জাতীয়
ঈদের পর কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রাখতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। ২টি বিল্ডিংই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ঈদের পর কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রাখতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সোমবার (১৮ মার্চ) কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত গাবতলীতে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত গাবতলীতে স্থানান্তরের সুযোগ হাতছাড়া না করার আহ্বান জানিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান ও সিইও, চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বসে যত দ্রুত সম্ভব একটা সিদ্ধান্তে আসেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভাড়া নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের দর কষাকষির সুযোগ করে দেয়া হবে। যেখানে যে সুযোগ পাচ্ছেন, গ্রহণ করেন। এতে আপনারাই লাভবান হবেন। কারওয়ান বাজারের বেশিরভাগ দোকানই অবৈধ জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, কারওয়ান বাজার কাঁচামালের আড়ত গাবতলীতে সরিয়ে নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক-৫ অফিস বিল্ডিংটি ঈদের পরপরই ভেঙে ফেলা হবে। এ অবস্থায় প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়তের ১৭৬টি দোকান গাবতলীতে স্থানান্তর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজেট ঘোষণা ৬ জুন
আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সব ধরনের তার মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে: পলক
সব ধরনের কানেকটিভিটি সংযোগগুলোর তার মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কিছুই হবে স্মার্টভাবে। সব ধরনের কানেকটিভিটির তার থাকবে ভূগর্ভস্থ। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আমরা এ কার্যক্রম শুরুও করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে শতভাগ কানেকটিভিটি সংযোগের তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে। দেশে টিঅ্যান্ডটির লাইনসমূহ শুধুমাত্র গ্রাহক পর্যায়ে কারিগরি কারণে মাটির ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে টিঅ্যান্ডটির তার ভূগর্ভস্থ করা হয়েছে। যেমন, এক্সচেঞ্জ থেকে কেবিনেট পর্যন্ত লাইনসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। তবে ভবনে ফাইবার ক্যাবলের চ্যানেল ইন্টারনেটসহ সব সার্ভিস লাইনের জন্য একক ডাক্ট এর ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মতো টিঅ্যান্ডটিসহ সব ধরনের কানেকটিভিটি সংযোগসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা সম্ভব হবে। সব ধরনের তার ভূগর্ভস্থ রাখার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ভবিষ্যতে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, গত তিন বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের ওপরে। তার মানে আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যার কারণে আমাদের ডেভেলপিং দেশ হিসেবে ক্যাশ ইনসেনটিভগুলো দেওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) হোটেল রেডিসন ব্লুতে সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড)-২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে তা অনেকে বিশ্বাস করতো না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এই সবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দেশে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের সঙ্গে লেদার, জুট, টি সেক্টরসহ ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ বছর প্রধানমন্ত্রী বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেছেন। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ স্লোগানে তৃণমূলে কারিগরদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে হস্তশিল্পকে একটি বিকল্প রপ্তানি পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে চাই। এটি নিয়ে আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। বিশ্বের ৭৩টি দেশে আমাদের অ্যাম্বাসি আছে। ২৩টি দেশে আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আছে। তাদের মাধ্যমে আগামী ১ বৈশাখে অ্যাম্বাসিতে বৈশাখী মেলা করতে চাই। সেখানে আমরা আমাদের হস্তশিল্প পৌঁছে দিতে চাই। যাতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যে সেটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। বাংলাদেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি। সেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করবো। এলডিসি গ্র্যাজুয়েটিং দেশ হিসেবে আমরা তিন বছর বিভিন্ন দেশে ঢোকার বিশেষ সুবিধা পাবো। কিন্তু ডেভেলপিং দেশ হলে সেই সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। তাই আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন আমরা বিভিন্ন দেশের বাজারে ঢুকতে পারি। আমাদের লক্ষ্য আমাদের রপ্তানিকে বহুমুখী করা।
তিনি আরো বলেন, গতকালই আমাদের টাকার প্রায় ৬ শতাংশ ডিভ্যালুয়েশন করা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সব সময় একটা চাপ ছিল, আমরা যেনো ডলার ডিভ্যালুয়েশন করে এমন একটি পর্যায়ে রাখি যাতে আমাদের রপ্তানি কস্পিটিটিভ হয়। এখন যখন ডিভ্যালুয়েশন হয়েছে, তখন কিন্তু আমাদের রপ্তানিকারকদের আয় বেড়েছে। যদিও আমাদের দেশ আমদানি নির্ভর। তারপরও আমাদের রপ্তানি কম্পিটিটিভনেসের জন্য আমাদের ডিভ্যালুয়েশ করতে হচ্ছে। আমরা আশা করি, এতে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের কম্পিটিটিভনেস বাড়বে। এই সুযোগটা আমাদের রপ্তানিকারকদের কাজে লাগাতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছে প্রথম হজ ফ্লাইট
চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৩ জন যাত্রী নিয়ে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের আরও স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (জেডকো) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আগত হজযাত্রীদের শুভকামনা জানান ও যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন।
এসময় বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইন জুয়ার কারণে মুদ্রাপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, অনলাইন জুয়া, হুন্ডি প্রভৃতি কারণে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাওয়ায় দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের মাত্রা বহুলাংশে বেড়েছে। প্রযুক্তিগত এ উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনলাইন জুয়া/বেটিং, গেমিং, ফরেক্স/ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও হুন্ডি প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশ থেকে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থপাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৮৬টি ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাব বিএফআইইউ কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে।
কাফি