্তু জামায়াত মানবতার রাজনীতি করে দুর্যোগ-দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যার পরিচয়।
জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা ভিত্তিতে দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়- তার একটি হলো সমাজ সংস্কার ও সমাজসেবা। এই ভিত্তিতেই দলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্যা-দুর্যোগ, নদীভাঙন, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রম দল, মত, ধর্ম, বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত। এটাই জামায়াতকে আলাদা করে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনী এলাকার মধ্যেই রয়েছে পিজি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সেখানে মানুষ সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা পায় না। ফলে আমাদের দেশ থেকে অনেকেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তু জামায়াত সরকার গঠন করলে এসব হাসপাতালকে বিশ্বমানের হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে। যাতে বিদেশ থেকেও মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে পারেন। তিনি বলেন, এরআগে জামায়াতেে দুইজন মন্ত্রী তিনটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনও দুর্নীতি হয়নি।
আমরা ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেশেই পাবে।
তিনি আরও যোগ করেন, স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরে যেসব দল ক্ষমতায় এসেছে, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সাধারণ মানুষ আজও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। অথচ জামায়াত ক্ষমতায় না থেকেও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, যুবকদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া, উদ্যোক্তা তৈরিতে সুদবিহীন কর্জে হাসানা চালু করা, শিক্ষা সহায়তা দেওয়া, নদীভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন—এসবই জামায়াতের সামাজিক সেবা কার্যক্রমের অংশ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, জামায়াত কখনো ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে রাজনীতি ব্যবহার করেনি, করবেও না। আমরা দলমত, ধর্ম-বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছি, চালিয়ে যাব।
বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ড. হেলাল স্থানীয় জনগণকে আহ্বান জানান ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতের নেতৃত্বে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।’
মতিঝিল উত্তর থানা আমীর এসএম শামছুল বারীর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মতিঝিল উত্তর থানা আমীর এসএম শামছুল বারী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছোট পরিসরে আজ এ আয়োজন করেছে। আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে বড় আকারে সেবা পাবেন মানুষ। আপনারা দেখেছেন, স্বস্থ্য খাতে সরকারের ১০০ টাকার সেবা মাত্র ১০ ভাগ পান মানুষ। আমরা সরকার গঠন করলে মানুষ ১০০ টাকার শতভাগ সেবাই পাবেন।
এমকে
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে: রিজভী
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র উদ্যোগে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবার এবং দুস্থ-অসহায় ও নির্যাতিত পরিবারের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথচলায় কেউ যেন নতুন করে ফ্যাসিস্ট হয়ে না উঠতে পারে, সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ইতিবাচক হিসেবে কাজ করবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানবতা ধারণ করতে পারেননি বলে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন। তিনি যে নিষ্ঠুরতা করেছেন বাংলাদেশে, কেউ আর এমন নিষ্ঠুরতা করতে পারেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ায় ন্যায় ও গণতন্ত্রের পথে বড় অগ্রগতি এসেছে। এ রায় অত্যন্ত ইতিবাচক। এই রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা আবারও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হলে সেই সরকারের কোনো মানবতা থাকে না। তাই শেখ হাসিনার মধ্যে মানবিক আচরণ ছিল না। রাষ্ট্রক্ষমতায় তিনি কঠোর ও নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছেন।’
তারেক রহমানের জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান গতবারও জন্মদিন পালন করেননি। এবারও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তার জন্মদিন পালন না করা হয়। কত মানুষ অসুস্থ ক্ষুধার্ত, অভাবের তাড়নায় কিংবা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে মা তার সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এ অবস্থায় কীভাবে জন্মদিন পালন করবেন তারেক রহমান। একজন জাতীয় নেতা তিনি। দেশের মানুষ কীভাবে রয়েছে, জনগণ কীভাবে থাকে সে বিষয়টি তিনি মনের গভীর থেকে উপলব্ধি করতে পারেন বলেই তিনি জাতীয় নেতা। মানুষকে কষ্টে রেখে তিনি জন্মদিন পালন করতে চাননি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র মাধ্যমে তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারেক রহমানের মানবিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের পরিধি আরও বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অর্ধশতাধিক অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এমকে
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: আখতার হোসেন
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের যে রায় আদালত দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে জাতি কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছে।
‘তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা’—যোগ করেন এনসিপির সদস্য সচিব।
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। জুলাই সনদের আদেশে অস্পষ্টতা আছে। এটা আগের জাতির সামনে সরকারকে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাহলে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে।
এমকে
রাজনীতি
সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রশংসনীয় করেছে: তারেক রহমান
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি ‘সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রশংসনীয় করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ বাণী প্রচার করা হয়।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের আমি সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এই দিবসে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। নির্ভীক সাহসিকতা, শৌর্য, সংকল্পবদ্ধ শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী। ‘৭১ এর রণাঙ্গনে এই বাহিনীর অসীম সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যগণ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও প্রশংসনীয় করেছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দেশের সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের সময় সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সাথে সংগতি রেখে একটি প্রযুক্তি নির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনিই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন যা বৈশ্বিক পরিসরে ব্যাপক অবদান রাখে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারি বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্যও কামনা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এমকে



