রাজনীতি
সময় চলে এসেছে, দ্রুতই দেশে ফিরে আসবো: তারেক রহমান
দীর্ঘ দুই দশক পর গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সাক্ষাৎকারে তিনি দেশে ফেরাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও বিবিসি বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান দ্রতই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
কেন আপনি এখনো দেশে ফেরেননি- সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সংগত কারণে হয়ত ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’
সেটা কবে জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দ্রুতই মনে হয়। দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।’
নির্বাচনের আগে আপনি দেশে আসবেন এমন সম্ভাবনা বলা যায়? জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।’
দেশে আসার বিষয়ে নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলছেন কেউ কেউ। আপনি কি কোনো ধরনের শঙ্কা বোধ করেছেন এর মধ্যে– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রকম শঙ্কার কথা তো আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তো শুনেছি। সরকারেরও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও তো অনেক সময় অনেক শঙ্কার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে, বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারের শুরুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সময় তো স্বাভাবিকভাবে ব্যস্তই যাচ্ছে। ফিজিক্যালি হয়ত আমি এই দেশে আছি, বাট মন-মানসিকতা সবকিছু মিলিয়ে তো আমি গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই রয়ে গিয়েছি।’
গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা না বলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘ব্যাপারটা বোধ হয় এরকম না, ব্যাপারটা বোধ হয় একটু ভিন্ন। আসলে আমি কথা ঠিকই বলেছি। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে আছি এই দেশে, প্রবাস জীবনে, তবে আমার উপরে যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে তারপর থেকে আমি গ্রামে-গঞ্জে আমার নেতাকর্মীসহ তাদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যখন যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আমি সকলের সাথে কথা বলেছি।’
‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতিমতো একটা আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, হয়ত গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল ছাপানোর, গণমাধ্যম সেটি ছাপাতে পারত না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি একবার প্রেস ক্লাবে কথা বলেছিলাম। পরের দিন দেখলাম যে তখনকার প্রেস ক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা একটি মিটিং ডেকে একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা তখন আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ফেরারি বলা হয়েছিল যে, সেরকম কোনো ব্যক্তিকে তারা প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দেবে না। এভাবে তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, আমি ইনশাআল্লাহ পৌঁছেছি মানুষের কাছে। কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা না। আমি কথা বলেছি হয়ত আপনারা তখন কথা নিতে পারেননি অথবা শুনতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে পারেননি, হয়ত প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি, আমি থেমে থাকিনি।’
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে: রিজভী
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র উদ্যোগে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবার এবং দুস্থ-অসহায় ও নির্যাতিত পরিবারের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথচলায় কেউ যেন নতুন করে ফ্যাসিস্ট হয়ে না উঠতে পারে, সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ইতিবাচক হিসেবে কাজ করবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানবতা ধারণ করতে পারেননি বলে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন। তিনি যে নিষ্ঠুরতা করেছেন বাংলাদেশে, কেউ আর এমন নিষ্ঠুরতা করতে পারেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ায় ন্যায় ও গণতন্ত্রের পথে বড় অগ্রগতি এসেছে। এ রায় অত্যন্ত ইতিবাচক। এই রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা আবারও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হলে সেই সরকারের কোনো মানবতা থাকে না। তাই শেখ হাসিনার মধ্যে মানবিক আচরণ ছিল না। রাষ্ট্রক্ষমতায় তিনি কঠোর ও নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছেন।’
তারেক রহমানের জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান গতবারও জন্মদিন পালন করেননি। এবারও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তার জন্মদিন পালন না করা হয়। কত মানুষ অসুস্থ ক্ষুধার্ত, অভাবের তাড়নায় কিংবা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পেরে মা তার সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এ অবস্থায় কীভাবে জন্মদিন পালন করবেন তারেক রহমান। একজন জাতীয় নেতা তিনি। দেশের মানুষ কীভাবে রয়েছে, জনগণ কীভাবে থাকে সে বিষয়টি তিনি মনের গভীর থেকে উপলব্ধি করতে পারেন বলেই তিনি জাতীয় নেতা। মানুষকে কষ্টে রেখে তিনি জন্মদিন পালন করতে চাননি। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র মাধ্যমে তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারেক রহমানের মানবিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের পরিধি আরও বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অর্ধশতাধিক অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এমকে
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: আখতার হোসেন
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের যে রায় আদালত দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে জাতি কলঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছে।
‘তত্ত্বাবধারক সরকার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য সরকার ব্যবস্থা’—যোগ করেন এনসিপির সদস্য সচিব।
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। জুলাই সনদের আদেশে অস্পষ্টতা আছে। এটা আগের জাতির সামনে সরকারকে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাহলে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে।
এমকে
রাজনীতি
সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রশংসনীয় করেছে: তারেক রহমান
