Connect with us

শিল্প-বাণিজ্য

দেশে চা উৎপাদন বেড়েছে ৮.৩৭ শতাংশ

Published

on

বিএসইসি

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে চা উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করেছে। ইতিবাচক এ ধারা অব্যাহত থাকলে পণ্যটির রফতানিও লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৮ কোটি ৩৬ লাখ কেজি। ২০২২ সালের একই সময়ে যা ছিল ৭ কোটি ৫২ লাখ কেজি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন বেড়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। নভেম্বরেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। বছরের শেষ দুই মাসের হালনাগাদকৃত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

চা বোর্ড জানায়, গত বছরের প্রথমার্ধে ভারত ও কেনিয়াসহ বিশ্বের শীর্ষ চা উৎপাদক দেশগুলো ছিল নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে। এর মধ্যে ভারতে চা উৎপাদন ৯ শতাংশ ও কেনিয়ায় ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। শ্রীলংকায় জুন পর্যন্ত উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় এসব দেশে উৎপাদন আশানুরূপ হয়নি। এসময় বাংলাদেশে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানি আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ চা উৎপাদনে পিছিয়ে ছিল। পাঁচ বছর আগেও দেশে চা উৎপাদন হতো সাত কোটি কেজির কিছু বেশি। তবে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বাড়ার কারণে দেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ ১০ কোটি কেজির কাছাকাছি পৌঁছেছে। চায়ের জন্য উপযোগী পরিমিত বৃষ্টিপাত, চা চাষের জমি বৃদ্ধি ও উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা উৎপাদন বাড়ার কারণে বাংলাদেশের চা উৎপাদন নতুন গতি পেয়েছে।

চা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, কয়েক বছর ধরে অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশে চা উৎপাদন বেড়েছে। বাগানগুলোয় আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, নিয়মিত বিরতিতে চা চাষের আওতা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলের সমতলে চা উৎপাদন বাড়ানো ও একাধিক নিলাম বাজার স্থাপনের মাধ্যমে চা বিপণনে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি উৎপাদনে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়েছে। তাছাড়া সরকারি নীতি অনুযায়ী দেশের চা খাতকে সুরক্ষা দিতে গত কয়েক বছর আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কারোপ, রুগ্‌ণ চা বাগানকে সচল করতে জোরালো উদ্যোগসহ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। তলানিতে থাকা রুগ্‌ণ চা বাগানগুলোকে আরো বেশি উৎপাদনমুখী করা গেলে বাংলাদেশে চাহিদার দ্বিগুণ পরিমাণ বাড়তি চা উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

উদালিয়া চা বাগানের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ভালো চা উৎপাদন করতে পেরেছে। আবহাওয়ার পাশাপাশি সঠিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের বাগান মালিকরা সুফল পেয়েছেন। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ভারত ও কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশ পিছিয়ে পড়লেও তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বেশি। বাংলাদেশকে উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারি নীতিসহায়তার পাশাপাশি বাগানগুলোকে আরো বেশি বিনিয়োগ নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান কারমান তানভিরুল রহমান বলেন, বাংলাদেশের চা-উদ্যোক্তারা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো উৎপাদন করছে। দেশে চায়ের স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনা ছাড়াও রফতানি বাজার পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখছে বাড়তি উৎপাদন। বিভিন্ন প্রতিযোগী দেশের চেয়ে এ বছর উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বাগান মালিকরা। এটা দেশের জন্য সুখবর। এ ধারা অব্যাহত থাকলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি রফতানিযোগ্য চায়ের মজুদ গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি চা খাতের নানা সংকট দূর করে একটি টেকসই উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য

অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের তালিকা করবে বাজুস

Published

on

বিএসইসি

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সদস্য হয়ে অসাধু উপায়ে জুয়েলারি ব্যবসা করা যাবে না। জুয়েলারি ব্যবসা করেতে হলে মানতে হবে বাজুসের নিয়ম-কানুন। বাজুসের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে গিয়ে বিক্রি করতে পারবে না সোনা।

শুক্রবার (৩ মে) বাজুসের চাঁদপুর জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন সমিতির সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বড় এবং ছোট সব ব্যবসায়ীরাই যাতে সৎভাবে ব্যবসা করতে পারে সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাজুস। যারা সোনার ব্যবসা করবেন তাদের অবশ্যই বাজুসের সদস্য হতে হবে। এরই মধ্যে ঢাকায় যারা সদস্য নয় তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাজুসের চাঁপুরের শাখার সভাপতি মো. মোস্তফা ফুল মিয়ার। এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহ-সম্পাদক মো. ইমরান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মজিবর রহমান খান।

