পুঁজিবাজার
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালকের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির পরিচালক ড. জাহানারা আরজু ১ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক বা ব্লক মার্কেটে ঘোষিত এই শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে আসছে ৩৬শ’ কোটি টাকার বোনাস শেয়ার
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ হিসাববছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ১৮টি ব্যাংক বোনাস শেয়ার দেবে ১৪৭ কোটি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
ব্যাংকগুলোর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানান গেছে।
সূত্র মতে, বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) ছাড়া শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দেবে ২টি ব্যাংক। বাকি ১৬টি ব্যাংক বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি ক্যাশ ডিভিডেন্ডও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ১৮টি ব্যাংক সমাপ্ত অর্থবছেরের জন্য ১৪৬ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার ৮৩টি বোনাস শেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়বে ১ হাজার ৪৬৭ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ৮৩০ টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক ব্যাংককে ব্যাসেল-২ এর শর্ত পরিপালনে বোনাস শেয়ার দিতে হচ্ছে। তবে অনেক ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতাও নেই। একটা পর্যায়ে গিয়ে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। তারপরেও বোনাস শেয়ারের কারণে শেয়ারবাজার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছরই বোনাস শেয়ারের বড় চাপ বাজারে আসে।
একই সময়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টি ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই ব্যাংকগুলো মোট ৩ হাজার ৩২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বোনাস শেয়ারের দ্বিগুণের বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার কড়াকড়ি আরোপের আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ব্যবসায় ব্যাংকগুলো ২২০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৫টি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ওই বছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল ১৬টি ব্যাংক। আর ৮টি ব্যাংক নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল। অর্থাৎ ২০১৮ সালের ব্যবসায় ২৪টি ব্যাংকের বোনাস শেয়ার শেয়ারবাজারে যোগ হয়েছিল।
এদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালের ব্যবসায় তালিকাভুক্ত ২৪ ব্যাংকের পর্ষদ ১৪২ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার ৪৮৪টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। এতে ব্যাংকগুলোর ১ হাজার ৪২১ কোটি ৮০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকার পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি পায়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১৩ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (০৫ মে থেকে ০৯ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১৩ খাতে। দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ১৩ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় রয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর কমেছে ৮ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সেবা ও আবাসন খাতে। এ খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্থিক খাত। আর ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ, পাট খাতে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চামড়া খাতে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ভ্রমণ ও আবাসন খাতে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, কর্পোরেট বন্ড খাতে ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সিরামিক খাতে ০ দশমিক ০৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
এছাড়া, আলোচ্য সপ্তাহে দর কমেছে- জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ, টেলিকম খাতে ০ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০ দশমিক ৩৯ এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে আট খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (৫ মে থেকে ৯ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৮ খাতে। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে এই ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে দর বেড়েছে ১৩ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে। এই খাতে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর কমেছে। ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। আর ০ দশমিক ৭২ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ০ দশমিক ৪২ শতাংশ, টেলিকম খাতে ০ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০ দশমিক ৩৯ এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০ দশমিক ২৯ শতাংশ দর কমেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ফার্মা খাত
বিদায়ী সপ্তাহে (০৫ মে থেকে ০৯ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ফার্মা ও রসায়ন খাত। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যনুযায়ী, ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন করে খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। আর প্রকৌশল খাতে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনর তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, ট্রাভেল খাতে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিক খাতের ৩ শতাংশ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ২ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১ দশমিক ৮০ খাতে, সেবা খাতে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ, পাট খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ, টেলিকম খাতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ০ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং পেপার খাতে ০ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে ডিএসইর অভিনন্দন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার৷ অনেক চেষ্টার পরও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে পারেনি ডিএসই৷ অবশেষে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু৷
গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়িয়ে দেশের শেয়ারবাজারকে আরো শক্তিশালী করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগকে সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সরকারি সংস্থা ও সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। দার এই নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী৷
এ বিষয়ে ডিএসই’র চেয়ারম্যান ড. হাসান বাবু বলেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে গতি আসবে এবং পুঁজিবাজার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে, যা পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে৷ পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার দেশের অথনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে৷
পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারিত ও গতিশীল করার জন্য পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে তিনি বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান৷
ডিএসই’র চেয়ারম্যান আরও বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জও পুঁজিবাজারকে অধিকতর গতিশীল করতে অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সকল ধরণের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে৷ একইসাথে তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজ এবং আরএমজি সেক্টরের গ্রীণ ফ্যাক্টরীগুলো পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির জন্য ডিএসই কাজ করে যাচ্ছে৷
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের পুঁজিবাজার। তাই উন্নয়ন অগ্রযাএার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের পুঁজিবাজার সরকারকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তিনি৷
কাফি