আন্তর্জাতিক
গাজা ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলা, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়
গাজামুখী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তুরস্ক এটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। গাজামুখী ত্রাণ বহর আটকে দেওয়ায় স্পেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক, গ্রিসসহ বহু দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ায় রাস্তায় নেমেছে মানুষ।
গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে রওয়ানা দেওয়া নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলি বাধার মুখে পড়ে। বহরের বেশ কয়েকটি জাহাজ থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে ইসরায়েলি নৌসেনারা। নৌযান থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে নৌযানে থাকা মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে সেখানেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে আছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আটককৃতদের ইসরায়েলের একটি নৌবন্দরে নেওয়া হচ্ছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, নৌবহরের অন্তত ১৩টি জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। জাহাজগুলোতে থাকা দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করে ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হয়েছে।
গাজার নৌযানে ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের কথা ফেসবুক লাইভে জানান ঐতিহাসিক মিশনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অংশ নেওয়া আলোকচিত্রী, শিল্পী ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম।
এদিকে ফ্লোটিলা নৌবহরকে বাধা দেওয়া ও বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। তুরস্ক এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ব্রিটিশ লেবার পার্টির সাবেক নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। আর নৌবহরে বাধা দেয়া ও কয়েকজনকে আটক করাকে অপহরণ আখ্যা দিয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ।
গাজামুখী ত্রাণ বহর আটকে দেয়ায় ইতালিতে রাতেই রাজধানী রোমের সড়কে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন শুক্রবার ধর্মঘট ডেকেছে। এছাড়া জার্মানি, তুরস্ক, গ্রিসসহ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নেয় ৪৫টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান, যার মধ্যে প্রায় ৫০০ যাত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকার কর্মী।
আন্তর্জাতিক
লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই উপকূলে অর্ধশতাধিক সুদানিসহ পৃথক আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
দ্বিতীয় ঘটনায় অবশ্য হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে প্রায় ১০০ জনকে বহনকারী দুটি অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।
সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আল-খোমসের তীরের কাছে উল্টে যাওয়া দুটি নৌকার খবর তারা পায়। প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আর দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন মোট ৬৯ জন। এর মধ্যে দুজন মিসরীয় এবং বাকি ৬৭ জন সুদানি নাগরিক। তাদের মধ্যে আটজন শিশু।
রেড ক্রিসেন্ট জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিতদের উদ্ধার। এছাড়া মৃতদের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কাজও তারা করে।
মূলত অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়। বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় অবস্থান করছে। গাদ্দাফির শাসনামলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় কাজ পেত, কিন্তু তার পতনের পর থেকে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়াদের সংঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।
অধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বলছে, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হয়ে থাকে।
অবশ্য অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গেই নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ইউরোপের দেশগুলো রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান ধাপে ধাপে বন্ধ করায় সমুদ্রযাত্রা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোও বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে দমনমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
জ্বালানি তেলের বাজারে সুখবর
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন আরও বাড়তে পারে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহের অতিরিক্ততা থাকায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মজুত বৃদ্ধি পাবে, যা তেলের দাম কমাতে সহায়ক হবে।
ইআইএ জানিয়েছে, ২০২৫ সালে পরিশোধিতসহ মোট বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের উৎপাদন গড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এটি পূর্বের পূর্বাভাসের থেকে দৈনিক এক লাখ ব্যারেল বেশি। অপরদিকে, বিশ্বব্যাপী তেলের দৈনিক ব্যবহার ১০ কোটি ৪১ লাখ ব্যারেল হতে পারে।
সরবরাহের অগ্রগতি বজায় থাকায় চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তেলের মজুত ২৯৩ কোটি ব্যারেল হতে পারে, যা ২০২৬ সালের শেষ প্রান্তিকে ৩১৮ কোটি ব্যারেলে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির প্রভাব ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে পড়ছে। ব্রেন্ট ক্রুডের গড়মূল্য চলতি বছরে ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলার ৭৬ সেন্টে অবস্থান করবে, যা গত বছরের গড় ৮০ ডলারের থেকে অনেক কম। মার্কিন বাজারে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের গড়মূল্য নেমে আসতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলারে।
উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটিতে জ্বালানি তেল উত্তোলন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ইআইএ জানিয়েছে। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে দৈনিক উৎপাদন হতে পারে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল, যা সামান্য কমে ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেলে। সার্বিকভাবে, বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মজুত বাড়ার ফলে আগামী কয়েক বছর তেলের মূল্য কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জ্বালানি ব্যয়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আন্তর্জাতিক
চীনে স্বর্ণের খনির সন্ধান, মজুত সাড়ে ৮ কোটি ভরিরও বেশি
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সীমান্তের কাছে কুনলুন পর্বতমালায় বিশাল এক স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির সরকারি ভূতাত্ত্বিকদের পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, এই খনিতে স্বর্ণের মজুত এক হাজার টনেরও বেশি হতে পারে।
গত ৪ নভেম্বর একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে কাশগর জিওলজিক্যাল টিমের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হে ফুবাও ও তার সহকর্মীরা জানান, পশ্চিম কুনলুন অঞ্চলে হাজার টন স্কেলের একটি স্বর্ণবেল্টের রূপরেখা এখন স্পষ্ট হচ্ছে।
এ নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে হাজার টনের বেশি স্বর্ণের মজুত সমৃদ্ধ তিনটি খনির সন্ধান পেল চীন।
এর আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াওনিং প্রদেশ এবং মধ্য চীনের হুনান প্রদেশে বিশাল সোনারভাণ্ডার শনাক্ত করা হয়।
আন্তর্জাতিক খনি শিল্পের হিসাবে চীনে অবশিষ্ট উত্তোলন-অপেক্ষমাণ স্বর্ণের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার টন।
আন্তর্জাতিক
পাঁচ সপ্তাহ ধরে পাম তেলের দামে ধারাবাহিক পতন
টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দাম। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া, রিঙ্গিতের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়া এবং মজুত বাড়ার আশঙ্কা—এই তিন কারণেই দামের ওপর বড় চাপ তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে জানুয়ারি সরবরাহ চুক্তিতে শুক্রবার পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ২২ রিঙ্গিত বা দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ১০৩ রিঙ্গিতে (৯৭১ দশমিক ৩৫ ডলার)। এতে সাপ্তাহিক দরপতন দাঁড়ায় ০.১৫%।
সেলাঙ্গরভিত্তিক ব্রোকার প্রতিষ্ঠান পেলিনদুং বেস্তারির পরিচালক পারামালিঙ্গাম সুপ্রামানিয়াম বলেন, নভেম্বর মাসে সাধারণত চাহিদা কমে যায়। এর সঙ্গে রিঙ্গিতের দর শক্তিশালী হওয়া এবং মজুত বাড়ার সম্ভাবনা মিলেই দামে চাপ পড়েছে।
মালয়েশিয়া বিশ্বে অন্যতম বড় পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। চলতি বছরে দেশটিতে উৎপাদন প্রথমবারের মতো দুই কোটি টন ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ার কারণে বছরের শেষে মজুত প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হতে পারে।
অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুত টানা আট মাস ধরে বাড়তে বাড়তে ছয় বছরেরও বেশি সময়ের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এ সময় রপ্তানি ১–১০ নভেম্বরের মধ্যে আগের মাসের তুলনায় ৯.৫% থেকে ১২.৩% কমেছে।
অন্যান্য ভোজ্যতেলের বাজারেও মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেল স্থির থাকলেও পাম অয়েল দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। তবে সিবিওটিতে সয়াবিন তেল দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতে ২০২৪–২৫ বিপণন বছরে পাম অয়েল আমদানি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, আর সয়াবিন তেল আমদানি রেকর্ড সর্বোচ্চে উঠেছে। চাহিদা কমার পেছনে দামের ব্যবধানকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছে দেশটির শিল্প সংগঠনগুলো।
এদিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা বায়োডিজেলে পাম অয়েল ব্যবহারের চাহিদা বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
আন্তর্জাতিক
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে থানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৭
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের একটি থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে শ্রীনগরের নোগাম থানায় জব্দকৃত বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৭ জন নিহত হন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন।
পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। নিহতদের বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য এবং ফরেনসিক দলের সদস্য। তারা বিস্ফোরক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন।
আহতদের সেনাবাহিনীর ৯২ ঘাঁটি হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই থানার পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর বিষয়টির সুরাহা করেছিল।
পোস্টারের সূত্র ধরে ব্যাপক বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কয়েকজন চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এরমধ্যে আদিল আহমেদ রাথের নামে এক চিকিৎসককে গত অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এমন পোস্টার লাগাচ্ছিলেন যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও কাশ্মিরে বহিরাগতদের ওপর বড় হামলার হুঁশিয়ারি বাক্য ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের পর একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা দিল্লিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে।



