পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও গভর্নরের বৈঠক
দেশের পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলো কীভাবে অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে পুঁজিবাজারের তারল্য বৃদ্ধি ও দেশের অর্থনীতির সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে তারা নির্বাচন পরবর্তী আর্থিক খাতের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের মধ্যে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। বৈঠকে দেশের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে আইনের মধ্যে থেকে আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য গভর্নরের কাছে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তীতে পুঁজিবাজার কোন ধরণের তারল্য সংকটে না পড়ে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪- মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (৯ মে)অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৯৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩৬ পয়সায়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে ডিবিএর অভিনন্দন
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে শেয়ারবাজারের স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহী সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের পুঁজিবাজারের পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে গতি আসবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের সাথে দেশের সার্বিক অর্থনীতি এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ও স্বার্থের বিষয়ে অবগত আছেন। তাই, পুঁজিবাজারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি নানান বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এই সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির নির্দেশনা প্রদানের জন্য আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি জানান, স্মার্ট পুঁজিবাজার গঠনে ব্যবসাবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা শিগগির বাস্তবায়ন হবে এবং পুঁজিবাজারসহ দেশের অর্থনীতিতে এর প্রতিফলন দেখা যাবে। পাশাপাশি এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল পেতে যাচ্ছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। স্টেকহোল্ডাররা মনে করছে, এতে শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর এখনো স্বাভাবিক হয়নি দেশের শেয়ারবাজার। মাঝেমধ্যে কিছু শেয়ারের দর সাময়িকভাবে বাড়লেও বেশিরভাগ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। দর পতন শুরু হলে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। সর্বশেষ হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি; দর পতন চলছেই। বাজারে গতি ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা বাজারে তারল্য সরবরাহের পরামর্শ দেয়। এ সময় আইসিবির কাছেও বাজারে গতি আনতে সহায়তা চেয়েছে বিএসইসি। কারণ আগে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের সহায়তা করে আসছিল আইসিবি।
আইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে বড় ধরনের বিনিয়োগ সহায়তা দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য সংস্থাটির নেই। তবে অর্থসংস্থানের নানা চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সময়ে বাজারে সহায়তা করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে উচ্চ সুদে মেয়াদি আমানত নিয়েছে। পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট থেকে গতি ফেরাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এবং মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় আইসিবি। কমিশনের পরামর্শে ইতোমধ্যে এ তহবিলের জন্য কাজ শুরু করেছে আইসিবি। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ ছাড় করবে।
এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে যে কোনো সংকটে আইসিবি সহায়তা করে আসছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে মেয়াদি ঋণ নিয়েই সহায়তা করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের কাছ থেকে তহবিল সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।
তিনি বলেন, তহবিলের একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। কিছু টাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর উচ্চমূল্যের মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করা হবে। আশা করি, দ্রুততম সময়ে আমরা এ ঋণ পাব। এটি পেলে বাজারে বড় ধরনের সাপোর্ট দেওয়া যাবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তহবিলের টাকা ছাড় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেয়ারবাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে।
অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এ ধরনের তহবিল পুঁজিবাজারে গতি আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে এটি দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সেক্রেটারিয়াল অডিট চায় আইসিএসবি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) প্রতিনিধি দল। এসময় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মেয়াদকাল বৃদ্ধিতে তাকে অভিনন্দন জানান।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিএসইসি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আইসিএসবি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএসর নেতৃত্বে কাউন্সিল সদস্যগণ সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের উপদেষ্টা কমিটি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ডে আইসিএসবি সদস্যদের প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে আইসিএসবি প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন। তালিকাভুক্ত কোম্পানী সমূহে কেবলমাত্র আইসিএসবি থেকে চার্টার্ড সেক্রেটারী ডিগ্রী অর্জনকারীদের নিয়োগ প্রদান করার জন্যও তিনি প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোডে আইসিএসবি-এর বিএসএস-৫ এবং বিএসএস-৬ ‘ভার্চুয়াল এবং হাইব্রিড মিটিং’ এবং ‘রেজোলিউশন বাই সার্কুলেশন’ অন্তর্ভুক্ত করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সেক্রেটারিয়াল অডিট চালু করারও অনুরোধ জানান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনেন এবং বাংলাদেশে কোম্পানি সেক্রেটারি পেশার পেশাদারিত্ব ও উন্নয়নে আইসিএসবির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এসকল কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্পোরেট খাতে গুড কর্পোরেট গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি তার পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যানের সহায়তা ও নির্দেশনা ইনস্টিটিউটকে তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলে কাউন্সিল সদস্যগণ আশা প্রকাশ করেন।
সভায় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম নুরুল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. মুশফিকুর রহমান, ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, কাউন্সিল সদস্য অলি কামাল, কাউন্সিল সদস্য মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. শামিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইসিবির প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ছে
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন সংরক্ষণ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার শর্তে নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করার সময়সীমা ২০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর কমিশনপত্রে উল্লিখিত শর্ত মোতাবেক লভ্যাংশ ও মুনাফা ভিত্তিক প্রণোদনা ঘোষণার পূর্বে কমিশনের সাথে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বছরের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদনের সক্ষমতা বিবেচনা করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জানা গেছে, ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পরে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে ফেলেন। এতে আইসিবির কাছে উল্টো বিনিয়োগকারীরা দেনাদার হয়ে যান। এখন বিনিয়োগকারীদের হিসাবে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেতে আইসিবির হাতে দুটো রাস্তা আছে। একটি হলো- বিনিয়োগকারীদের হিসাব থেকে সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া। অন্যটি হলো- বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে লোকসান রয়েছে তার বিপরীতে প্রভিশন রেখে ধীরে ধীরে ঋণ কমিয়ে ফেলা। যদিও শেয়ার বিক্রি করে দিলে পুঁজিবাজারে বিক্রির চাপ বাড়বে এবং আইসিবির মূলধন ঋণাত্মক হয়ে যাবে। তাই এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইসিবির নিজস্ব পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণ করার সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ালো বিএসইসি।
এর আগে, চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকের (বিনিয়োগকারী) মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএসইসি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ জারি করা বিএসইসির এক নির্দেশনায়, স্টক বোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নিজস্ব মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।