পুঁজিবাজার
আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় টেকনো ড্রাগসে বিনিয়োগের সুযোগ আগামীকাল
পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। আর এই বিডিং কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। আর্থিক সক্ষমতা, সুনাম ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনা করে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে টেকনো ড্রাগস কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটি ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। কোম্পানিটি ২০০৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং ২০১৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পাবলিক কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয়।
ওষুধ রপ্তানিতে দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে অন্যতম টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ইতোমধ্যে কোম্পানিটি ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে। জীবনরক্ষাকারী ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয় করে এবং লাভজনক কোম্পানি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির বেশ কিছু স্পেশালইজন প্রোডাক্ট রয়েছে। এছাড়া হিউম্যান এবং ভেটেরিনারি মেডিসিনের প্রায় সকল প্রকার ঔষুধ উৎপাদনের মাধ্যেমে ভবিষৎ অগ্রগতির পথ আরো সুগম করবে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মোট মূলধন প্রায় ৯৪ কোটি টাকা যার মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ৬৩ শতাংশসহ পরিচালনা পর্ষদের কাছে ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বর্তমানে যে দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তা কর্মচারিরা রয়েছে তাতে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য অর্জন করবে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, টেকনো ড্রাগস সাধারনত বিশেষায়িত পণ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির অনকোলজির ক্যামোথেরাপি, অ্যানেস্থেসিয়া বা চেতনানাশক, জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল, ইনজেকশন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইমপ্ল্যান্ট স্টিক (৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন) রয়েছে। এছাড়াও ভেটেনারি ও সাধারন হিউম্যান মেডিসিনও রয়েছে।
জানা গেছে, ইমপ্ল্যান্ট স্টিক যা বাংলাদেশে একমাত্র টেকনো ড্রাগস উৎপাদন করে। এটি ৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রধান ঔষধ সমূহগুলো হলো- জন্ম নিয়ন্ত্রন মেডিসিন- সুখী থার্ড জেনারেশন ওরাল পিল, প্রোভেরা ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট স্টিক (৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন), এন্টিক্যান্সার মেডিসিন- হেরিটিন, জোলোমাইড, ইপোসাইড, চেতনানাশক মেডিসিন- লিডোসিন প্লাস ইনজেকশন, ভেনকুরোন ১০টিভি ইনজেকশন, সাধারন হিউম্যান মেডিসিন- মোটিলেক্স সাসপেনশন, ওমিসেক, রোমিলেক, সেফিক্সোন ইনজেকশন, ভেটেনারি মেডিসিন- ভারমিক ইনজেকশন, ডেক্সাভেট ইনজেকশন, রুমেন প্লাস পাউডার, ভিটা জিংক।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি শুরু থেকেই উন্নতমানের বিশেষায়িত ঔষধ উৎপাদন ও বিতরণ করে আসছে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একজন ফামার্সিস্ট এবং দেশের সবোর্চ্চ বিদ্যাপিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাত্তোকত্তর সম্পন্ন করেছেন। কোম্পানির পরিচালক মেহেরিন আহমেদ অনকোলজিতে পিএইচডি সম্পন্ন্ করেছেন বিদেশ থেকে। প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের টেন্ডারের বিপরীতে সর্বোচ্চ পরিমান জন্ম নিয়ন্ত্রন ঔষধ সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া কোম্পানিটির ১৭টি ডিপো রয়েছে যার মাধ্যমে সারাদেশে ঔষধ সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া প্রতিটি স্তরে “সার্বক্ষনিক মনিটরিং টিম” রয়েছে যারা কোম্পানীর প্রতিটি কাজের সঠিক মনিটরিং নিশ্চিত করে থাকে। কোম্পানিটি ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেসন ও জিএমপিসহ অন্যান্য রেগুলটরি গাইডলাইন মেনে মানসম্মত ওষুধ উৎপাদন ও বিতরণ করে থাকে। করপোরেট গভর্নেন্সের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আইপিও তহবিলের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান, সর্বপরি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে দেশের সুনাম অর্জন করাই কোম্পানিটির মূল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ২০০৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। তবে, ২০১০ সালের ১ জুলাই কোম্পানিটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে যাত্রা শুরু করে ভেটেনারি প্রোডাক্ট দিয়ে। দেশে ভেটেনারি প্রোডাক্টের প্রবর্তক টেকনো ড্রাগস। পরবর্তীতে মানুষের ওষুধ নিয়ে কাজ শুরু করে। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া ২২ টাকা ৫৭ পয়সা। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা। বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৩ টাকা ২৫ পয়সা। চলতি বছরের গত ৭ মার্চ টেকনো ড্রাগস লিমিটেডকে আইপিওর অনুমতি দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন বাড়লো ৬ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ এপ্রিল থেকে ০২ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমান। আলোচ্যে সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গেলো সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৭৯১ কোটি ০৬ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৬ হাজার ২২৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৯৭ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও বেড়েছে। শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসই এস’ ১৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ এক সপ্তাহে ৩৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ১৩৩টির, বিপরীতে ২২৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে গ্রামীণফোনের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নীতিমালা মেনে ও শেয়ার হোল্ডারদের নির্বিঘ্ন ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়; যা কোম্পানির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
