জাতীয়
দুই দিনের সফরে ঢাকায় কাতারের আমির
দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে।
কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।
আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।
আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।
কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ বিষয়ে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠের নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব সিপিডির
চামড়া খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।
গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডি’র গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে ফের প্রবেশ করলো ৪০ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) মিয়ানমারের ৪০ নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ শনিবার (৪ মে) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়ে নেয়।
সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর হোসেন দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৫ জন প্রবেশ করে।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তার আগে প্রথম ধাপে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির কর্নেল মিও থুরা নউংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ৩৩০ জনকে মিয়ানমার নিয়ে যান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই: ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত। কোনো প্রভাবশালী (এমপি) নির্বাচনে প্রভাব খাটালে, কমিশন প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারণ, ভোটারবিহীন নির্বাচনে কোনো আনন্দ নেই, সৌন্দর্য নেই।
শনিবার (৪ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সকালে প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিভাগীয় প্রশাসন।
রাজশাহীর স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা দয়া করে আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনার মান ইজ্জত, মর্যাদা আপনিই রক্ষা করবেন। প্রার্থীরা এমপিদের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে কারও সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এরকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে তাহলে প্রার্থিতা বাতিলও হতে পারে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বাড়াবে গাম্বিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে গাম্বিয়া। শুক্রবার (৩ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু টাঙ্গারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শনিবার (৪ মে) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ড. হাছান মাহমুদ গাম্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের সমন্বয়ে একটি যৌথ বিজনেস টাস্ক ফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দেন। গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি খাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের বিশেষ প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে ওআইসির দৃঢ় ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সভাপতিত্ব লাভ করায় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. হাছান মাহ্মুদ অভিনন্দন জানান এবং গাম্বিয়া ওআইসির সভাপতি থাকাকালীন সংস্থাটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সমদূরবর্তী দায়িত্বে গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ) ওয়াহিদা আহমেদ উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুললো ভারত
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রায় পাঁচ মাস পর তুলে নিলো ভারত। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের কৃষকদের বাধা থাকবে না।
জানা যায়, রপ্তানির জন্য প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি। অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের ধারণা, ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ৩১ মার্চ এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য করা হয়। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলো প্রতিবেশী দেশটি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ভারতের বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এবার লোকসভা নির্বাচন চলাকালে তাদের দাবি আমলে নিলো কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের যে ঘাটতি তার সিংহভাগ পূরণ হয় ভারতের পেঁয়াজ দ্বারা। প্রতিবেশী দেশটি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে সীমিত আকারে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত।
এমআই