জাতীয়
পুলিশ সদস্যদের জন্য আজান-কেরাত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেবেন আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাদ জুমা রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গুরু দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মাঝে জ্ঞান ও ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় সব ইউনিট থেকে পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন বলে জানান আইজিপি।
তিনি বিজয়ীদের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। পুলিশ সদস্যদের জন্য আজান ও কেরাত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণেরও ঘোষণা দেন আইজিপি।
এছাড়া বিজয়ীদের মেধার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জানান বিচারকদের।
প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, যারা এবার বিজয়ী হতে পারেননি তাদের আগামীতে আরও ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। পরে আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় আজানে প্রথম হয়েছেন ডিএমপির কনস্টেবল সাগর হোসেন সাব্বির, দ্বিতীয় এপিবিএনের খুলনার নায়েক আবু মুসা এবং তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক।
কেরাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৩ এপিবিএনের খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হয়েছেন আরআরএফ খুলনার কনস্টেবল মো. ইসমাঈল হোসেন মুন্না এবং তৃতীয় হয়েছেন র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের কনস্টেবল বেলাল আহমদ।
অপরদিকে ‘বৈশ্বিক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ঢাকার উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর, দ্বিতীয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এসআই (নিরস্ত্র) শামীম আল মামুন এবং তৃতীয় হয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নায়েক এ কে এম খালিদ সাইফুল্লাহ।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাই করা পুলিশ সদস্যরা ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ু তহবিল দেশের ওপর ঋণের বোঝা চাপাচ্ছে: টিআইবি
গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিএসএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে বলে অভিমত দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে জানান, জিএসএফে জবাবদিহিতা করার মতো কোনো অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। জিএসএফের ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেন-দরবারের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিএসএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসএফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দিয়েছে। জিএসএফ ইউএনডিপিকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষক নেওয়াজুল মাওলা ও সহিদুল ইসলাম গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।
গবেষণায় জানানো হয়, জিএসএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়। যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
এতে জানানো হয়, তহবিলে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতির অজুহাতে জিএসএফ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এসময় সংস্থাটির কান্ট্রি ওনারশিপ নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ ৪৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
‘জয় বাংলা ম্যারাথন’ শুরু ৭ জুন
ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’ হাফ ম্যারাথন। ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে আগামী ৭ জুন ভোর ৫টায় এ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
এ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিযোগিতার সব আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে তৈরি করা ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘জয় বাংলা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪’ এর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ জুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, কারণ এ তারিখটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য স্মরণ করা হয়। ‘৭ই মার্চের ভাষণ নামে পরিচিত এই ভাষণটি বাঙালি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে এবং স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।
তিনি বলেন, এর আগে, ১৯৬৬ সালের ৭ই জুন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এখনও একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট অব রেফারেন্স। দিনগুলোর তাৎপর্য স্মরণে রাখতে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে একটি সুস্থ ও সক্রিয় লাইফ স্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।
তিনি আরও বলেন, হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগীদের ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার প্রদানসহ অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাক জুড়ে দৌঁড়বিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একাধিক মেডিকেল টিম এবং হাইড্রেশন পয়েন্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
পিবিআই প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাব প্রতি বছর ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস, মিল ব্যারাক, গেন্ডারিয়া, ঢাকায় ৪০০ থেকে ৮০০ মিটার দৌড়সহ কয়েকটি ইভেন্টের আয়োজন করে, যার অংশগ্রহণকারী ছিল পুলিশ সদস্যরা। আমরা বৃহৎ পরিসরে সাইক্লিং অথবা ম্যারাথন আয়োজনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে একাধিক মিটিং করি এবং কমিটি গঠন করি। ম্যারাথন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এর বাস্তবায়নে অনেকদূর এগিয়েছি। সবার সহযোগিতায় এ মেগা ইভেন্টে বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।
‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’ এর সভাপতি এবং সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রথমবারের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটিতে ৫ হাজার প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ হওয়ায় আয়োজকদের কার্যপরিধি বিশাল। সময় কম হলেও আমরা তা করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ম্যারাথন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও পুরস্কার বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম থেকে বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু
চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোর পৌনে ৪টায় প্রথম ফ্লাইটে ৩৯৮ জন হজযাত্রী মদিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এর আগে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চট্টগ্রাম মদিনা হজ ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনায় এ বছর হজযাত্রীদের জন্য চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সৌদি আরব যাবে ২২টি ফ্লাইট। এর মধ্যে ২০টি ফ্লাইট সরাসরি জেদ্দায় এবং দুটি ফ্লাইট মদিনায় যাবে। এসব ফ্লাইটে মোট আট হাজার যাত্রী যাবেন হজে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায়-ডাবলিনে মিশন খুলতে সম্মত বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড
বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড দুই দেশের রাজধানীতে আবাসিক কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ মে) ডাবলিনে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম যৌথ পরামর্শক সভায় উভয়পক্ষ কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে একমত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড প্রথম যৌথ পরামর্শক সভায় বসার আগে দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। স্মারকে সই করার পাশাপাশি সভায় ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ডাবলিনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল জোসেফ হ্যাকেট।
সভায় উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, আইসিটি, বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো ছিল। এছাড়া দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।
উভয়পক্ষ বাংলাদেশ-ইইউর অংশীদারিত্ব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের পরিস্থিতিসহ পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিশেষ করে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নিজস্ব অবস্থান জানান।
সভায় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন তিনি।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডোনাল্ড লু’কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দুই দফা ডোনাল্ড লু’র সফর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের চার মাস পর ফের ঢাকায় এলেন লু।
জানা গেছে, এবার আর থাকছে না রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা। সরকারি পর্যায়ে বৈঠকই সফরের মূল আর্কষণ। তবে বাদ পড়েনি সুশীল সমাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের এ সফরে সম্পর্ক জোরদারই লক্ষ্য বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। মূল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে নানা পথ খোঁজার চেষ্টা থাকবে বৈঠকে।
আগামী বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ৩টায় এক ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন ডোনাল্ড লু।