গণমাধ্যম
গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন দেশের ২৯ সাংবাদিক
চীন বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব ফুটিয়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৯ জন সাংবাদিক।
বুধবার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনকারীকে নগদ এক লাখ টাকা ও সনদ, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুই জনকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সনদ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিন জনকে ৩০ হাজার টাকা করে এবং সনদ দেওয়া হয়। মোট পাঁচটি শ্রেণিতে দেওয়া হয় পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং, চায়না মিডিয়া গ্রুপ–সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হান খুন, আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট চুয়াং লিফং। এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশিষ্টজনরা।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস কেবল সেরা কাজের স্বীকৃতি নয়, বরং দুই দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। তথ্য ও সংস্কৃতির আদান-প্রদান আমাদের দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে আরও গভীর করবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ চর্চার মাধ্যমে আমাদের সাংবাদিকরা দুই দেশের উন্নয়ন ও জনজীবনের গল্পগুলো বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম কেবল তথ্য সরবরাহ করে না, বরং দুই দেশের সমাজ ও সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
পুরস্কার পেলেন যারা
৫টি ক্যাটাগরিতে জমা পড়া মনোনয়ন থেকে বছরের সেরা ২৯টি প্রতিবেদনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত প্রতিবেদনগুলোকে মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়।
অর্থনীতি ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ডেইলি সানের মো. মুনির হোসেন, দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের গোলাম মওলা এবং রূপালী বাংলাদেশের আব্দুর রহিম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ডেইলি সানের রফিকুল ইসলাম, ঢাকা পোস্টের আব্দুর রহমান এবং ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আসজাদুল কিবরিয়া।
খেলাধুলা ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের এস এম নাজমুল হক ইমন। দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের তানজিম আহমেদ, সকাল সন্ধ্যার রাহেনুর ইসলাম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জোবায়ের হোসেন, স্টার নিউজের ফাসিউর রহমান সিফাত এবং দৈনিক ইনকিলাবের কামরুল হাসান খান।
ভিজ্যুয়ালস শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন বিডিনিউজের মাহমুদ জামান অভি। দ্বিতীয় হয়েছেন সারাবাংলার হাবিবুর রহমান। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আজকের পত্রিকার জাহিদুল ইসলাম সজল, নাগরিক প্রতিদিনের ওলিদ ইবনে শাহ এবং বিডিনিউজের মাসুম বিল্লাহ।
জেনারেল নিউজ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রূপালী বাংলাদেশের সেলিম আহমেদ। দ্বিতীয় হয়েছেন ডেইলি সানের মৌসুমি ইসলাম এবং কালের কণ্ঠের মোহাম্মদ শরীফুল আলম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জাগো নিউজের মফিজুল সাদিক, বিডিনিউজের জেসমিন মলি এবং যমুনা টিভির সালাউদ্দিন আহমেদ।
মিডিয়া ইনোভেশন বিভাগ প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আরটিভির মো. ইমরুল হাসান। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাশেদুর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়ালিউল আলম বিশ্বাস এবং একই রিপোর্টের জন্য যৌথভাবে বাংলা ট্রিবিউনের আরশাদ আলী ও সুদীপ্ত নুরুল কবীর পুরস্কৃত।
অনুষ্ঠানে দীপ্ত টিভি, চ্যানেল ২৪, আরটিভি, বাংলাভিশন এবং রেডিও টুডেকে আউটস্ট্যান্ডিং পার্টনারশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সিএমজি বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ডিপ্লোম্যাটিক কারেসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশন বাংলাদেশ, ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশ, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশন, অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবকে আউটস্ট্যান্ডিং অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
চীনা দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগ। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টার, চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ, ওভারসিজ চায়নিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ চায়না আপন মিডিয়া ক্লাব, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ডিক্যাব, ইআরএফ, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ, অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স।