এজিএমে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল; গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান হাকন ব্রুয়াসেট কেজোয়েল বলেন, ২০২৩ সালে গ্রামীণফোন গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটালাইজেশন এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জীবনের চাহিদা পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছে। ভবিষ্যতের উপযোগী একটি টেলকো-টেক কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৩ সালে ইবিআইটিডিএ ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি এবং ইতিবাচক টপ-লাইন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণে এবং ভবিষ্যতের উপযোগী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে বিনিয়োগের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো, প্রোডাক্ট পোর্টফোলিওর সহজীকরণ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন একটি টেলকো-টেক কোম্পানি হয়ে ওঠার জন্য প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে; যা ডিজিটালভাবে সংযুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল্যবোধকে ধারণ করে বাংলাদেশে সবার জন্য একটি অগ্রসরমান, ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ কোম্পানিটি।
গ্রামীণফোন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের জন্য ২০২৩ সাল ছিল রূপান্তরের বছর, এ বছর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা কোম্পানিটিকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে আরো অগ্রসর করেছে। গ্রাহকরা সবসময়ের মতো আমাদের অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে। গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলো পূরণ এবং সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, আধুনিকীকরণ এবং ক্রমাগত বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক সংঘাত সত্ত্বেও সকল কর্মী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে কোম্পানিটি।
একটি স্মার্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ের জন্য ডিজিটালাইজড সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক পণ্য এবং আইওটি সল্যুশন চালু করেছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমাবদ্ধ নয়। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ কমানো, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো, জেন্ডার বৈষম্য কমানো এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে কাজ করছি আমরা।
টেকসই উন্নয়নের প্রতি গ্রামীণফোনের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্লুমবার্গ। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য একটি স্মার্ট ভবিষ্যৎ তৈরিতে আমাদের ভূমিকাও উঠে এসেছে। বর্তমানে যখন আমরা স্মার্ট ডিভাইস, কানেক্টিভিটি ও এআই কে সাদরে গ্রহণ করছি; একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনধারার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময় ।”
এজিএম-এ গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১২৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে ১২ টাকা ৫০ পয়সা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে, যা ২০২৩ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী ই-ইঞ্জিনিয়ারিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করতে চায় কোম্পানিটি। সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে অটোক্লেভ প্যানেলস, কনক্রিট ব্লক, ইট ও টাইলস উৎপাদনের একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে কোম্পানিটি।
উল্লেখ, ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক পরিবারের একটি কোম্পানি। পুঁজিবাজারে এলে এটি হবে এই গ্রুপের দ্বিতীয় কোম্পানি। গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানিটি মূলত সমুদ্রবন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ-দুবাই রুটে জাহাজ পরিচালনার ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি মূলত একটি ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং , প্রকিউরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন) কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে, তাদের জন্য অবকাঠামোর ডিজাইন, পণ্য ক্রয়, অবকাঠামো তৈরি ও সংস্থাপন করে থাকে। এর পাশাপাশি ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি নিরাপত্তা ও আইটি সংশ্লিষ্ট ইক্যুইপমেন্ট, ড্রেজার, ক্রেন,ভারি মেশিনারিজ সরবরাহ ও সংস্থাপন সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে। কোম্পানিটির ব্যবসার পরিধির মধ্যে আরও রয়েছে নদী খনন, ভূমি উন্নয়ন, বহুতল ভবন নির্মাণ; সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার ইত্যাদি নির্মাণ।
ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসি বেশ কয়েকটি বিদেশী কোম্পানির সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানির পণ্য ও সেবার পরিবেশক তারা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এস্ট্রোফিজিকস, স্ক্যানস্ক্যান, আমেরিকান সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, তুরস্কের রিডোম্যাক টার্কি, সিঙ্গাপুরের এমটি কমিউনিকেশন, নেদারল্যান্ডসের ইউভি স্ক্যান।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির ১২ কোটি শেয়ার রয়েছে। তারা নতুন করে আর ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করার পরিকল্পনা করছে।
শিগগিরই কোম্পানিটি আইপিওর প্রক্রিয়া শুরু করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে আইপিওর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪- মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৬৭ পয়সায়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে।
রোববার (২ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির আয় বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৮ পয়সায়।
আগামী ১২ জুন কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
অর্থসংবাদ/এমআই