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি ‘সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রশংসনীয় করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ বাণী প্রচার করা হয়।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের আমি সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এই দিবসে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। নির্ভীক সাহসিকতা, শৌর্য, সংকল্পবদ্ধ শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী। ‘৭১ এর রণাঙ্গনে এই বাহিনীর অসীম সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যগণ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও প্রশংসনীয় করেছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দেশের সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের সময় সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সাথে সংগতি রেখে একটি প্রযুক্তি নির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনিই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন যা বৈশ্বিক পরিসরে ব্যাপক অবদান রাখে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারি বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্যও কামনা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এমকে
রাজনীতি
বাংলার মাটিতে আর ফ্যাসিবাদের উত্থান নয়: ড. হেলাল
বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না, আধিপত্যবাদী শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স হলে আধিপত্যবাদ বিরোধী জনতার মঞ্চ কর্তৃক ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় আধিপত্যবাদ বিরোধী জনতার সুদৃঢ় ঐক্যচাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ আধিপত্যবাদের কাছে মাথানত না করায় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারক হত্যা করা হয়েছে। আধিপত্যবাদের দোসর আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছর ক্ষমতার মসনদে বসে বাংলাদেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঢাকা থেকে নয় বাংলাদেশ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতো দিল্লি থেকে। দিল্লির মেটিকুলাস ডিজাইনে হাসিনা দেশের আলেম-ওলামা, ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। যারাই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের কাউকে খুন, কাউকে গুম, কাউকে আয়না করে বন্দি করে র্নিবিচারে জুলুম -নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরবর্তীতে জাতি আধিপত্যবাদের দোসর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ছাত্র-জনতা রাজপথে ৩৬ দিন লড়াই করে আওয়ামী লীগকে শুধু ক্ষমতাচ্যুতই করেনি বরং তাদের আপন ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে। যারাই আধিপত্যবাদের গোলামী করবে তাদেরকে আধিপত্যবাদের কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এদেশের প্রতিটি মানুষ শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াবে, লড়াই চালিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফর জনমনে সংশয় তৈরি করেছে। এই সরকার যদি ভারতের অন্যায় দাবিতে নতিস্বীকার করে অথবা অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি সাড়া দেয়, তবে দেশের ভবিষ্যৎ শুভ হবে না।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক তখনই উন্নতি হবে যখন ভারত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি হাসিনাসহ তার সাঙ্গপাঙ্গকে ফেরত দেবে। ভারত সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আপনাদের অনেক দায়িত্ব। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং ভারত-বাংলাদেশ বন্দি বিনিময় চুক্তি মোতাবেক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দণ্ডিত পলাতক খুনি হাসিনাসহ সকল অপরাধীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারেন।
আধিপত্যবাদ বিরোধী জনতার মঞ্চের সমন্বয়ক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কলামিস্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রোকন উদ্দিন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম জাতীয় কমিটির মহাসচিব এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, আধিপত্যবাদ বিরোধী জনতার মঞ্চের কো-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম ইউসুফ, প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ নাঈম হাসান, সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট তাসনিম রানা, মেজর (অব:) মো. মুজিব উল হক, ড. ক্যাপ্টেন এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রফেসর ডক্টর এ আর খান, মুভমেন্ট ফর ফ্রী প্যালেস্টাইনের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান, দেশপ্রেমিক নাগরিক মঞ্জের প্রধান সমন্বয়ক আহসান উল্লাহ শামীম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সহ সভাপতি ও কলামিস্ট ড. খন্দকার নাজমুল হক, সাবেক কর কমিশনার মির্জা শরিফুল আলম প্রমূখ।
বক্তারা আরও বলেন, ভারত তাদের তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। মাদকের মাধ্যমে যুবসমাজকে ধ্বংস করেছে, দেশের অপার সম্ভাবনাময় পাট-শিল্প, চামড়া শিল্প শেষ করে দিয়েছে। পাহাড়কে অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুগভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছ। আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে তারজন্য গভীর চক্রান্তে রতআছে। তাই আধিপত্যবাদ রুখতে দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের বিকল্প নেই।
এমকে
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: আমীর খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরত এসেছে, এটা কীভাবে গঠন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব । গ্রহণযোগ্য অনেকগুলো নির্বাচন এই ব্যবস্থায় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলো জনগণের কাছে নিজেদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিগত দিনের অপসংস্কৃতি থেকে রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কৃতি চালুর পক্ষে বিএনপি।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ কতটা পেছাতে পারে সেটা মানুষ দেখেছে। জনগণের রায় নিয়ে কাজ করতে যতটা সহজ হয়, সেটা অনির্বাচিত সরকারের দ্বারা হয় না।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ।
এদিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অন্য ছয় বিচারপতি হলেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
আপিল বিভাগ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে।