জমকালো এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীনের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ঋতু রাজ, কানিজ খন্দকার মিতু, সাজিয়া সুলতানা পুতুল, লুইপা, ওয়েন্ডি লিউ এবং জেসন ওয়াং সংগীত পরিবেশন করেন। এ ছাড়া আগত অতিথিদের জন্য ছিল র্যাফেল ড্র। পুরস্কার হিসেবে ছিল চীনের জনপ্রিয় মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অনরের স্মার্টফোন।
অনুষ্ঠানে সমপানী বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসে আপনাদের সাথে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমি সকল বিজয়ী মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। একই সাথে দুই দেশের সেই সকল মিডিয়া গ্রুপ ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই যারা দীর্ঘকাল ধরে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে সমর্থন দিয়ে আসছেন। মিডিয়া বিনিময় বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শেখার সুযোগ তৈরি করে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সংবাদ আদান-প্রদানের ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। চীন-বাংলাদেশ মিডিয়া সহযোগিতা মানুষের জীবনযাত্রার প্রকৃত উন্নতি এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
গণমাধ্যম
ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৩ সাংবাদিক
কূটনৈতিক সাংবাদিকদের মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর উদ্যোগে কূটনীতি বিষয়ক প্রতিবেদনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিন সাংবাদিককে ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও সদস্য লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। তিনি জুরি বোর্ডের প্রধান রিয়াজ আহমেদের সঙ্গে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এবার প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে দৈনিক আমাদের সময়-এর কূটনৈতিক প্রতিবেদক আরিফুজ্জামান মামুন, টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে যমুনা টেলিভিশনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স এডিটর মাহফুজুর রহমান মিশু এবং অনলাইন ক্যাটাগরিতে সারাবাংলা ডট নেটের কূটনৈতিক প্রতিবেদক অপূর্ব কুমার পিকে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম বলেন, ‘বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কূটনৈতিক সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রেখে চলেছেন।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও কূটনীতিক বিটের সাংবাদিকরা দায়িত্বশীল ও পেশাদার সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের স্বার্থে আরো কার্যকর অবদান রাখবেন। একই সঙ্গে ডিক্যাবের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।
পুরস্কারের জুরি বোর্ডের প্রধান এবং ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকতা অন্যান্য সমসাময়িক বিটের সাংবাদিকতা থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র।
এখানে কোনো নির্দিষ্ট ন্যারেটিভে আটকে না থেকে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সংবাদ পরিবেশন করা হয়, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকতার অনন্য বৈশিষ্ট্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকরা ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং আঞ্চলিক অনেক দেশের তুলনায় বেশি পেশাদার। অনুষ্ঠানে ডিক্যাবের সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো ডিক্যাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালু করে সংগঠনটি।
এবার ছিল এর দ্বিতীয় আয়োজন। এ বছর তিনটি ক্যাটাগরির সব প্রতিযোগীকেই ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়। পাশাপাশি ডিক্যাবের সদস্য লেখকদের বিশেষ সম্মাননাও প্রদান করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আগে ডিক্যাবের সৃজনশীল লেখনীর সঙ্গে যুক্ত চারজন সদস্যকে লেখক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবছর লেখক সম্মাননা পেয়েছেন ডিবিসি নিউজের ইশরাত জাহান উর্মি, দেশকাল নিউজের মাসুদ করীম, ভিউজ বাংলাদেশের রাশেদ মেহেদী এবং আলাপের নাহিদ হোসেন।
ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের সঙ্গে ডিক্যাবের চুক্তি
অনুষ্ঠান শেষে ডিক্যাব তার সদস্য ও সদস্য পরিবারের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল–এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার মোজাফফর হাসান খান মজলিস, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ সাদ আব্দুল্লাহ। ডিক্যাবের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন। হাসপাতালের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জেনারেল ম্যানেজার মোজাফফর হাসান খান মজলিস এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস।
এমকে
গণমাধ্যম
ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিলো মেটা
সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে মেটা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত থেকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখা যাচ্ছে না।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াসের ফেসবুক থেকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা চালাতে উসকানিমূলক একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠান দুটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ইলিয়াসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খুঁজে না পাওয়া নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। Centraist Nation Tv এর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডাউন করে দিয়েছে মেটা। অ্যাকাউন্টটিতে ২ মিলিয়ন ফলোয়ার ছিল। অপর একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইলিয়াসের প্রায় ২২ লাখ অনুসারীর ফেসবুক পেজটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গণমাধ্যম
পাঠকদের উদ্দেশে প্রথম আলোর বার্তা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর আসার পর গতকাল রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ প্রকাশিত হয়নি ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ।
প্রথম আলোর আলনাইন ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বিগত রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়ায় আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি।
এতে আরও বলা হয়, পাঠকদের কাছে এ জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। যতটা দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কারিগরি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে প্রথম আলোর অনলাইন ও পত্রিকার প্রকাশ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে পাঠকদের সহযোগিতাও প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান দুটিতে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে, জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর দেখা যায় প্রথম আলো কার্যালয়ের কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। তবে যে কোনো ঝুঁকি এড়াতে আরেকটি ইউনিট এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
প্রথম আলো কার্যালয়ের গিয়ে দেখা যায়, আগুনে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। সকাল থেকে ভবনের ভেতরে ধোঁয়ার দেখা মিললেও এখন আর তেমন নেই। আশপাশের ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। তবে আগুন দেওয়া ভবনটির নিচতলায় প্রথমা প্রকাশনের কার্যালয় ছিল। আগুনে এ কার্যালয় পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
এমকে
গণমাধ্যম
ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সাদিক কায়েমের হুঁশিয়ারি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢামেকের ইমার্জেন্সিতে নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
হাদীর গুলিবিদ্ধের খবরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম। আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ওসমান হাদীকে গুলি করা হল। চাঁদাবাজ ও গ্যাংস্টারদের কবল থেকে ঢাকা সিটিকে মুক্ত করতে অচিরেই আমাদের অভ্যুত্থান শুরু হবে। রাজধানীর ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানাচ্ছি।
গণমাধ্যম
এই মুহূর্তে দেশ নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা কার আছে: প্রশ্ন জিল্লুর রহমানের
তুলনামূলক বিচারে দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা কার আছে বলে প্রশ্ন করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, জনসমর্থন কার আছে? সেই সাংগঠনিক শক্তি কার আছে? এগুলো একটু বিবেচনা করা দরকার।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে জিল্লুর এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলো। ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেন। নির্বাচন নিয়ে অনেকেই খুব আশাবাদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটা হবে কি না বা কেমন নির্বাচন হবে সেটা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার যথেষ্ট সময় আছে। একজন নিরপেক্ষ মানুষও একটা রাজনৈতিক দলের ভালো কাজকে সমর্থন করতে পারেন। খারাপ কাজকে নিন্দা করতে পারেন। একটা নির্দিষ্ট সময় বিবেচনায় এটা কাজ করতে পারে যে এই শক্তিকে এই মুহূর্তে সমর্থন দেওয়া দরকার।
জিল্লুর বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই ভোট হবে অনুপস্থিত নৌকার ছায়ার নিচে। আওয়ামী লীগ কার্যক্রমে নিষিদ্ধ দলীয় নিবন্ধন ঝুলে আছে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলার ছায়ায়।
মাঠে চিত্র একেবারে উল্টো, নিষিদ্ধ নৌকার ভোটটাই এখন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সম্পদ। যাকে ঘিরে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি পর্যন্ত নীরব বিডিংয়ে নেমেছে।
জিল্লুর আরো বলেন, এই ভোটের ভেতরে আছে কয়েকটি স্তর। একদিকে আছে আওয়ামী লীগের কট্টর আদর্শিক সমর্থক। যারা সত্যিই ভোট বয়কট করবে বা নিছক হতাশায় ঘরে বসে থাকবে।
অন্যদিকে আছে সেই বড় অংশ, যারা ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রশাসনিক সুবিধা বা নিছক মন্দের ভালো ভেবে নৌকায় ভোট দেবেন। আবার সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ভোটারদের একটা অংশ আছে, যারা বহু বছর ধরে নিরাপত্তার রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে থেকেছেন।




