অর্থনীতি
সুদহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব: ড. ফরাসউদ্দিন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, টাকার মূল্যমান কমে আসাটা চিন্তার কারণ। দেশে ক্রয়ক্ষমতা, বিনিময় হার ও সুদহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। মূল্যস্ফীতি হলে যাদের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা বেশি ভোগেন। গরিব মানুষের বেশি কষ্ট হয়। বিনা প্রশ্নে ব্যাংকে ছয় মাস টাকা জমা রাখার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। তাহলে লুকানো টাকা অন্তত ব্যাংকের মাধ্যমে ফিরে আসবে। মূল্যস্ফীতি যা হবে, বাজেটে তাই উল্লেখ করতে হবে। তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা খুব দরকার। সঠিক তথ্য-উপাত্ত থাকা উচিত।
‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং’ বিষয়ে তৃতীয় এ, কে, এন, আহমেদ মেমোরিয়াল লেকচার অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, কমার্শিয়াল ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা পায় কই। তফসিলি ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা আসে কোথায় থেকে। তারা কী মানিলন্ডারিং করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনছে কেন?
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, শুল্ক কমিয়ে দেয়ার পরও ক্রেতা সুবিধা পায় না। বিক্রেতার সুবিধা আরো বাড়ে। এটা অদ্ভুত এক দেশ। মধ্যসত্ত্বভোগীদের পেটে এসব টাকা চলে যায়।
এবারের বোরোর ফলন ভালো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা ভালো লক্ষণ। তবে, সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানে ঝামেলা আছে। চাষি থেকে না কিনে পেছনের দরজা দিয়ে কেনা হয়। এগুলো মজুত করা হয়। সংকট তৈরি করা হয়। এটা ঠেকাতে সমবায়ভিত্তিক ফসল চাষ ও গুদামজাত করা যেতে পারে।
১৯৭২-৭৪ সালে গগনচুম্বী মূল্যস্ফীতি ছিল, বঙ্গবন্ধু সেটা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, টিসিবির মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালে বন্যার ফলে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। তখন শেখ হাসিনার সরকার বিনামূল্যে ৯ মাস খাদ্য বিতরণ করে সেটা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।
লেকচার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বক্তব্যে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রফতানি, আমদানি ও রেমিট্যান্স; মানে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের যেসব লেনদেন, এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক টাচ করে না। কমার্শিয়াল ব্যাংক টাচ করে, সরাসরি। যা ব্যালান্স এমাউন্ট তাদের কাছে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্সের কোনো টাকা দেশে আসে না। এর সবই পরিচালনা করা হয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে। তাদের মাধ্যমে রপ্তানি আয় আসে। যেহেতু, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এখন আমাদের সারপ্লাস। ২০২০-২১ অর্থবছরে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ডিপোজিট ছিল জিডিপির প্রায় চার শতাংশ। গত বছর আমরা বিভিন্নভাবে কমিয়ে জিডিপির এক শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছিলাম। সেটা এই বছরে জানুয়ারি পর্যন্ত চার বিলিয়ন ডলার সারপ্লাস, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। এসব টাকা কমার্শিয়াল ব্যাংকে জমা আছে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি রোধে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে বাজার থেকে টাকা উঠে এসেছে। একই সময়ে সরকারের অনেক প্রকিউরমেন্ট আছে, যেগুলো কমার্শিয়াল ব্যাংক সাপোর্ট করতে পারছিল না। সেগুলো সাপোর্ট করার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার দিচ্ছি। ডলার বিক্রি হওয়ায় বাজার থেকে আরো টাকা উঠে এসেছে। এতে বাজারে সিরিয়াস লোকাল কারেন্সির ক্রাইসিস শুরু হয়। তখন কমার্শিয়াল ব্যাংককে আমরা বলেছি, আমাদের কাছ থেকে টাকা নাও। যখন তোমার টাকা হবে আমাদের দিয়ে দিও। তখন সোয়াপ শুরু হয়। এটা অনেকটা উইন উইন সিচুয়েশন। আমার রিজার্ভ বাড়ছে। এটা অন্যভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো: আখতারুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) মো. শিহাব উদ্দিন খান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রধান, বিআইবিএমমের অনুষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এ, কে, এন, আহমেদ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ৮ জন মাস্টার্স ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (এমবিএম) শিক্ষার্থীকে ভালো ফলাফলের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং একটি সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রয়াত এ কে এন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় গভর্নর । তিনি ১৯৭৪ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইন জুয়ার কারণে মুদ্রাপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, অনলাইন জুয়া, হুন্ডি প্রভৃতি কারণে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাওয়ায় দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের মাত্রা বহুলাংশে বেড়েছে। প্রযুক্তিগত এ উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনলাইন জুয়া/বেটিং, গেমিং, ফরেক্স/ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও হুন্ডি প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশ থেকে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থপাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৮৬টি ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাব বিএফআইইউ কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা
