আন্তর্জাতিক
হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ
নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেদ্দার কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়েছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজকীয় আদালতের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজকে জেদ্দার কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
৮৮ বছর বয়সী সৌদি আরবের এই বাদশাহ ২০১৫ সালে দেশটির ক্ষমতায় আসেন। এর আগে, শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। ওই সময় তার কোলোনোস্কপি ও মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।
সেসময় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাদশাহ সালমান তার হার্টের পেসমেকারের ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের জন্য রাজধানী রিয়াদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার আগে ২০২০ সালে গলব্ল্যাডার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। সেই সময় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন ধরেনের জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অ্যাপলের বড় অঙ্কের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা
চলতি বছরের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি অ্যাপলের। সম্প্রতি প্রকাশিত আয় প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৯ হাজার ৮০ কোটি ডলার আয় করেছে প্রযুক্তি জায়ান্টটি। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১১ হাজার কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনে নেয়ার (বাই ব্যাক) কথাও জানিয়েছে কোম্পানিটি। খবর সিএনএন।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের মোট আয় আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কমেছে। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে আইফোনের বিক্রি কমে যাওয়ায় কোম্পানিটির আয় অনেকাংশেই কমেছে। ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে আইফোন বিক্রি সামগ্রিকভাবে ১০ শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসা আইফোন ফিফটিনের চাহিদা কমায় আয়েও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
৩১ মার্চ শেষ হওয়া প্রান্তিকে অ্যাপল ৪ হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার মূল্যের আইফোন বিক্রি করেছে। এ সময় কোম্পানির নিট আয় ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। অন্যদিকে ম্যাক ডিভাইস বিক্রি ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৫০ কোটি এবং পরিষেবা খাতের আয় ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি।
আইপ্যাড বিক্রির মাধ্যমে প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের আয় ৫৬০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। শিগগিরই আইপ্যাড লাইনআপে নতুন পণ্য ও অ্যাকসেসরিজ উন্মোচন করবে অ্যাপল এমন গুঞ্জনের মধ্যেই আয় প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এল।
সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, জুনে শেষ হতে যাওয়া প্রান্তিকে অ্যাপলের আইপ্যাড ও পরিষেবা খাত দুই অংকের প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ওয়্যারেবল, হোম ও অ্যাকসেসরিজ খাতে অ্যাপলের আয় হয়েছে ৭৯১ কোটি ডলার। যেখানে বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল এ খাতে আয় ৮২৮ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ব্রাজিলে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৮ জনে। এছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।
সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে, কারণ রোববার (৫ মে) ১০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যা আগের দিন প্রায় ৭০ জন ছিল।
উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহরে গত কয়েকদিনের ঝড় ও বর্ষণে বন্যার প্রভাব পড়েছে।
বন্যায় বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিধস এবং একটি বাঁধের আংশিক ভেঙে যায়। ফলে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া, সুপেয় পানির সংকটে পড়েন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
ব্রাজিলের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা অনুসারে, মূলত পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদ ও এর তীর ভেঙেছে, ফলে বন্যার পানির স্তর অনেক বেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা নৌকা, জেট স্কি, এমনকি সাঁতার কেটে চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন।
এর আগে, গত বছর রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে ঘূর্ণিঝড়ে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এক সপ্তাহে সৌদিতে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। দেশজুড়ে এক সপ্তাহের অভিযানে এই অভিবাসীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে রবিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৬৬২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গত ২৪ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই অভিবাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
একই সময়ে ১৫ হাজার ২০০ জন অভিবাসীকে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১২ হাজার ৪৩৬ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৪ হাজার ৪৬৪ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় আরও ২ হাজার ৭৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৪ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৪ হাজার ৫০১ জন। পাশাপাশি আরও ১৫ হাজার ২২০ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য ৪৪ হাজার ৫২৪ জনকে তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এক হাজার ২ হাজার ৯৫২ জনকে ফেরত পাঠানোর নথিপত্র চূড়ান্ত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে সৌদির আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তামার দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে
আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল বেড়েছে তামার দাম। ডলারের বিনিময় হার কমে যাওয়ার প্রভাবে ধাতুটির বাজারদর নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। এছাড়া সরবরাহ নিয়ে নতুন করে সৃষ্ট উদ্বেগও দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) গতকাল তামার দাম আগের দিনের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৯ হাজার ৮৬৭ ডলারে। এর আগের দিন ধাতুটির দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধের অংশ হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। ফলে এ খাতে অপরিহার্য ধাতু তামার চাহিদা বাড়ছে লাফিয়ে। কিন্তু বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে এ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধানের কারণে আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে দাম। আগামী দুই বছরের মধ্যে তামার বৈশ্বিক দাম ৭৫ শতাংশেরও বেশি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।
ধাতুটিকে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের অন্যতম নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়। বৈদ্যুতিক উপকরণ ও শিল্প খাতের যন্ত্রাংশ তৈরিতে ধাতুটির ব্যবহার ব্যাপক। বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আভাসও তামার চাহিদা বৃদ্ধিতে বড় প্রভাব রাখছে।
ফিচ সলিউশনের গবেষণা ইউনিট বিএমআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে স্থানান্তর এবং চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ডলারের সম্ভাব্য বিনিময় হার হ্রাস তামার বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে।
বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চলতি বছর মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে। এতে ডলারের বিনিময় হার কমবে। এর ফলে অন্য মুদ্রার ক্রেতাদের কাছে ডলারে লেনদেন হওয়া তামার চাহিদা বাড়বে।
কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনে ৬০টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করতে একমত হয়েছে। বিষয়টি তামার বাজারদর ব্যাপকভাবে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে বলে জানিয়েছে সিটিব্যাংক।
বিনিয়োগ ব্যাংকটি গত ডিসেম্বরে দেয়া এক পূর্বাভাসে জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রার কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অতিরিক্ত ৪২ লাখ টন তামার চাহিদা তৈরি হতে পারে। ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি টন তামার মূল্য ঠেকতে পারে ১৫ হাজার ডলারে। যা গত বছরের মার্চের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি।
বিশ্বজুড়ে তামার নতুন খনিগুলো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। নিম্ন গ্রেড, অনুমোদন পেতে কঠোর প্রক্রিয়া, পরিবেশবাদীদের আন্দোলন, সামাজিক ও সরকারি নানা ইস্যু এবং ঊর্ধ্বমুখী করের মতো বিষয় খনিগুলোয় উত্তোলন বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে ধাতুটির সরবরাহ ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ তীব্র হচ্ছে। গোল্ডম্যান স্যাকস জানায়, চলতি বছর তামার বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়াতে পারে পাঁচ লাখ টনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে এশিয়ায়
এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে বেড়েছে। অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়ার পেছনে মূল প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এলএসইজি। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে এলএসইজি জানায়, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ দৈনিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। গত বছরের একই সময় থেকে দৈনিক আমদানির এই পরিমাণ ৩ লাখ ব্যরেল বেশি।
তবে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়লেও গত এপ্রিলে আগের মাসের তুলনায় অঞ্চলটিতে জ্বালানি তেল আমদানি কমেছে। এ অঞ্চলের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীনে আমদানির পরিমাণ বাড়লেও অন্যান্য দেশে কমেছে।
এলএসইজির অয়েল রিসার্চের সংকলিত তথ্য অনুসারে, গত মার্চে এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। এপ্রিলে তা কমে দিনপ্রতি ২ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল হয়েছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানির পরিমাণ ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল ছিল বলেও জানিয়েছিল তারা।
এদিকে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জ্বালানি তেলের বাজারবিষয়ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা আগের বছর থেকে চলতি বছর দিনপ্রতি ২২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বৃদ্ধি পাবে। আর এ চাহিদার ১২ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলই আসবে অর্থনৈতিক সহায়তা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) বহির্ভূত দেশগুলো থেকে।
প্রতিবেদনে ওপেক আরো জানায়, চলতি বছর বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানিকারক দেশ চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে দিনপ্রতি ৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অফিশিয়াল কাস্টমস ডেটা এবং এলএসইজির অনুমান অনুয়ায়ী, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে চীন, যা গত বছরের একই সময় থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল বেশি।
চীন ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল ওপেক। তবে এপ্রিলে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশে আমদানি কমানোয় এ সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ওপেকসহ অন্য বিশ্লেষকরা পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এশিয়ার উত্তর অংশে গ্রীষ্মের মাসগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়তে পারে এবং চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তা আরো প্রসারিত হতে পারে। চীনের অর্থনীতি বৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধারসহ মুদ্রাস্ফীতি থেকে বিভিন্ন দেশের উত্তরণের কারণে চাহিদা বৃদ্ধির এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাগুলো।
কাফি