জাতীয়
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় ইসহাক দার বলেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ তাআলা যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। এ অবস্থায় ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা জানান তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা আছে। তার কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে হয়েছে।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
বুধবার দুপুর ৩টার পরপরই জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব। তার আগে শুধু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ নয়, আশ পাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে মানুষ অবস্থান নেয় জানাজায় অংশ নিতে। জায়গা না পেয়ে মেট্রোরেল স্টেশন, আশপাশের বাসা-বাড়ির ছাদ থেকেও জানাজায় অংশ নিতে দেখা যায় অনেককে।
এমকে
জাতীয়
সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ
র্টি ফার্স্ট নাইটের আগে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ডিএমটিসিএল জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আজ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজকের মেট্রোরেল অপারেশনের অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে।
এমকে
জাতীয়
খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুলে নিলেন আজহারি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুলে নিতে দেখা যায় জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারিকে।
জানাজা পড়ান জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, তিন বাহিনীর প্রধান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতরা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের আশপাশ, বিজয় সরণি, খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। যে যেখানে পারেন সেখানেই দাঁড়িয়ে জানাজায় যোগ দিয়েছেন। জানাজার আগে বেগম জিয়ার দীর্ঘ জীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এর আগে, বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হয়। তাকে বহন করা হয়েছে লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি ফ্রিজার ভ্যানে। সেনাবাহিনী হিউম্যান চেইন তৈরি করে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকলে তার মরদেহ সেখানে আনা হয়।
এমকে
জাতীয়
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে সমাহিত খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে তাকে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
খালেদা জিয়ার কবরে সবার আগে নামেন তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজ হাতে তিনি তার মাকে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করেন। এদিন বিকেল সোয়া ৪টার জিয়া উদ্যানে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে খালেদা জিয়াকে শায়িত করার কাজ শুরু হয়। এসময় তারেক রহমানকে কবরে নেমে যেতে দেখা যায়। মাকে কবরে শায়িত করে সাড়ে ৪টার কিছুক্ষণ পর তিনি উঠে আসেন।
এর আগে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য নেওয়া হয় জিয়া উদ্যানে। এ সময় সড়কের দুপাশে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেসময় পুরো এলাকাজুড়ে শোক ও নীরবতার আবহ বিরাজ করে।
দাফন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার দাফনের মধ্য দিয়ে এক বর্ণাঢ্য ও ঘটনাবহুল রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো।
জাতীয়
মোদির ব্যক্তিগত চিঠি তারেক রহমানের কাছে পৌঁছে দিয়েছি: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার দর্শন ও মূল্যবোধ আমাদের অংশীদারিত্বের উন্নয়নে দিকনির্দেশ করবে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকা পৌঁছানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ব্যক্তিগত চিঠি তার কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ভারত সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আমার বিশ্বাস বেগম খালেদা জিয়ার দর্শন ও মূল্যবোধ আমাদের অংশীদারিত্বের উন্নয়নে দিকনির্দেশ করবে।
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কয়েক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে আজ দুপুরে ঢাকায় আসেন জয়শঙ্কর। তিনি বিকালে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জয়শঙ্করই প্রথম ভারতীয় মন্ত্রী, যিনি ঢাকায় এলেন।
এমকে




