জাতীয়
আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে ভয় ও বাধা থাকবে না: প্রধান উপদেষ্টা
ভয়-বাধাহীন নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে ভয় থাকবে না, বাধা থাকবে না—থাকবে শুধু জনগণের মুক্ত ও নির্ভীক মতপ্রকাশ। সরকার সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তরুণ সমাজ, নারী ভোটার এবং প্রথমবার ভোটার হওয়া নাগরিকদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আপনারা এগিয়ে আসুন। প্রশ্ন করুন, জানুন, বুঝুন এবং ভোট দিন। আপনার সিদ্ধান্তেই গড়ে উঠবে আগামী দিনের বাংলাদেশ—নতুন বাংলাদেশ।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বিষয়ে সারাদেশে প্রচারণার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—‘সুপার ক্যারাভান’। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে ভোটের গাড়ির উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। সামনে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে।
ড. ইউনূস বলেন, এই সুপার ক্যারাভান কেবল একটি গাড়িই নয়—এটি গণতন্ত্রের আনন্দবাণী বহনকারী বহর। এটি জানিয়ে দেবে, আপনার একটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মনে করিয়ে দেবে—নিষ্ক্রিয়তা নয়, অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার কারও দয়া নয়—এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই আমরা ঠিক করি, আমাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।
নাগরিকদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনি দেশের মালিক। আগামী পাঁচ বছর আপনার পক্ষে দেশটা কারা চালাবে সেটা আপনি ঠিক করে দেবেন। আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। সৎ ও সমর্থ প্রার্থী বেছে ভোট দিন। চিন্তা-ভাবনা করে ভোট দিন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আপনি আরও একটি ভোট (গণভোট) দেবেন। আপনি যদি জুলাই সনদ সমর্থন করেন তবে গণভোটে অবশ্যই ‘হ্যাঁ’ ভোট দিন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, চলুন, আমরা সবাই মিলে এ গণতান্ত্রিক যাত্রাকে সফল করি। চলুন, ভোট দিই—নিজের জন্য, দেশের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, নতুন পৃথিবীর জন্য।
এমকে
জাতীয়
তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব
৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশের মাটি স্পর্শ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই আগমনে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আজ বাংলাদেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটে আসে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা। তার দেশে আসার প্রভাব হবে খুবই ইতিবাচক।
সামনে বড় নির্বাচন-এ কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, দেশ একটা ‘ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে’ (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছে। তারেক রহমানের দেশে আসার পর এই ট্রানজিশন আরও স্মুথ হবে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তার নিরাপত্তা বিএনপি দেখছে। বিএনপি যে ধরনের সহযোগিতা সরকারের কাছে চাচ্ছে, সব সহযোগিতাই করা হচ্ছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বকশ চৌধুরী কেন পদত্যাগ করলেন-এ প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এটা গতকাল রাত ১২টার দিকের ঘটনা। তিনি এখনো কারণ জানতে পারেননি।
বড়দিনের শুভেচ্ছাবিনিময়
তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় এসে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তারা চান, সব সম্প্রদায়ের সবাই যেন নিজ নিজ ধর্ম, আচার, অনুষ্ঠান নির্ভয়ে-আনন্দে পালন করতে পারেন। এটা সত্যিকার গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।
জাতীয়
শারীরিক আক্রমণের ভয়: নিরাপত্তাহীনতায় ৩৩ শতাংশ মানুষ
দেশের ৩৩ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ শারীরিক আক্রমণের ভয়ে রয়েছেন। গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষ বেশি ভয়ে আছেন। গ্রামাঞ্চলের ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং শহরের ৪১ দশমিক ২৮ শতাংশ মানুষ শারীরিক আক্রমণের ভয়ে রয়েছেন।
এছাড়া ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৬৯ নারীদের মধ্যে এই ভয় বেশি দেখা যায়। বাড়িতে সিঁধ কেটে বা তালা ভেঙে চুরির ভয় নিয়ে দেশে বসবাস করছেন ৪১ দশমিক ৭৪ শতাংশ মানুষ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
বিবিএস গত ৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাশী ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)’ পরিচালনা করে।
বুধবার আগারগাঁওয়ে বিবিএস মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব এস এম শাকিল আখতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৬৪ জেলার এক হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট থেকে ৪৫ হাজার ৮৮৮টি খানার ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮৪ হাজার ৮০৭ জন উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৩৯ হাজার ৮৯৪ জন এবং নারী ৪৪ হাজার ৯১৩ জন।
জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য বিষয়ক এসডিজি ১৬-এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে।
গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষ ঘরে চুরি হওয়ার ভয়ে থাকেন বেশি। গ্রামাঞ্চলে ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং শহরে ৪৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ মানুষ ঘরে সিঁধ কাটার ভয়ে আছেন। ৩৮ দশমিক ৫৯ এবং ৪৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ নারী ঘরে চুরি হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জাতীয়ভাবে প্রায় ৪৭ দশমিক ১৭ শতাংশ মানুষ ভয়ে আছেন কখন যেন তাদের ঘরে চুরি হতে পারে। মূল্যবান জিনিস চুরি বা নষ্ট হওয়ার ভয়ে থাকেন তারা। এই ভয়টি সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে শহরে। গ্রামে ৪৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শহরে ৫০ দশমিক ৬১ শতাংশ মানুষ এ নিয়ে চিন্তিত।
জাতীয়
পথে পথে নেতাকর্মীদের ভিড়, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেট এসে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
উড়োজাহাজটি যাত্রাবিরতি শেষে সিলেট থেকে রওনা হয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দরের ইনকামিং ও আউটগোয়িং সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখর পুরো বিমানবন্দর সড়ক। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই পুরো বিমানবন্দর এলাকা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢেকে দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মিরপুর থেকে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, পথে পথে লাখো নেতাকর্মী। সবার গন্তব্য বিমানবন্দর। সড়কে সারি সারি গাড়ির বহর। ব্যানার ফেস্টুন হাতে মিছিলে মিছিলে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে সড়কে। কুড়িল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ সেনাবাহিনী সদস্যদের।