বাজুসের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর করছে কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সফরের অংশ হিসেবে বরিশালেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ।

এসময় বাজুসের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মেইড ইন বাংলাদেশ সিল সম্বলিত সোনার অলংকার দেশে উৎপাদিত হবে।

শেখ মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্ব সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বাজুসের বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ও বরিশালের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।

দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাজুসের সাংগঠনিক এ সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, নওগাঁ এবং জয়পুরহাটেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ৮০ সৌদি কম্পানি

Published

on

বিএসইসি

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশকে জ্বালানি সহযোগিতা দিতে আগ্রহের কথাও জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দেশটির মন্ত্রী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে তিনি এ সব বৈঠক করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১ মে) জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম এবং সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের মহাসচিব সাদ আল কোরডের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বৈঠকগুলোতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে পিআইএফ মহাসচিব সাদ আল কোরডে পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালে (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কম্পানির তালিকা প্রকাশ করেন এবং পিআইএফ তাদের কম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানিয়ে আল ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। বৈঠকে জেভি ডিএপটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

১০ মাসে রপ্তানি আয় ৪৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার

Published

on

বিএসইসি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৭১ বিলিয়ন ডলার। যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাত শতাংশ কম।

তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা ধীর হওয়ার কারণে মোট রপ্তানি আয় লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মাসিক রপ্তানি চিত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশের বেশি জুড়ে রয়েছে তৈরি পোশাক। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রপ্তানির মধ্যে ৪০ দশমিক ৪৯৪ বিলিয়ন ডলারই তৈরি পোশাক। চলতি বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানির গতি কিছুটা কমে গেলে মোট রপ্তানি কমে যায়।

চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দমিক ৯৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। একই সময়ে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

করোনা মহামারিতে তৈরি পোশাক রিপ্তানি কিছুটা ভাটার টান তৈরি হলেও দ্রুত ঠিক হয়েছে। মহামারির প্রকোপ কমার সাথে সাথে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা পরবর্তী প্রায় দুই বছর রপ্তানির গতি অব্যাহত থাকে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আবার ধাক্কা লাগে। তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আঘাত লাগে; কমে যায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। এর ফলে আবারও রপ্তানিতে ভাটার টান তৈরি হয়। পরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার জের ধরে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা শুরু হলে রপ্তানিতে আবারও নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, লোহিত সাগরে সমুদ্রগামী জাহাজে হামলা শুরু হলে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক কাছের বাজার খুঁজতে থাকে। লোহিত সাগরের এ সমস্যা দূর না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে বাড়তি সমস্যা যোগ হবে, যাতে রপ্তানি ব্যাহত হতে পারে; কমবে প্রবৃদ্ধি।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, তুলনামূলক অন্যান্য কম রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি হয়েছে ৩২১ মিলিয়ন ডলার; পণ্যটি আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যতম সম্ভাবনাময় চামড়া ও চামড়া পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৩ দমমিক ৩২ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ৮৭২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলারের। এক সময়ের প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ৭ শতাংশ; ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের।

আরেক সম্ভাবনাময় হোম টেক্সটাইল ১০ মাসে রপ্তানি সংকুচিত হয়েছে ২৫ শতাংশ; ১০ মাসে পণ্যটির রপ্তানি হয়েছে ৭০২ দমকি ৫৬ মিলিয়ন ডলার।

১০ মাসে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৭৪ মিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দমিক ১২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১ মিলিয়ন ডলারের; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ শতাংশ। বিশেষ টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

সামিট করপোরেশনের নতুন এমডি ফয়সাল খান

Published

on

বিএসইসি

সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফয়সাল খান। তিনি ২০০৭ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, বন্দর ও রিয়েল এস্টেট খাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপে যোগ দেন। তিনি সামিট গ্রুপের সব কোম্পানির বোর্ড সদস্য এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফয়সাল খানের নিয়োগ প্রসঙ্গে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘ফয়সাল খান সামিট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমাদের সন্তানরা এমন ভালো মানুষ, সৎ মানুষ এবং ভালো একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে বেড়ে উঠেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

