পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসির তিন সিদ্ধান্ত
পুঁজিবাজারে চলমান দরপতন থেকে বেরিয়ে আসতে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিএসইসির প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং প্রধান ১০টি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে প্রাথমিকভাবে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ডিলার একাউন্ট থেকে বাজারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান, ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের সাথে বৈঠক করে বিনিয়োগ সক্রিয় করা এবং মিউচুয়াল ফান্ডকে শক্তিশালী করা।
সভায় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন , পুঁজিবাজারের অংশীজন এবং ব্রোকাররা বাজারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করে থাকে এবং পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শ এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করাই বিএসইসির লক্ষ্য।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিরি উত্তরণে আজকের সভায় বাজার সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পরামর্শ আমলে নিয়ে কাজ করবে বিএসইসি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আর্থিক অবস্থান যেমন উন্নতি হচ্ছে এবং দেশের পুঁজিবাজারও দ্রুতই প্রাণবন্ত ও বলিষ্ঠ রূপে ফিরবে বলে আশা করা যায়।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ও পুঁজির সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন তরান্বিত করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়া বিএসইসির নিবন্ধনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের (স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি) বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংকসমূহের হেড অব ট্রেজারিদের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠানের বিষয়ে মতামত প্রদান করেন।
বৈঠকে পুঁজিবাজারের সংকটসমূহ ও সংকট উত্তরনের উপায়সহ সকল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিএসইসি ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিরা সমন্বিতভবে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তারা জানান, পুঁজিবাজারকে আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে তাদের সর্বাত্বক চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকবে।
এদিকে পুঁজিবাজারের টানা দরপতন ঠেকাতে ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মূলত এ বৈঠকের আয়োজন করেছে বিএসইসি। গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন শুরু হয়। প্রায় দুই মাস ধরে দরপতনের ধারায় রয়েছে বাজার। ঈদের আগে শেষ ৪ কার্যদিবসে কিছুটা আশা দেখালেও ঈদের পরে আগের ধারায় ফিরেছে বাজারের লেনদেন। ফলে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরতে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএসইসি।
এদিকে টানা পাঁচ কার্যদিবস পরে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে সামান্য গতি ফিরেছে। আজ একচেঞ্জটিতে ৫৭৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। একইসাথে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে সূচক। সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২১ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৭৪ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১২৪৩ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৯৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট বাড়লেও আগের পাঁচ কার্যদিবসে সূচকটি ২১০ পয়েন্ট বা প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ কমে গেছে। একইসাথে ডিএসইএক্সের অবস্থানগত গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে। ফলে পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা, তারল্য সমস্যা, অর্থনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন সংকট থেকে উত্তরণে বৈঠক করেছে বিএসইসি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন বাড়লো ৬ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ এপ্রিল থেকে ০২ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমান। আলোচ্যে সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গেলো সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ কোটি ০৬ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৬ হাজার ২২৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৯৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও বেড়েছে। শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসই এস’ ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ এক সপ্তাহে ৩৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ১৩৩টির, বিপরীতে ২২৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে গ্রামীণফোনের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নীতিমালা মেনে ও শেয়ার হোল্ডারদের নির্বিঘ্ন ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়; যা কোম্পানির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
এজিএমে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল; গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল বলেন, ২০২৩ সালে গ্রামীণফোন গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটালাইজেশন এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জীবনের চাহিদা পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছে। ভবিষ্যতের উপযোগী একটি টেলকো-টেক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৩ সালে ইবিআইটিডিএ ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি এবং ইতিবাচক টপ-লাইন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণে এবং ভবিষ্যতের উপযোগী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বিনিয়োগের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো, প্রোডাক্ট পোর্টফোলিওর সহজীকরণ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন একটি টেলকো-টেক কোম্পানি হয়ে ওঠার জন্য প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে; যা ডিজিটালভাবে সংযুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাংলাদেশে সবার জন্য একটি অগ্রসরমান, ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ কোম্পানিটি।
গ্রামীণফোন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের জন্য ২০২৩ সাল ছিল রূপান্তরের বছর, এ বছর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা কোম্পানিটিকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে আরো অগ্রসর করেছে। গ্রাহকরা সবসময়ের মতো আমাদের অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে। গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলো পূরণ এবং সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, আধুনিকীকরণ এবং ক্রমাগত বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক সংঘাত সত্ত্বেও সকল কর্মী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে কোম্পানিটি।
একটি স্মার্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ের জন্য ডিজিটালাইজড সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক পণ্য এবং আইওটি সল্যুশন চালু করেছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমাবদ্ধ নয়। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ কমানো, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো, জেন্ডার বৈষম্য কমানো এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে কাজ করছি আমরা।
টেকসই উন্নয়নের প্রতি গ্রামীণফোনের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্লুমবার্গ। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যৎ তৈরিতে আমাদের ভূমিকাও উঠে এসেছে। বর্তমানে যখন আমরা স্মার্ট ডিভাইস, কানেক্টিভিটি ও এআই কে সাদরে গ্রহণ করছি; একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনধারার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময় ।”
এজিএম-এ গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১২৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে, যা ২০২৩ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী ই-ইঞ্জিনিয়ারিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতে চায় কোম্পানিটি। সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে অটোক্লেভ প্যানেলস, কনক্রিট ব্লক, ইট ও টাইলস উৎপাদনের একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে কোম্পানিটি।
উল্লেখ, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক পরিবারের একটি কোম্পানি। পুঁজিবাজারে এলে এটি হবে এই গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি। গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটি মূলত সমুদ্রবন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ-দুবাই রুটে জাহাজ পরিচালনার ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি মূলত একটি ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং , প্রকিউরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন) কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে, তাদের জন্য অবকাঠামোর ডিজাইন, পণ্য ক্রয়, অবকাঠামো তৈরি ও সংস্থাপন করে থাকে। এর পাশাপাশি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি নিরাপত্তা ও আইটি সংশ্লিষ্ট ইক্যুইপমেন্ট, ড্রেজার, ক্রেন,ভারি মেশিনারিজ সরবরাহ ও সংস্থাপন সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধির মধ্যে আরও রয়েছে নদী খনন, ভূমি উন্নয়ন, বহুতল ভবন নির্মাণ; সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার ইত্যাদি নির্মাণ।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পণ্য ও সেবার পরিবেশক তারা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এস্ট্রোফিজিকস, স্ক্যানস্ক্যান, আমেরিকান সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, তুরস্কের রিডোম্যাক টার্কি, সিঙ্গাপুরের এমটি কমিউনিকেশন, নেদারল্যান্ডসের ইউভি স্ক্যান।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির ১২ কোটি শেয়ার রয়েছে। তারা নতুন করে আর ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার পরিকল্পনা করছে।
শিগগিরই কোম্পানিটি আইপিওর প্রক্রিয়া শুরু করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে আইপিওর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪- মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৬৭ পয়সায়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে।
রোববার (২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির আয় বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৮ পয়সায়।
আগামী ১২ জুন কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
অর্থসংবাদ/এমআই