নিরাপত্তা জোরদারে বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট ও গুলশানসহ রাজধানীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে আনসার গার্ডের নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ও পেট্রোল ডিউটিতে অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে মোতায়েন রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় পর্যাপ্তসংখ্যক গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে সাধারণ যাত্রী ও বিদেশগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন যান চলাচল সীমিত থাকার কারণে।
জানা গেছে, দেশে ফেরার পর তারেক রহমান যাতায়াতের সময় পাবেন পুলিশি পাহারাসহ বিশেষ নিরাপত্তা। এ ছাড়া তার বাসভবন ও অফিসে থাকবে নিরাপত্তা। পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তারেক রহমানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকসের পদত্যাগ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়ে গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গেজেটে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে খোদা বকশ চৌধুরীকে বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
জাতীয়
আজ যেসব সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, তারেক রহমানকে অভ্যর্থনাকারীরা কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন করতে পারবেন না। তারেক রহমানের গাড়িবহরে কেউ যুক্ত হতে পারবেন না। মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান, বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান বা চলতে পারবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান বাসভবন যাবেন।
এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে গুলশান বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অতিরিক্ত জনসমাগম হবে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় কিছু বিষয় প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
১. বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনা স্থান, সংবর্ধনা স্থান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় অভ্যর্থনাকারীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গমনাগমনের সময় গাড়িবহর চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
২. বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর এবং কুড়িল থেকে মস্তুল পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে পরিহার করে কিছু বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে-
(ক) আব্দুল্লাহপুর-কামারপাড়া-ধউর ব্রিজ-পঞ্চবটি-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(খ) উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারী নাগরিকদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউজ বিল্ডিং-জমজম টাওয়ার-১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন-উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে ১৮ নম্বর সেক্টর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেঁড়িবাধ হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(গ) গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রী সাধারণ কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/ পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(ঘ) মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহন মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(ঙ) কাঞ্চন ব্রিজ থেকে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আগত যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ের মঞ্চল থেকে বামে টার্ন নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে (এম ব্লক, স্বদেশ প্রোপার্টি লিমিটেডের পাশের রাস্তা) মাদানী অ্যাভিনিউ হয়ে চলাচল করতে পারেন।
(চ) তেজগাঁও-মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত যানবাহন মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে মেট্রোরেলের নিচের রাস্তা দিয়ে উত্তরা এলাকায় চলাচল করতে পারেন।
(ছ) যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর গমনাগমনকারী ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন।
(জ) হজযাত্রীসহ বিদেশগামী যাত্রী সাধারণকে এয়ারপোর্ট গমনাগমনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
(ঝ) মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
(ঞ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিদের কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
(ট) অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা কোনো যানবাহন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
(ঠ) অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান, বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না।
(ড) জরুরি পরিসেবায় ব্যবহৃত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স/ ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি) এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।
(চ) বিদেশগমনকারী যাত্রীদের সঙ্গে এয়ার টিকিট থাকতে হবে এবং যাত্রীদের সঙ্গে কোনো সহযোগী থাকবে না।
(ণ) নতুন বাজার থেকে গুলশান-২ গামী এবং গুলশান-২ থেকে নতুন বাজারগামী রাস্তা পরিহার করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
অভ্যর্থনা জানাতে আগত নেতাকর্মীরা যেসব স্থানে গাড়ি পার্কিং করবেন
১. টঙ্গী জয়দেবপুর রোড হয়ে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা মাঠ।
২. সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে কাঞ্চনব্রিজ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে হতে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা পূর্বাচল নীলা মার্কেট বা পূর্বাচল বাণিজ্য মেলা মাঠ।
৩. বাবুবাজার ব্রিজ এবং বসিলা ব্রিজ থেকে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ।
৪. আমিন বাজার-গাবতলী হয়ে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর, দিয়াবাড়ি পশুরহাট মাঠ (বউবাজার)।
৫. মাওয়া রোড, বুড়িগঙ্গা ব্রিজ হয়ে আগত গাড়িগুলো পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা।
এসব ডাইভারশন ২৫ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকে কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।




