রাজনীতি
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন ডা. খালিদুজ্জামান
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও হেভিওয়েট আসন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-১৭ নির্বাচনী এলাকায় শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার পুরো কার্যক্রমজুড়ে তার সঙ্গে ছিলেন জুলাই যোদ্ধারা। এ সময় জুলাই যোদ্ধারা তার পক্ষে ভোট প্রত্যাশা করেন।
তারা জানান, কোনো দলীয় পরিচয়ের কারণে নয়, বরং ডা. খালিদুজ্জামানের কাজ, সততা ও মানুষের কল্যাণে তার নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মতে, জনগণের সেবার মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন।
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই নয়, বরং তার আগেও নীরবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে ঢাকা-১৭ আসনের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানবতার সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
২৮ ডিসেম্বর ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন ডা. খালিদুজ্জামান। তার আগের দিন ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন- ডিএনসিসি-এর সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে থেকে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন তোলেন জামায়াতের এই প্রার্থী।
এমকে
রাজনীতি
রাজনৈতিক চর্চায় উজ্জ্বল চরিত্র ছিলেন খালেদা জিয়া: চরমোনাই পীরের শোক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ৩০ ডিসেম্বর সকালে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক চর্চায় ও ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া একজন উজ্জল ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন। পীর সাহেব চরমোনাই তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এমকে
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার জানাজা হতে পারে বুধবার
বিএনপ চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার জানাজা।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দলীয়ভাবে জানাজার প্রস্তুতি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শের পর জানানো হবে।
এমকে
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালন করবে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আগামী সাতদিনব্যাপী দলের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন এবং প্রত্যেকটা অফিসে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল করা হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ ছাড়া নয়াপল্টন এবং গুলশান কার্যালয়ে শোক বই খোলা হবে। পরবর্তীতে দাফন কাফনের সময়সূচি জানানো হবে।
এর আগে, আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
এমকে
রাজনীতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সকলের নিকট তার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া চাচ্ছি।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং তিনি সংকটময় মুহূর্ত পার করছিলেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। শৈশবে তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি ফার্স্ট লেডি হিসেবে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবরণের পর দলের সংকটময় মুহূর্তে তিনি রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালে চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
আশির দশকে তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। আপসহীন সংগ্রামের কারণে তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এই দীর্ঘ আন্দোলনে তিনি সাত দলীয় জোট গঠন করেন এবং স্বৈরাচারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার দৃঢ় ঘোষণা দেন। এই দীর্ঘ লড়াইয়ে তাকে ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাতবার আটক ও গৃহবন্দী করা হয়েছিল।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তার সময়েই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শিক্ষা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন; যার মধ্যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা এবং উপবৃত্তি কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া তিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করেন।
১৯৯৬ সালের জুন মাসের নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হলেও তিনি ১১৬টি আসন নিয়ে সংসদে বৃহত্তম বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি চারদলীয় জোট গঠন করেন এবং ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় ২৯ নম্বরে স্থান দেয়।
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে কোনো আসনেই পরাজিত না হওয়ার অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে যে কয়টি আসনে দাঁড়িয়েছেন, তার সবকটিতেই জয়লাভ করেছেন। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি স্টেট সিনেট গণতন্ত্রের প্রতি তার অবদানের জন্য তাঁকে ‘গণতন্ত্রের যোদ্ধা’ উপাধিতে ভূষিত করে।
২০১৮ সালে একটি বিতর্কিত মামলার রায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যদিও আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পরে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একে একে সব মামলায় খালাস পান বিএনপি চেয়ারপারসন।
এমকে
রাজনীতি
এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি দল
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জোটে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি রাজনৈতিক দল। এনসিপিসহ ১০-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন কেমন হবে, তা আজ রাতের মধ্যেই ঘোষণা করা হতে পারে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে এ তথ্য জানান দলটির নেতারা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে আমরা আমিরের পক্ষ থেকে উনার মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন যাতে উপহার দিতে পারি, সেই প্রত্যাশা করছি।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, আমরা সবাই মিলে যাতে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে পারি, তার প্রত্যাশা করছি। এটা নিয়ে আরও কাজ করার আছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আরও কাজ করার আছে।
৩০০ আসনে শরিক দলগুলোর কে কতটি আসন পেয়েছে, এটা কখন জানা যাবে—জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী আমরা প্রায় নিশ্চিত করতে পেরেছি। আজকে রাতের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরও উল্লেখ করেন, আমাদের এই আসন সমঝোতা কোনো জোটবদ্ধ নির্বাচন না। কিন্তু এটা অন্য যেকোনো জোটের চেয়ে শক্তিশালী হবে ইনশা আল্লাহ। প্রত্যেকে এখানে নিজস্ব প্রতীক নিয়ে আমরা ইলেকশন করব। শুধু একটা আসনে একটি দলই থাকবে। বাকিরা আমরা সমর্থন জানাব।
এ সময় আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আরেকটা রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে, তাদের নাম পরে জানানো হবে।
এদিকে ঢাকা-১৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির মো. শফিকুল ইসলাম খান।
ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, এখন পর্যন্ত এই দুটি আসনে ৩৩ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন এখন পর্যন্ত জমা দিয়েছেন।




