রাজনীতি
সিলেট পৌঁছেছেন তারেক রহমান
যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেট এসে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
উড়োজাহাজটি যাত্রাবিরতি শেষে সিলেট থেকে রওনা হয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
এর আগে তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার এই যাত্রায় তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
জানা যায়, ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে।
ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ছাড়াও এ যাত্রায় তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হয়েছেন তারেক রহমানের মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, ব্যক্তিগত সহকারী রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা।
রাজনীতি
তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই ইতিবাচক প্রতিফলন: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। তার ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
‘তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।’
তিনি আরও লেখেন, আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।
এমকে
রাজনীতি
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এভারকেয়ার ছাড়লেন তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে প্রথম দিনেই অসুস্থ মা খালেদা জিয়ার পাশে সময় কাটাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটানো শেষে গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে গুলশানে নিজ বাসভবনের উদ্দেশ্যে এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান।
এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমান হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ আগে সেখানে পৌঁছান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটের সামনে পৌঁছালে তিনি বাস থেকে নেমে যান। এরপর সেখান থেকে হেঁটে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এর আগে, গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, সন্তান হিসেবে আমার মন আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে, সেই হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু সেই মানুষটি যাদের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন— অর্থাৎ আপনারা, এই মানুষগুলোকে আমি কোনোভাবেই ফেলে যেতে পারি না। সেজন্যই আজ হাসপাতালে যাওয়ার আগে আপনাদের প্রতি এবং টেলিভিশনগুলোর মাধ্যমে যারা সমগ্র বাংলাদেশে আমাকে দেখছেন—আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আজ আমি এখানে দাঁড়িয়েছি।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো: আখতার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরায় দেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এমনটিই জানিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ তথ্য জানান।
আখতার হোসেন বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব মনে করেন, তারেক রহমান দলীয় রাজনীতির বাইরে জাতীয় রাজনীতিতে কী ভূমিকা রাখেন, সেদিকে সবার নজর থাকবে।
বিবিসিকে আদিব বলেন, ‘তারেক রহমান নির্বাসনে থেকে তার দল বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে তিনি কীভাবে ভূমিকা রাখেন, সেটি একটি বড় বিষয়।’
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তার পোস্টটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।
আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।
এমকে
রাজনীতি
আগামী দিনে মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করব: তারেক রহমান
আগামী দিনে মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট সড়ক) সংলগ্ন বিশাল গণঅভ্যর্থনার মঞ্চে উপস্থিত বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনতার উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আল্লাহর দয়া ও মানুষ পাশে থাকলে প্রত্যাশিত দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আগামী দিনে মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথে দেশ পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, আজ আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এখানে পাহাড়ে যেমন মানুষ রয়েছে, তেমনি সমতলে রয়েছে। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ সকল ধর্মের মানুষ রয়েছে। তরুণ নারী-পুরুষ-কৃষক প্রত্যাশা রয়েছে রাষ্ট্রের কাছে, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে সকলের আশা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের শহীদেরা যে রকম দেশ গড়ার জন্য চেয়েছিলেন। গত ১৫ বছর মা-বোনেরা, তরুণপ্রজন্ম নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। ওসমান হাদিসহ যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রত্যাশিত দেশ গড়া সম্ভব। ধৈর্য ধরতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া, আপনাদের দোয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি। ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপাত্যবাদ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়, ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র ফিরে আসে। আর ২০২৪ সালে ছাত্রজনতা, গৃহবধূ, মাদ্রাসা ছাত্রসহ সকলে মিলে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, ফিরে পেতে চাই।
এমকে
রাজনীতি
তারেক রহমানের পরিকল্পনার দিকে নজর থাকবে: জামায়াত আমির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান । তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার একজন রাজনৈতিক সহকর্মী দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি রাজনীতির মাঠে ফিরছেন, এটিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঐক্যের ব্যাপারে তারেক রহমান কী ভূমিকা রাখেন, অথবা কী পরিকল্পনা আছে তার এবং বাস্তবায়ন কীভাবে করবেন- এসব বিষয়ে জামায়াত নজর রাখবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও বিবিসিকে বলেছেন, তিনিও ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনাটিকে।
এমকে