‘ফয়সাল ১৭ বছর ধরে পেশাগতভাবে আমার সঙ্গে আছেন এবং ২০১৭ সাল থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তিনি এই পদের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ জানেন। আমি নিশ্চিত, তার হাতেই সামিট আরও এগিয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।

নিয়োগ পেয়ে ফয়সাল খান বলেন, ‘সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিজ খানের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। তার দিকনির্দেশনা, প্রজ্ঞা এবং অবিচল সমর্থন কেবল আমার পেশাদার যাত্রা নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবন গঠনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জটিলতা নিরসনে আমি পরিচালনা পর্ষদ, বিনিয়োগকারী, সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সহকর্মীদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রত্যাশায় আছি।’

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

পণ্যবৈচিত্র্য না হলে রপ্তানি কমবে: এডিবি

Published

on

বিএসইসি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য কম। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে গেলে রপ্তানি পণ্যে যে শুল্ক আরোপিত হবে, তার জেরে দেশের রপ্তানি ৫.৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এই বাস্তবতায় দেশের রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলেই মনে করে সংস্থাটি।

এডিবির ‘এক্সপান্ডিং অ্যান্ড ডাইভারসিফাইং এক্সপোর্টস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকায় এলডিসি গ্রুপের বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ তুলানমূলক সবচেয়ে কম। বাংলাদেশের চেয়ে কম জনসংখ্যার দেশগুলোর রপ্তানি অনেক বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে ৫৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ৩৬০ বিলিয়নের বেশি, ইন্দোনেশিয়ার ২৪০ এবং থাইল্যান্ডের রপ্তানি প্রায় ৩২৩ বিলিয়ন ডলার।

এমনকি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে গড়পড়তা শুল্কের হার বেড়ে যেতে পারে। এতে কানাডায় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ, ভারতে ৮.৬, জাপানে ৮.৭ ও চীনে রপ্তানির ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত হতে পারে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
বিএসইসি
অর্থনীতি7 mins ago

টানা ৮ বার কমার পর বাড়ল সোনার দাম

বিএসইসি
জাতীয়33 mins ago

চার বিভাগে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

বিএসইসি
পুঁজিবাজার48 mins ago

পুনর্নিযুক্ত বিএসইসি চেয়ারম্যানকে এবিবি প্রধানের অভিনন্দন

বিএসইসি
সারাদেশ1 hour ago

আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ

বিএসইসি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

বিএসইসি
আন্তর্জাতিক2 hours ago

মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের লাগবে অনুমতি

বিএসইসি
সারাদেশ2 hours ago

সুন্দরবনের গহিনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে

বিএসইসি
জাতীয়2 hours ago

উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম

বিএসইসি
আন্তর্জাতিক2 hours ago

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যাকাতের অর্থ

বিএসইসি
জাতীয়3 hours ago

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে: ডিবি প্রধান

বিএসইসি
জাতীয়3 hours ago

যানবাহনে স্টিকার দেখলেই করা হচ্ছে যাচাই-বাছাই

বিএসইসি
অর্থনীতি3 hours ago

প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ

বিএসইসি
জাতীয়3 hours ago

ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে চালু হলো দুই কমিউটার ট্রেন

বিএসইসি
আন্তর্জাতিক3 hours ago

বিশ্বজুড়ে আইফোনের চাহিদা কমেছে ১০ শতাংশ

বিএসইসি
জাতীয়3 hours ago

রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দে নতুন বিধিমালা

বিএসইসি
অর্থনীতি4 hours ago

বাংলাদেশ ও আইডিবির মধ্যে ২৭০ মিলিয়ন ইউরোর ঋণচুক্তি

বিএসইসি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার4 hours ago

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্বগ্রহণ

বিএসইসি
আন্তর্জাতিক4 hours ago

শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ, আদানির ৭ কোম্পানিকে তলব

বিএসইসি
অর্থনীতি5 hours ago

চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব সিপিডির

বিএসইসি
জাতীয়5 hours ago

বাংলাদেশে ফের প্রবেশ করলো ৪০ বিজিপি সদস্য

বিএসইসি
জাতীয়5 hours ago

ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই: ইসি রাশেদা

বিএসইসি
বিনোদন6 hours ago

ভারতের ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা

বিএসইসি
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বাড়াবে গাম্বিয়া

বিএসইসি
অর্থনীতি6 hours ago

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুললো ভারত

বিএসইসি
সারাদেশ7 hours ago

পঞ্চম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১