জাতীয়
এমভি আবদুল্লাহতে করেই দেশে ফিরবেন ২৩ নাবিক
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের সবাই এমভি আবদুল্লাহতে করেই দেশে ফিরবেন। শুরুতে নাবিকদের দুজন বিমানে দেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানালেও দুবাই পৌঁছে তারাও নিজেদের মত পরিবর্তন করেছেন। কয়লা খালাস শেষে নতুন পণ্য নিয়ে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শুরুতে নাবিকদের দুজন দুবাই পৌঁছে বিমানে দেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল দুবাই বন্দরে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পর ওই নাবিকরা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেই দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কার্গো খালাসের কাজ চলছে। এটি শেষ হতে পাঁচ থেকে সাতদিন লাগবে। এর পরে নতুন পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য রওনা হবে। আগামী মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে এমভি আবদুল্লাহকে নিয়ে দেশে পৌঁছাবেন ২৩ নাবিক।
এস আর শিপিং লিমিটেডের সিইও মেহেরুল করীম বলেন, কয়লা খালাসের পর আবার কার্গো লোড করে চট্টগ্রামে আসার কথা রয়েছে। তবে ওই কার্গোটি এখনো ফাইনাল হয়নি, সম্ভবত হয়ে যাবে।
এর আগে গতকাল স্থানীয় সময় ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়াহ বন্দরে বার্থিং নিয়ে কয়লা খালাস শুরু করা হয়। এসময় দুবাইয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এবং কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া কোম্পানির একটি টিম জাহাজের নাবিকদের স্বাগত জানান এবং খোঁজখবর নেন।
কেএসআরএম গ্রুপের টেকনিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ফয়েজ মো. জুকভ বলেন, জাহাজের সব কিছু ঠিক আছে। কারণ জলদস্যুরা জিম্মিকালীন সময়ে আমাদের জাহাজ রুটিন মেন্টেনেন্সের সুযোগ দিয়েছে। আমাদের একটি টিম সবকিছু দেখভাল করছে।
এর আগে সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে গত রবিবার বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।
সোমালীয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এর পরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছিল।
মুক্তিপণ পরিশোধের পর ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিটে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জলদস্যুরা নেমে যাবার পরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত উপকূল থেকে সোমালিয়ার সীমানা পার করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ২ জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু শনিবার
পদ্মা সেতুর সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে ঢাকা-ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামীকাল শনিবার এই ট্রেন দুটির উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার আলম রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইফতেখার আলম রাজন জানান, আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় মাদারীপুরের শিবচরে এই ট্রেন দুটি উদ্বোধন করা হবে। তবে উদ্বোধন আগামীকাল করা হলেও ট্রেন দুটির বাণিজ্যিক চলাচল আগামী রোববার তথা ৫ মে থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ের একটি সূত্র।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের (পশ্চিম) পক্ষ থেকে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়ালের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করার জন্য মতামত পেশ করা হলো।
একই রেক দিয়ে পরিচালিত হলেও এই ট্রেন দুটির নাম হবে আলাদা। এর মধ্যে, ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস।
উল্লেখ্য, চন্দনা ও ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার ও ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।
এ বিষয়ে রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা (পাকশি) শাহ সুফী নুর মুহাম্মদ জানিয়েছেন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কার্যালয় থেকে এই রুটের প্রস্তাব দেওয়া পশ্চিমাঞ্চল থেকে চিঠি পাঠিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন ঘোষণা এডিবির
বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার নতুন অর্থায়ন ঘোষণা করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার (৩ মে) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে এশীয় উন্নয়ন তহবিলের (এডিএফ)।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এডিএফ হচ্ছে এডিবির সবচেয়ে বড় অনুদানের উৎস। প্রতি চার বছর পর পর এমন ঘোষণা আসে। ২০২৫-২৮ মেয়াদে এ অর্থায়ন করা হবে। প্রকল্প প্রস্তুত, সক্ষমতা তৈরি করতে এবং প্রযুক্তিগত বা নীতি পরামর্শ দিতে সহায়তায় এ অর্থায়ন।
এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেছেন, আমাদের দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে দুর্বল সদস্যরা সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নের নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করছে। এ ধাক্কাগুলোকে ফিরিয়ে আনতে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। এই অর্থ বেশি প্রয়োজন তাদের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে।
এডিবি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ভঙ্গুর এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়া জরুরি। এ ঋণ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া
আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া। রুট ভেদে ৭ থেকে ৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ছে। বাড়ছে কনটেইনার পরিবহন ভাড়াও। বর্ধিত ভাড়ার টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।
২০ বছর পর ২০১২ সালের অক্টোবরে রেলের ভাড়া প্রায় দ্বিগুন বাড়ানো হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শর্ত অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি বছর রেলের ভাড়া বাড়বে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নতুন ভাড়ার হার অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। আর ৭ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে আদেশ জারি করে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, রেলের যাত্রীরা ১০১ থেকে আড়াইশ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩শ’ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত।
দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরই মধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেয়া হয়েছে।
সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা। ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।
ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।
ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা। ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।
ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা। ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।
ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।
ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।
ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা। ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা। ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।
এদিকে, রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, মোট ভাড়ার ওপর রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে। কিন্তু নীতি নির্ধারকরা বলার চেষ্টা করছেন রেলের ভাড়া বাড়ছে না। আসলে রেলের ভাড়া বাড়ছে। এটির প্রভাব সাধারণ জনগণের ওপর পড়বে।
গণপরিবহন হিসেবে রেলের এই সুবিধা বহাল রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা। এখনও উন্নত বিশ্বে ট্রেন ভ্রমণে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে কাজ করবে ডিএনসিসি
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) একসঙ্গে কাজ করবে। সে লক্ষ্যে তাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। সমঝোতা স্মারকের শর্তাবলি যাচাই বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে ডিএনসিসি।
শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএনসিসি সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, এ কমিটি ট্যুরিজম বোর্ড শর্তগুলো যথাযথভাবে পালনের উদ্যোগ নিয়েছে কী না-সহ সার্বিক বিষয় মনিটরিং করবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে মেয়রকে লিখিতভাবে জানাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, আইন কর্মকর্তা এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি
মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫ ভাগ দখল করে নিয়ে আছে তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রপ্তানি কমলে মোট রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কা লাগে।
গত এপ্রিল মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হওয়ায় পুরো রপ্তানির চিত্র বদলে গেছে। এ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরে একই সময়ে যা হয়েছিল ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফলে এপ্রিলে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এ মাসে তৈরি পোশাকের এই সংকোচন পুরো রপ্তানির গতিকে থামিয়ে দিয়েছে।
আগের মাস মার্চ শেষে জুলাই-মার্চ ৯ মাসে তৈরি পোশাকে রপ্তানির প্রবদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এপ্রিল শেষে জুলাই-মার্চ ১০ মাসে সেই প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দেশের মোট রপ্তানিও ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এপ্রিল মাসে ঈদের ছুটি ছিল। এ কারণে ওয়ার্কিং ডে কম ছিল। এটি এপ্রিলে রপ্তানি কমের একটি কারণ।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাসগুলোতে লক্ষ্যপূরণে বড় কোনো অর্জন হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ হলো আগামীতে আর দুইটি মাস আছে। যদি মাসে তিন বিলিয়ন করেও ধরি, তবে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হবে। বড় ধরনের অর্জন হবে বলে মনে হয় না। অনেক দিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতি ভালো না। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আবার লোহিত সাগরে অস্থিরতা যোগ হয়েছে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলছেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষ আগে যে পর্যায়ে ছিল, এখনও সেখানেই আছে। এ জন্য মানুষ বাড়তি কেনাকাটা করছেন না বা করতে পারছেন না। তাই বাজার থেকে নেতিবাচক প্রভাব যাচ্ছে না। আর আমরাও এর প্রভাব থেকে বাইরে যেতে পারছি না। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না যে শীঘ্রই রপ্তানি বাড়বে।