খোলাবাজারে নগদ ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলারের দর ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণের পর খোলাবাজারে এমন প্রভাব পড়েছে। তবে এ দরেও চাহিদামতো ডলার পাচ্ছেন না অনেকে।
খোলাবাজারে পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দরও বেড়েছে আড়াই থেকে ৩ টাকা। গতকাল ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এরকম ব্যাংক আজ ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করেন এমন একজন জানান, ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে সব সময় ডলারের দর বেশি থাকে।
তিনি জানান, গতকাল সকালেও নগদ ডলার ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল বিকেলে খোলাবাজারে তা বেড়ে ১১৯ টাকায় উঠেছিল। আজ আরও বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিআইপি সম্মাননা পেলেন ১৮৪ ব্যবসায়ী
রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তানি ও টেড) কার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এ জায়গায় পৌঁছাবে তা অনেকে বিশ্বাস করতো না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় চার গুন বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এসবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। উনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করেছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃত স্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রপ্তানি আয় হওয়ায় চা খাতের একটি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য এক বছর মেয়াদে সিআইপি (রপ্তানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিরা পরবর্তী বছরের সিআইপি (রপ্তানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।
২০২২ সালের পণ্য বা সেবার খাতওয়ারি মনোনীত সিআইপিদের (রপ্তানি ও ট্রেড) মধ্যে কাঁচাপাটে দুই জন, পাটজাত পণ্যে চারজন, চামড়াজাত দ্রব্যে ছয়জন, হিমায়িত খাদ্যে চারজন, তৈরি পোশাকে (ওভেন) ১৮ জন মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কৃষিজাত দ্রব্যে পাঁচজন, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং এ পাঁচজন, হালকা প্রকৌশলী পণ্যে চারজন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে তিনজন, হস্তশিল্পজাত পণ্যে চারজন, স্পেশালাইজড বা হোমটেক্সটাইল পণ্যে চারজন, তৈরি পোশাকে (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, সিরামিক পণ্যে একজন, প্লাস্টিকজাত পণ্যে চারজন, টেক্সটাইলে (ফেব্রিক্স) সাতজন, কম্পিউটার সফটওয়্যারে দুইজন, আসবাবে একজন, বিবিধ পণ্যে ২৭ জন ও ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সিআইপি হয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সিআইপি (ট্রেড ক্যাটাগরি) মনোনীত হয়েছেন ৪৪ জন।
সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (রপ্তানি) নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়। আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রপ্তানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।
সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন’ প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পাবেন।
সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন, যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একনেকে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার দশ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়নে ৫ হাজার ২০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়নে ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
নতুন যে ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষা রয়েছে সেগুলো হলো- ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিস বেইসড অন প্ল্যাটফরম প্রকল্প, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ, চায়না এইড প্রজেক্ট অফ বার্ন ইউনিট অফ চিটাগাং মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বাংলাদেশ, গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা, বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবলিটি ইন দা টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টর, ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেস এ রূপান্তরকরণ (প্রথম সংশোধিত), ঢাকা জেলায় বিদ্যমান সার্কিট হাউজ ভবনের স্থলে নতুন অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর নবসৃজিত গাজীপুর (৬৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): ডিডিএম অংশ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম, উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী; ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দশ মাসে ২৩৮৯ টন মসুর ডাল আমদানি
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে মোট ২ হাজার ৩৮৯ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৫৬৬ টন বা ১৯০ শতাংশ বেশি। গত বছরের প্রথম ১০ মাসে মসুর ডাল আমদানির পরিমাণ ছিল ৮২৩ টন।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদার কারণে এর আমদানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ফলে গত দশ মাসে পণ্যটির আমদানি অন্তত দেড় হাজার টন বেড়েছে। আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমেছে ভোগ্যপণ্যটির দাম।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রকারভেদে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৬-৭ টাকা করে কমেছে। গতকাল আমদানীকৃত মাঝারি আকারের ভারতীয় মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৬ টাকায়। এছাড়া নেপালি চিকন ১৩০ ও দেশীয় মসুর ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, মসুর ডালের দাম কিছুটা কমতির দিকে। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় মূলত দাম কমেছে বলে জানান তিনি।
এমআই