জাতীয়
সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হলো নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য ছিল এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সব দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাগুলো হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেসব অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে দেশে গরমের তীব্রতা অনেকটা কমেছে। আজ শনিবার (১১ মে) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। যা আজ রোববারও অব্যাহত থাকতে পারে বলে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে রোববার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাত থেকে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এদিন সন্ধ্যা থেকে পরের দিন মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে রাজশাহীতে গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ঢাকায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব মা দিবস আজ
আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালন করা হয়। এ দিনে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হন মায়েরা। কেননা তাদের কষ্ট আর সীমাহীন বেদনায় ফসল হিসেবে প্রতিটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে।
সেজন্যই প্রতিটি মানুষের কাছেই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর এবং প্রথম ডাকটি হচ্ছে ‘মা’। মাত্র এ একটি শব্দের মধ্যেই জড়িয়ে আছে পরম গভীর স্নেহ-মমতা, দরদ, ভালোবাসা। কবি কাজী কাদের নেওয়াজ মায়ের নিঃস্বার্থ এবং অসীম ভালোবাসার কথা বর্ণনা করেছেন তাঁর ‘মা’ কবিতায়। তিনি লিখেছেন —
‘মা কথাটি ছোট্ট অতি, কিন্তু জেনো ভাই,
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর, তিন ভুবনে নাই’
‘সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক, মাথার পরে আজি,
অন্তরে মা থাকুন মম, ঝরুক স্নেহরাজি’
‘রোগ বিছানায় শুয়ে-শুয়ে, যন্ত্রণাতে মরি,
সান্তনা পাই মায়ের মধু, নামটি হৃদে স্মরি’
একজন মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ থেকে শুরু করে আমৃত্যু নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসেন। মায়ের এই ভালোবাসা একটি অনবরত স্রোত যেখানে কখনও ভাটা পড়ে না। মায়ের ভালোবাসা অমূল্য। তাইতো মায়ের এই অসীম ও অতল ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের সম্মানে তারই সম্মানে নিজেদের নত করেন গোটা পৃথিবীর সন্তানেরা। যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসার নির্দিষ্ট দিন কিংবা সময়কে ঘিরে প্রকাশ করার মতো নয়। তবু মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেই আজকের দিনে পালন করা হয় নানান কর্মসূচি।
জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিস। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সরসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।
তবে আধুনিক যুগে ১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে ‘মাদার্স ডে’ বা মা দিবস পালিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতেন। অ্যান ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ। অ্যানের একটি মেয়ে ছিল, যার নাম আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস।
একদিন ছোট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন— ‘আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ, কোনো মায়েদের জন্য একটা দিন উৎসর্গ করুক। কারণ তারা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।
মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় অ্যানাকে। অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি। তার পর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশই অন্যদিনকে উৎসর্গ করেছে মায়েদের জন্য। সাধারণত মার্চ কিংবা মে-তেই পালিত হয় ‘মাদার্স ডে’।
জানা যায়, ১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মায়েদের স্বীকৃতির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ছুটির দিন চালু করে। এক বছর পরে প্রায় প্রতিটি রাজ্যই উদযাপনের দিনটি চিহ্নিত করে । ১৯১৪ সালে প্রেসিডেন্ট উড্রউইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবসের জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে বিশ্ব মা দিবসে মায়েদের সম্মানে নানান আয়োজন হয়। মাকে নিয়ে দেশীয় সাহিত্যেও অসংখ্য কবিতা, ছড়া, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, কবি আল মাহমুদসহ অসংখ্য কবি সাহিত্যিকরা
যুগ যুগ ধরে মাকে গল্প-কবিতায় ঠাঁই দিয়েছেন।
উপমহাদেশের বিখ্যাত গায়ক ও সুরকার সুধীরলাল চক্রবর্তী যথার্থ লিখেছেন।
‘মধুর আমার মায়ের হাসি,চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে’
শুভ মা দিবস।
বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে ‘বিশ্ব মা দিবস’
রোববার (১২ মে) সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এপ্রিলে সড়কে প্রাণ গেলো ৬৩২ জনের
গত এপ্রিলে সারাদেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৮৬৬ জন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) প্রকাশিক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে।
২৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ নিহত হয়েছেন। এরপরের অবস্থানে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান। এতে ১৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত হন।
এ ছাড়া ৪১টি প্রাইভেটকার, ১৫৭টি বাস ও মিনিবাস, ৫০টি পিকআপ, ২৮টি মাইক্রোবাস, ১২টি অ্যাম্বুলেন্স, ২১টি ভ্যান, ১৭টি ট্রাক্টর, ৩৪টি ইজিবাইক, ৩১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৬৮টি অটোরিকশা এবং ১৭৫টি অন্যান্য যানসহ ১ হাজার ৫৬টি যানবাহন এপ্রিল মাসে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
বিআরটিএ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন। এরপরের অবস্থানে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ১১৫ এবং আহত হয়েছেন ১৫৭ জন।
এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন। খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৮৭ এবং আহত ৯৫ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।
রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫ এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন। বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮ এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম থেকে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে এমভি আবদুল্লাহ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে রয়েছে। আগামী সোমবার রাতে জাহাজটি কুতুবদিয়া পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।
শনিবার (১১ মে) রাত পৌনে ৯টায় তিনি বলেন, এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বর্তমানে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে। আগামী সোমবার রাতে জাহাজটি কুতুবদিয়া পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুতুবদিয়ায় চুনাপাথরের কিছু চালান খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর বন্দর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ।
কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেরার সময় জিম্মি জাহাজটি এবার দেশের পথে বহন করছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর। ৩০ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি প্যারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী অতিক্রম করছিল।
চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় জাহাজের কার্গো খালাস করে চট্টগ্রাম বিচে নোঙর করবে। তখন নাবিকরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বা বাড়িতে যাবেন।’
গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালীয় দস্যুরা। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়।
এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এর পরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে ২১ এপ্রিল বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশীয় সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রত্যয়ে গঠিত হলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৬।
১১ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে ‘ওয়ান টিম’ এর ৮ সদস্যের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে টিম ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল টি আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাশিদুল হাসান।
সহ-সভাপতি (প্রশাসন) নির্বাচিত হয়েছেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) নির্বাচিত হয়েছেন ডিভাইন আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান।
এছাড়া, বেসিসের নবনির্বাচিত পরিচালক হয়েছেন অ্যাডভান্সড ইআরপি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, শ্যুটিং স্টার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম, এ আর কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ রহমান, অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক, বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, কার্নিভাল অ্যাসিউর লিমিটেডের পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল এবং ফাইনালিটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ।
শনিবার বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন পরিষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম ও হাবিবুল্লাহ এন করিম।
পুনঃনির্বাচিত বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘বেসিস সদস্যদের নিরঙ্কুশ ভালোবাসাতেই ‘ওয়ান টিম’-এর বিজয় এসেছে। দ্বিতীয়বারের মতো আমার এই দায়িত্ব গ্রহণের লক্ষ্য থাকবে বেসিস যে ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করেছে এবং দেশের একটা অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে যে সুপরিচিত লাভ করেছে সেটাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া।’
গত ৮ মে রাজধানীর গুলশানের শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশেনে হয়েছে বেসিসের নির্বাচন।
নির্বাচনে রাসেল টি আহমেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘ওয়ান টিম’ ১১টি পদের মধ্যে ৮টিতে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘টিম স্মার্ট’ পেয়েছে ৩টি পদ।